সেমিফাইনাল থেকে রাফায়েল নাদাল নিজেকে চোটের কারণে প্রত্যাহার করে নেওয়ার পর নোভাক জোকোভিচের সামনে পথটা সহজ হয়ে গিয়েছিল। সেমিতে নিজের ম্যাচে যুক্তরাজ্যের ক্যামেরন নরিকে সহজে হারিয়ে পৌঁছে গিয়েছেন ফাইনালে। যেখানে তার অপেক্ষায় ছিলেন প্রথমবারের মতো গ্র্যান্ডস্লাম ফাইনালের দেখা পাওয়া নিক কিরিওস। ফাইনালে কিরিওস-বাধা পাড় হতে খুব একটা বেগ পেতে হয়নি জোকোভিচকে। ৩-১ সেটে এই অস্ট্রেলিয়ানকে পরাস্ত করে সুইস কিংবদন্তি রজার ফেদেরারকে ছাড়িয়ে গেছেন জোকোভিচ।

সেন্টার কোর্টে নিজের সপ্তম শিরোপা জয়ের পথে কিরিওসকে ৪-৬, ৬-৩, ৬-৪ এবং ৭-৬(৩) গেমে হারিয়েছেন জোকোভিচ। ফাইনালে প্রথম সেট হারাটাকে প্রায় ‘রীতি’ বানিয়ে ফেলেছেন জোকোভিচ। গতবারের ফাইনালেও ইতালির মাতেও বেরেত্তিনির বিপক্ষে প্রথম সেট হারের পর টানা তিন সেট জিতে শিরোপা নিজের করেছিলেন। এবারও সেটারই পুনরাবৃত্তি হলো। প্রতিপক্ষকে কিছুটা আশা দিয়ে তারপর তাকে চূড়ান্ত হতাশায় ডোবান জোকোভিচ।

আরও পড়ুন >> আরবের হৃদয় ভেঙে উইম্বলডনের নতুন রানি কাজাখস্তানের রিবাকিনা

ফাইনালে নামার আগেই অবশ্য ইতিহাস গড়া হয়ে গিয়েছিল জোকোভিচের। সবমিলিয়ে তার ক্যারিয়ারে এটি ছিল ৩২তম গ্র্যান্ডস্লাম ফাইনাল। উন্মুক্ত যুগে তার চেয়ে বেশি ফাইনাল খেলার কীর্তি নেই কারও। ফাইনালে ফেদেরারের ২০ গ্র্যান্ডস্লামের মাইলফলক পেরিয়ে গেলেন, নাদালের সর্বোচ্চ ২২ গ্র্যান্ডস্লামের রেকর্ড ছুঁতে আর একটি গ্র্যান্ডস্লাম শিরোপা প্রয়োজন ৩৫ বছর বয়সী এই সার্বিয়ানের।

আরও পড়ুন >> না বলে টয়লেটে যাওয়ার ‘অপরাধে’ চাকরি গেল কর্মীর

এবারের উইম্বলডনে প্রতিযোগিতার পোশাক সম্পর্কিত নিয়ম ভঙ্গ থেকে শুরু করে দর্শকদের উপর থুতু নিক্ষেপ করে আলোচনার কেন্দ্রে ছিলেন কিরিওস। ‘ব্যাড বয়’ ইমেজ পেয়ে যাওয়া এই অস্ট্রেলিয়ান তারকা ফাইনাল শেষে জোকোভিচ বন্দনায় মেতেছেন, ‘আমি মিথ্যা বলব না, সে টেনিস ঈশ্বরের মত। আমার মনে হয়েছে আমি ভালোই খেলেছি।’

এদিকে সপ্তমবারের মতো উইম্বলডন শিরোপা উঁচিয়ে ধরে কিছুটা যেন বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছিলেন আসরের শীর্ষ বাছাই জোকোভিচ, ‘এই টুর্নামেন্ট, এই ট্রফি আমার এবং আমার পরিবারের জন্য কতটা অমূল্য সেটা বলে বোঝাতে পারব না।’

এইচএমএ