ফাইল ছবি

সুপ্রিয় পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী বন্ধুরা, শুভেচ্ছা নিয়ো। পরিবার, সমাজ ও দেশের গন্ডি ছাড়িয়ে বর্তমানে বৈশ্বিক মহামারির আকার ধারণ করেছে  করোনা ভাইরাস । করোনা একটি জাতীয় দুর্যোগ । এ দুর্যোগে বিশ্বের প্রতিটি দেশ ও জাতির শিক্ষাখাত ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে সবচেয়ে বেশি।  প্রয়োজন এ ক্ষতি থেকে উত্তরণের। এ জন্য সরকারের  একক প্রচেষ্টা যথেষ্ট নয়। সরকারের পাশাপাশি একসাথে কাজ করতে হবে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ,অভিভাবকসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে। 

আজকের শিশুরাই আগামীদিনের ভবিষ্যৎ অর্থাৎ আগামীদিনে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব তোমাদেরই। সে লক্ষ্য অর্জনে তোমাদের এগিয়ে যেতে হবে। তাই করোনা মহামারিকে ভয় পেয়ে তোমাদের হাত পা গুটিয়ে বসে থাকলে চলবে না। তীব্র সাহস ও মনোবল নিয়ে তোমাদের এগিয়ে যেতে হবে। তোমাদের মানুষের মতো মানুষ হতে হবে ।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও তোমাদের একাডেমিক ঘাটতি যেন না হয় সে জন্য সংসদ টিভিতে রুটিন করে চলছে ডিজিটাল পাঠদান। ইতোমধ্যে শিক্ষকেরা অনলাইনে রুটিন মাফিক নিয়মিত ক্লাস নিচ্ছেন আবার ইউটিউবে সেই ক্লাস কনটেন্ট ছেড়ে দিচ্ছেন যা তোমরা সহজে দেখতে পারছো ।

নিয়মিত রুটিন করে পড়াশোনা করবে : তবে করোনার এই ক্রান্তিকালে ঘরে বসেই তোমাদের নিতে হবে  পঞ্চম শ্রেণির  পিইসি পরীক্ষার পূর্ণ প্রস্তুতি। সে লক্ষ্যে তোমাদের নিয়মিত রুটিন করে পড়াশোনা করে নিজেকে প্রস্তুত করতে হবে। ঘরে বসে নিজেকে পূর্ণ প্রস্তুত করতে গিয়ে জটিল কোনো সমস্যার সম্মূখীন হলে মুঠোফোনে সংশ্লিষ্ট শিক্ষকের সহায়তা নিতে পারো। সংসদ টিভির পাঠদান কালে বা শিক্ষক যখন অনলাইনে পাঠদান করবেন তখন তোমার কাছে  যেসব বিষয় কঠিন মনে হয়  সেগুলো  খাতায় লিখে রাখবে । পরে মুঠোফোনে শিক্ষকের সহায়তা নিয়ে বিষয়গুলো বুঝে নেবে। করোনার এই মহামারির সময়ে শিক্ষকের সহায়তায় বাংলা, ইংরেজি, গণিত, বিজ্ঞান, বিজিএস ও ধর্মের মতো বিষয়গুলোর পূর্ণ প্রস্তুতি তোমকেই নিতে হবে। অভিভাবকদেরও মহামারির এই সময়ে তাদের সন্তানকে সর্বাত্মক সহায়তা করতে হবে। সন্তানেরা শিক্ষকের দেয়া পড়াগুলো শিখেছে কিনা বা অনলাইনে অন্য কোনো বিষয়ের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়ছে কিনা সে বিষয়ে লক্ষ অভিভাবকদের রাখতে হবে।

শুধু করোনকালীন নয় ,করোনা পরের সময়েও তোমাকে তোমার লক্ষ্য অর্জনে রুটিন করে যথা সময়ের পড়া যথা সময়েই  শেষ করতে হবে। সম্পূর্ণ বইটি কয়েকটি ভাগে ভাগ করে  নিয়ে পড়বে। ধারাবাহিকভাবে বোর্ড বইগুলোর প্রতিটি লাইন বুঝে বুঝে পড়বে।

বাংলা বিষয়ে ১৫ টি গল্প, ৮ টি কবিতা পড়া শেষ হলে এ সব গল্প/কবিতার মূলভাব, কবি ও লেখক পরিচিতি আয়ত্ব করবে। যুক্তবর্ণ ও কঠিন শব্দার্থগুলো খাতায় লিখে অনুশীলন করতে থাকো। দেখবে তুমি পিইসি পরীক্ষার জন্য পূর্ণ প্রস্তুত। বাংলা বিষয়ের  চিঠি, দরখাস্ত, রচনা প্রতিদিন তুমি ৩০ মিনিট করে পড়বে। 

গণিত বিষয়ে ভালো নম্বর পেতে ২০ টি সংক্ষপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর সহ তোমাকে আরও ৮টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। গণিত বিষয়ে ভালো করতে চাই অনুশীলন আর অনুশীলন। যে গণিতের অঙ্কগুলো তুমি আয়ত্ব করেছো সেগুলোও বারবার অনুশীলন করবে দেখবে গণিতে শতভাগ নম্বর পাবে।

ইংরেজি বিষয়ের ক্ষেত্রেও মূলবইটি বার বার মনোযোগ দিয়ে পড়বে, তারপর নিজে নিজে মডেল প্রশ্ন তৈরি করে নিজেই অনুশীলন করবে। এ বিষয়ে শূন্যস্থান, সত্যমিথ্যা, সংক্ষিপ্ত প্রশ্নের উত্তর  ইত্যাদি প্রশ্ন প্রণয়ন করা তোমার কাছে কোনো ব্যাপার নয়।

বিজ্ঞান, বিজিএস, ধর্ম বিষয়ে পূর্ণ নম্বর পেতে মূল বইটি ভালো করে বুঝে বুঝে পড়বে । বিজিএস বিষয়ে অনেক তারিখ থাকে তাই ইতিহাসের তারিখ গুলো মনে রাখতে তা খাতায় লিখে রাখবে ও নোট করবে। প্রয়োজনে বিজিএস বিষয়ে কম মনে থাকা তারিখ গুলো বারবার পড়বে। এক সময় দেখবে এগুলোই তোমার মনে থাকবে সবচেয়ে বেশি।

পিইসি পরীক্ষায় কোনো বিষয়ের গুরুত্বই কম নয় তাই সব বিষয়ই সমান গুরুত্ব দিয়ে পড়বে।

এমকে