বাংলাদেশের অলিম্পিক হিসেবে খ্যাত বাংলাদেশ গেমস। মাল্টি ডিসিপ্লিনের এই প্রতিযোগিতা আগামী বছর আয়োজন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশন। 

বিওএ সভা শেষে সহ-সভাপতি ও মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান শেখ বশির আহমেদ মামুন বলেন, ‘বিওএ আগামী বছর বাংলাদেশ গেমস আয়োজন করবে। সামনেই আমাদের একটি নির্বাহী কমিটির সভা হবে। সেই সভায় গেমস সংক্রান্ত আরো বিস্তারিত আলোচনা হবে।’ 

১৯৭৮ সালে শুরু হওয়া বাংলাদেশ গেমস ২০০২ সালের পর দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল। ২০১৩ সাল থেকে পুনরায় আবার এই গেমস শুরু হয়েছে। ২০১৭ সাল থেকে যুবদের জন্য আলাদা গেমসও আয়োজন করছে বিওএ। দুই বছর অন্তর অন্তর যুব ও বাংলাদেশ গেমস আয়োজন করে আসছে। সেই অনুযায়ী ২০২৫ সালে বাংলাদেশ গেমস ও ২০২৬ যুব গেমস আয়োজনের আলোচনা হয়েছে আজকের সভায়। 

বিওএ আজকের সভায় সভাপতিত্ব করেছেন নবনির্বাচিত সভাপতি সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার উজ জামান। নতুন সভাপতির প্রথম সভায় অলিম্পিক ভিলেজ নিয়ে আলোচনা হয়েছে, ‘আমাদের সভাপতি খেলাধুলার প্রতি অত্যন্ত আন্তরিক। বাংলাদেশের খেলাধুলার মানউন্নয়নের জন্য অলিম্পিক ভিলেজ প্রয়োজন। বিওএ এই সংক্রান্ত একটি কমিটি করবে। ভিলেজের জন্য সরকারের সহায়তা চাইব না পেলে নিজেদের অর্থায়নে ভিলেজ করব।’ 

অলিম্পিক ভিলেজ ছাড়াও বিওএ নতুন সভাপতি ফেডারেশন ও অনুশীলনের অবকাঠামোর বিষয়ে জোর দিয়েছেন। এই বিষয়ে বিওএ সহ-সভাপতি বলেন, ‘আমাদের সভাপতি স্টেডিয়াম এলাকায় খেলাধুলা করেছেন। উনার সম্পুর্ন ধারণা রয়েছে। খেলোয়াড়দের সুন্দর পরিবেশ ও অনুশীলনের জায়গা দেয়া প্রয়োজন। ফেডারেশনগুলোর সমস্যা নিয়ে অলিম্পিক, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ ও মন্ত্রণালয় বৈঠক করবে খেলার মান উন্নয়নের জন্য।’ 

 

৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে দেশের অন্য ক্ষেত্রের মতো ক্রীড়াঙ্গনও রদবদল হয়েছে। অনেক ফেডারেশনের কর্মকর্তা পদত্যাগ করেছেন আবার অনেককে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ সরিয়ে দিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশনও সংকটে। এই প্রসঙ্গে বিওএ সহ-সভাপতি বলেন, ‘এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশন আইওসি চার্টার অনুযায়ী চলবে। ফেডারেশনের পদে না থাকলেও অলিম্পিকে নির্বাচিত কমিটির কর্মকর্তারা দায়িত্ব পালন করতে পারবে।’ 

সম্প্রতি জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ নয়টি ফেডারেশনের অ্যাডহক কমিটি গঠন করেছে। সামনে অন্য ফেডারেশনগুলোতেও অ্যাডহক কমিটি গঠন হবে। বিওএ ফেডারেশনের প্রতিনিধি নিয়ে গঠিত হয়। ২০২৫ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বিওএ নির্বাহী কমিটির মেয়াদ। ফেডারেশনের অ্যাডহক কমিটির প্রতিনিধি দিয়ে বিওএ নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে সহ-সভাপতি বলেন, ‘এটা নিয়ে মতবিরোধ রয়েছে। আমরা তিন চার মাস পর এজিএম আয়োজন করব। সেখানে সংখ্যাগরিষ্ঠের মতামতের ভিত্তিতে নির্বাচনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে। কোনো বিষয়ে অস্পষ্টতা ও সমস্যা হলে আইওসি এবং ওসির নির্দেশনা গ্রহণ করব।’ 

এজেড/জেএ