সানরাইজ-ইউনেক্স আন্তর্জাতিক জুনিয়র টুর্নামেন্টের ফাইনাল আগামীকাল (রোববার)। পাঁচ ইভেন্টের কোনোটিতেই বাংলাদেশ ফাইনালে উঠতে পারেনি। সেমিফাইনালে উঠায় চারটি ব্রোঞ্জ পদক পাবে স্বাগতিক বাংলাদেশ। ব্যাডমিন্টনে সেমিফাইনালে অংশ নিলেই ব্রোঞ্জ পদক নিশ্চিত।

মহিলা দ্বৈত ইভেন্টে বাংলাদেশের দু’টি দল সেমিফাইনালে ওঠে। দুই দলই ভারতীয় শাটলারদের কাছে হেরে যায়। সাফিয়া নওরিন ও সৈয়দ এনমলি সিসমি ২১-৫ ও ২১-৬ পয়েন্টে দুই সেটে হারেন। মাথেনা মাধুর্য বিশ্বাস ও প্রিথা অবশ্য একটি সেটে লড়াই করেছিলেন। এক সেটে ২১-৫ পয়েন্টে হারলেও, আরেক সেটে ১৪-২১ পয়েন্টে হারে বাংলাদেশের নারী শাটলাররা।

নারী এককে ভারতীয় শাটলারের বিপক্ষে দাঁড়াতেই পারেননি বাংলাদেশের মাথেনা মাধুর্য বিশ্বাস। ২১-৪, ২১-১০ পয়েন্টে হারেন বাংলাদেশের এই নারী শাটলার। মহিলা দ্বৈতের চেয়ে পুরুষ দ্বৈতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা একটু বেশি হয়েছে। হিমাংশু ও বিশাল শর্মা ১৫-২১ ও ১৩-২১ পয়েন্টে হেরেছেন। এ ছাড়া মিশ্র বিভাগে সেমিফাইনালে উঠতে পারেনি বাংলাদেশ। 

আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট শুরুর আগে সংবাদ সম্মেলনে ব্যাডমিন্টন ফেডারেশনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সাবেক জাতীয় চ্যাম্পিয়ন কামরুন নাহার ডানা সিনিয়র বিভাগের তুলনায় জুনিয়র বিভাগে তুলনামূলক ভালো ফলাফলের আশা করেছিলেন। বিগত আসরগুলোতে বাংলাদেশের স্বর্ণও ছিল জুনিয়র বিভাগে। এবার ফাইনালেই নেই। প্রত্যাশার সঙ্গে প্রাপ্তির অনেক পার্থক্যের কারণ সম্পর্কে ডানা বলেন,‌ ‘বিদেশি (ভারত ও ইন্দোনেশিয়া) খেলোয়াড়দের মান আমাদের চেয়ে অনেক এগিয়ে, এটাই প্রধান কারণ। বিগত সময়ে ব্যাডমিন্টনে উন্নয়নমূলক কাজ সেভাবে হয়নি। বিশেষত গত দেড় বছর আমরা কমিটিতে থাকলেও কাজের সুযোগ হয়নি। এখন চেষ্টা করছি কিছু করার, দেখা যাক কতদূর কি হয়।’

বাংলাদেশে প্রায় প্রতি ফেডারেশনেই নানা অন্তর্দ্বন্দ্ব রয়েছে। ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ডানার কণ্ঠে সেটারই অনুরনন। কর্মকর্তাদের গ্রুপিংয়ের বলি হন খেলোয়াড়রা এবং খেলাটিও ক্রমান্বয়ে পিছিয়ে পড়ে নানাভাবে।

এজেড/এএইচএস