গ্র্যান্ড মাস্টার আব্দুল্লাহ আল রাকিব/ফাইল ছবি

বাংলাদেশের দাবায় ৫ গ্র্যান্ডমাস্টার। এই পাঁচ শীর্ষ দাবাড়ু একই সঙ্গে জাতীয় বা আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট খেলে খুবই কদাচিৎ। রিফাত বিন সাত্তার মাল্টিন্যাশনাল এনজিওতে চাকুরিরত থাকায় দাবায় অনিয়মিত। উপমহাদেশের প্রথম গ্র্যান্ডমাস্টার নিয়াজ মোর্শেদও অনিয়মিতভাবে খেলে আসছেন গত কয়েকবছর। জিয়াউর রহমান, আব্দুল্লাহ আল রাকিব ও এনামুল হোসেন রাজীব এই তিন জিএম মূলত নিয়মিতভাবে খেলে থাকেন। সেই তিন জিএমের মধ্যে আব্দুল্লাহ আল রাকিব আবার অনিয়মিত হয়ে পড়েছেন।

অতি সম্প্রতি দুটি আন্তর্জাতিক এশিয়ান জোনাল টুর্নামেন্ট ছিল দাবায়। সেই দুই টুর্নামেন্ট থেকে বিশ্বকাপ দাবায় খেলার সুযোগ ও সম্ভাবনা ছিল। এশিয়ান জোনাল চ্যাম্পিয়ন হয়ে জিয়া ৫ম বারের মতো বিশ্বকাপ খেলছেন। এশিয়ান জোনাল দুটির মধ্যে রাজীবই দুটি খেলেছেন। জিয়া ও নিয়াজ একটিতে অংশ নিয়েছেন। রিফাত এখন শখের বশেই খেলেন। পেশাদার দাবাড়ু রাকিব খেলেননি গত দুটির একটিও। 

একজন পেশাদার দাবাড়ুর জন্য গত দুটি টুর্নামেন্ট ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এশিয়ান জোনালে না খেলার কারণ সম্পর্কে রাকিব বলেন, ‘ফেডারেশনে জানিয়েছি, ব্যক্তিগত কারণে খেলতে পারব না।’ ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ শাহাবুদ্দিন শামীম রাকিবের না খেলা প্রসঙ্গে বলেন, ‘সে খেললে তার জন্যই ভালো হতো। আমাদের জানিয়েছে ব্যক্তিগত কারণে খেলবে না। সে মূলত অনলাইনে খেলতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে না।’ করোনার জন্য এখন অনেক ডিসিপ্লিনের আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা অনলাইনে হচ্ছে। রাকিবের খানিকটা অনলাইনে অনাসক্তি রয়েছে। 

আজ থেকে শুরু হচ্ছে ওয়ালটন আন্তর্জাতিক রেটিং দাবা। দাবা ফেডারেশনে সশরীরে হচ্ছে এই প্রতিযোগিতা। এখানেও অনুপস্থিত রাকিব। এই টুর্নামেন্টে না খেলার কারণ সম্পর্কে রাকিব বলেন, ‘গত কয়েকদিন যাবত আমি কিছুটা শারীরিকভাবে অসুস্থ।’

আমন্ত্রণমূলক এই প্রতিযোগিতায় পাঁচ জিএমের মধ্যে একমাত্র  জিয়া অংশগ্রহণ করছেন। এই প্রসঙ্গে সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘এই টুর্নামেন্টগুলোতে আরো বেশি জিএমরা অংশ নিলে টুর্নামেন্ট আকর্ষণীয় হয়, স্পন্সররা আকৃষ্ট হয় ও নতুনরাও শিখতে পারে। তারা এ ধরনের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ না করলে নতুনরা সেভাবে শিখতে পারবে না।’  

আমন্ত্রিত রেটিং টুর্নামেন্টগুলোতে জিয়া ছাড়া অন্য জিএমদের আগ্রহ বরাবরই কম। পাঁচ জিএমের মধ্যে একমাত্র জিয়াই নিয়মিত ও সবচেয়ে বেশি খেলেন!

এজেড/এটি