১৪ নভেম্বর দেশের নয়টি ফেডারেশনের অ্যাডহক কমিটি দিয়েছিল জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি)। এরপর থেকে ক্রীড়াঙ্গনে প্রশ্ন উঠেছে– বাকি ফেডারেশনগুলোর কমিটি কবে নাগাদ প্রকাশ হবে। বাস্তবিক অর্থে অন্য ফেডারেশনগুলোর কমিটি পেতে অপেক্ষা করতে হবে আরও কিছু সময়।

যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ক্রীড়াঙ্গন সংস্কারের উদ্দেশ্যে সার্চ কমিটি গঠন করেছিলেন ২৯ আগস্ট। সেই সার্চ কমিটি বিভিন্ন ফেডারেশনের অ্যাডহক কমিটির সুপারিশ করে। ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সেটা পর্যালোচনা করার পর জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ প্রকাশ করে।

দেশে ফেডারেশন-এসোসিয়েশন মিলিয়ে মোট সংখ্যা ৫৫। সেখানে মাত্র নয়টি অ্যাডহক কমিটি গঠিত হয়েছে। অন্যান্য ফেডারেশনের অ্যাডহক কমিটির অগ্রগতি সম্পর্কে সার্চ কমিটির আহবায়ক জোবায়েদুর রহমান রানা বলেন, ‘আমরা এখনও পরবর্তী ধাপের ফেডারেশনগুলোর কমিটি সুপারিশ করিনি। প্রায় সকল ফেডারেশনের প্রস্তাবিত কমিটি আমরা করেছি। সেগুলো আরেকটু যাচাই-বাছাই করে এরপর ক্রীড়া পরিষদ/মন্ত্রণালয়কে দেব।’

নয় ফেডারেশনের অ্যাডহক কমিটি প্রকাশ হয়েছে প্রায় সপ্তাহ দুয়েক আগে। এর মধ্যে সার্চ কমিটি অন্য ফেডারেশনের কমিটি সুপারিশ করেনি। সার্চ কমিটির সুপারিশের পর মন্ত্রণালয় আবারও পর্যালোচনা করবে। ফলে অন্য সব ফেডারেশনের কমিটি প্রকাশে আরো মাস খানেকের বেশি সময় লাগছেই। ডিসেম্বরে আন্তর্জাতিক ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্ট রয়েছে। আরও বেশ কয়েকটি ফেডারেশনের বিদেশে প্রতিযোগিতার বিষয় রয়েছে। তাই দ্রুত কমিটি প্রকাশের তাগিদ অনুভব করছেন সার্চ কমিটির আহবায়ক নিজেই, ‘উপদেষ্টা মহোদয় দ্রুত কমিটি চান। আমরাও সেটা বাস্তবায়নের চেষ্টা করছি।’

২৯ আগস্ট মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে সার্চ কমিটির মেয়াদ ছিল দুই মাস। পরবর্তী আরেক প্রজ্ঞাপনে নির্দিষ্ট সময়সীমা উল্লেখ ছিল না। সার্চ কমিটি প্রায় তিন মাস কাজ করছে। ফেডারেশনগুলোর খসড়া অ্যাডহক কমিটি তারা প্রস্তুত করেছে আরও সপ্তাহ তিনেক আগেই। বর্তমান কার্যক্রম সম্পর্কে আহবায়ক বলেন, ‘আমরা এখন গঠনতন্ত্র নিয়ে কাজ করছি। গঠনতন্ত্র পর্যালোচনা করছি বেশ কয়েকটি ফেডারেশনের। গঠনতন্ত্র সার্চ কমিটির কাজের অন্যতম প্রধান অংশ।’

ফেডারেশনগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে জেলা-বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার। এখনও অনেক জেলা-বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থা গঠন করা হয়নি। জেলা-বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থা গঠন হলে সেগুলো পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় সংস্কার সুপারিশের ভাবনা রয়েছে সার্চ কমিটির। 

এজেড/এএইচএস