অবশেষে জোকোভিচের জন্য খুলছে যুক্তরাষ্ট্রের দুয়ার
সারাবিশ্বে করোনার প্রভাব প্রায় কেটে গেলেও, এখনও বেশকিছু কঠোর নীতি ধরে রেখেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। যার ধারাবাহিকতায় দেশটি আগামী ১১ মে পর্যন্ত জরুরি অবস্থা মেনে চলার ঘোষণা দেয়। সেই নীতি অনুসারে, করোনা টিকা না নেওয়া থাকলে কোনো ব্যক্তি আমেরিকায় প্রবেশ করতে পারবেন না। যার কারণে দেশটিতে অনুষ্ঠিত দুটি টেনিস প্রতিযোগিতায় নোভাক জোকোভিচ অংশ নিতে পারেননি।
এর আগে করোনা টিকা না নেওয়ায় তাকে অস্ট্রেলিয়া ওপেন থেকে ফিরতে হয়েছিল। এরপর সম্প্রতি অনুষ্ঠিত দুই প্রতিযোগিতা ছাড়াও আসন্ন যুক্তরাষ্ট্র ওপেন থেকেও তার বাদ পড়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছিল। অবশেষে জোকোভিচের সেই অনিশ্চয়তা কেটে গেছে। কারণ হঠাৎ করেই করোনা বিধি বাতিল করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিনেট। ফলে এখন থেকে সে দেশে পা রাখতে কোনো বিদেশির আর টিকা নেওয়া বাধ্যতামূলক থাকছে না।
বিজ্ঞাপন
মূলত টিকার প্রতি আগে থেকেই বিতৃষ্ণা ফুটে ওঠে জোকোভিচের কণ্ঠে। এই টেনিস তারকা একাধিক বার বলেছেন, তিনি টিকা নেবেন না এবং তাতে জোকোভিচকে বাধ্য করেও মানানো যাবে না। এটা নিয়ে জোর করার অর্থ কার্যত তার ব্যক্তিগত স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা। এই কারণেই গতবার অস্ট্রেলীয় ওপেন থেকে না খেলেই ফিরতে হয়েছিল। এমনকি মেলবোর্নে মামলা করেও লাভ হয়নি তার।
একই কারণে আমেরিকান পরিবাস ও ইন্ডিয়ান ওয়েলস মাস্টার্স থেকেও নাম প্রত্যাহার করেন জোকোভিচ। রাফায়েল নাদালের সঙ্গে সর্বোচ্চ ২২টি গ্র্যান্ড স্লাম জেতা জোকোভিচ মূলত নাম প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয়েছিলেন। ৩৫ বছর বয়সী এই টেনিস তারকা সর্বশেষ ফেব্রুয়ারির শেষ সপ্তাহে দুবাই ওপেনের কোর্টে নেমেছিলেন। সেখানে তিনি সেমিফাইনালে পরাজিত হয়েছিলেন ড্যানিল মেদভেদেভের কাছে।
এএইচএস