আগুনে পুড়ল ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, যেখানে অফিস করবেন আসিফ মাহমুদরা
গতকাল (বুধবার) মধ্যরাতে বাংলাদেশ সচিবালয়ে আগুন লেগেছিল। আগুনের লেলিহান শিখা এবং নেভানোর কাজে ব্যবহৃত পানিতে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের বেশ কয়েকটি কক্ষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ফলে সেখানে দাপ্তরিক কার্যক্রম পরিচালনা করা অসাধ্য। মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়াও বিষণ্ন মনে পুড়ে যাওয়া ভবন পরিদর্শনে গেছেন।
এদিকে, আজ (বৃহস্পতিবার) দুপুরে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব রেজাউল মাকসুদ জাহেদী গিয়েছিলেন জাতীয় ক্রীড়া পরিষদে (এনএসসি)। তিনি জাতীয় ক্রীড়া পরিষদে বিভিন্ন কক্ষ পরিদর্শন করেন। ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত কয়েকজন কর্মকর্তা জাতীয় ক্রীড়া পরিষদে অফিসের খসড়া রূপরেখাও তৈরি করেছেন।
বিজ্ঞাপন
জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সচিব মো. আমিনুল ইসলাম এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘সচিব মহোদয় এনএসসি সরেজমিনে পরিদর্শনে এসেছিলেন। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদে ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দাপ্তরিক কার্য সম্পাদন হবে। আজ একটা খসড়া হয়েছে যা পরবর্তীতে কর্তৃপক্ষের নির্দেশে বাস্তবায়ন হবে।’
জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় অধীনস্থ প্রতিষ্ঠান। ক্রীড়া মন্ত্রী জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের চেয়ারম্যান এবং মন্ত্রণালয়ের সচিব ক্রীড়া পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান। দুই জনেরই ক্রীড়া পরিষদে স্ব স্ব অফিস কক্ষ রয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের আরও কয়েকজন কর্মকর্তা জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের ষষ্ঠ তলায় কনফারেন্স কক্ষ, নবম তলায় মিনি সভা কক্ষ ও শূন্য থাকা পরিচালক কক্ষ এবং সপ্তম তলায় কিছু কক্ষও মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সাময়িক ব্যবহারের জন্য বরাদ্দ করা হচ্ছে। ক্রীড়া পরিষদের নতুন ভবন অনেক সুউচ্চ হলেও ক্রীড়া পরিষদ দ্বিতীয় তলায় অডিটরিয়াম, ষষ্ঠ তলায় কনফারেন্স কক্ষ, অস্টম ও নবম তলায় প্রশাসনিক কাজে ব্যবহার করে। এর বাইরে বেশ কয়েকটি তলা বাণিজ্যিকভাবে ভাড়ায় রয়েছে।
আরও পড়ুন
জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের পুরোনো ভবনে চারতলায় রয়েছে ক্রীড়া কল্যাণসেবী ফাউন্ডেশন। সেই ফাউন্ডেশনেও মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা অফিস করবেন। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ থেকে বের হয়ে ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মতিঝিলে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরে যান। সেখানেও মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সাময়িক কাজের ব্যাপারে পরিকল্পনা হয়েছে।
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ দপ্তর প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর, ক্রীড়া পরিদপ্তর, বিকেএসপি ও ক্রীড়া কল্যাণ সেবী ফাউন্ডেশন। যুব অধিদপ্তর ছাড়া বাকি চারটি প্রতিষ্ঠানই ক্রীড়া নিয়ে কাজ করে। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ দেশের সকল ক্রীড়া স্থাপনা নির্মাণ, রক্ষণাবেক্ষণ এবং সকল ফেডারেশন-ক্রীড়া সংস্থার সরাসরি অভিভাবক প্রতিষ্ঠান। ক্রীড়া পরিদপ্তর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের খেলাধুলা এবং শারীরিক শিক্ষা কলেজের তদারকি করে। বিকেএসপি ক্রীড়াবিদদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ক্রীড়া কল্যাণ সেবী ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে দুঃস্থ অসহায় ক্রীড়াবিদ ও সংগঠকদের সহায়তা প্রদান করা হয়।
এজেড/এএইচএস