অলিম্পিকের পর বিশ্বের দ্বিতীয় সর্ববৃহৎ প্রতিযোগিতা হিসেবে আখ্যায়িত হয় কমনওয়েলথ গেমস। ভেন্যু জটিলতায় ২০২৬ সালের গেমস নিয়ে অনিশ্চয়তা ছিল। অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়া থেকে এখন ভেন্যু হয়েছে স্কটল্যান্ডের গ্লাসগো। 

আজ (মঙ্গলবার) গ্লাসগো কমনওয়েলথ গেমস উপলক্ষ্যে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেই সভায় চূড়ান্ত হয়েছে গেমসের ডিসিপ্লিন। আসন্ন গেমসের ডিসিপ্লিনের মধ্যে রয়েছে– অ্যাথলেটিক্স, সাঁতার, আর্টিস্টিক জিমন্যাস্টিক্স, ট্র্যাক সাইক্লিং, নেট বল, ভারোত্তোলন, বক্সিং, জুডো, বাস্কেটবল এবং লন বল। 

২০২২ বার্মিংহাম গেমসেও ছিল না শ্যুটিং। পরের আসরেও থাকছে না। এতে হতাশ ২০১৮ সালে গোল্ডকোস্ট কমনওয়েলথের রৌপ্যজয়ী শাকিল আহমেদ, ‘এশিয়ান গেমসে ৪০টির বেশি দেশ অংশগ্রহণ করে। সেখানে কমনওয়েলথে ৭০। দেশভিত্তিক অংশগ্রহণের সংখ্যার ভিত্তিতে এটি বিশ্বের দ্বিতীয় সর্ববৃহৎ গেমস। সেই গেমসে বাংলাদেশ ধারাবাহিক পদক পেয়ে আসছে শ্যুটিং থেকে। সেই ডিসিপ্লিন না থাকা খুবই হতাশার।’

১৯৯০ সালে অকল্যান্ড কমনওয়েলথ গেমসে বাংলাদেশ শ্যুটিং থেকে প্রথম পদক পায়। ২০০২ সালে ম্যানচেস্টারে আসিফ হোসেন খান ১০ মিটার এয়ার রাইফেলে স্বর্ণ জেতেন। ২০১৪ ও ২০১৮ সালে এয়ার রাইফেলে আব্দুল্লাহ হেল বাকী ও শাকিল জেতেন রৌপ্য। ২০২২ সালে শ্যুটিং না থাকায় কোনো পদক ছিল না বাংলাদেশের। 

গেমসের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ডিসিপ্লিন শ্যুটিং। আন্তর্জাতিক শ্যুটিং ফেডারেশন কমনওয়েলথ গেমসে ডিসিপ্লিনটি অন্তর্ভূক্তির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তাই কিছুটা আশা নিয়ে আছেন সাবেক রৌপ্যজয়ী শ্যুটার, ‘আইএসএসএফ তাদের পেজে কমনওয়েলথ গেমসে শ্যুটিং অন্তর্ভূক্তির চেষ্টা চলমান আছে বলে জানিয়েছে। দেখি শেষ পর্যন্ত কি হয়। গতবারের মতো এবারও শ্যুটিং না থাকলে বাংলাদেশের জন্য হবে খুব হতাশার।’

কমনওয়েলথ গেমস কর্তৃপক্ষ কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোকে অংশগ্রহণের জন্য এন্ট্রি আহ্বান করবে। সেই এন্ট্রির পর অংশগ্রহণকারী দেশগুলোকে ডিসিপ্লিন ও খেলোয়াড় চূড়ান্ত করতে হবে। সামনে এই আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করবে বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশন। গত কমনওয়েলথে বাংলাদেশ অ্যাথলেটিক্স, সাঁতার, টিটি ও বক্সিংয়ে অংশগ্রহণ করেছিল। 

এজেড/এএইচএস