চাইনিজ তাইপেতে আবহাওয়া অত্যধিক খারাপ হওয়ায় সকল পদকের লড়াই আজই অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনূর্ধ্ব-২১ রিকার্ভ বালক একক ইভেন্টের ফাইনাল খেলায় বাংলাদেশের আব্দুর রহমান আলিফ রৌপ্য জেতেন। স্বাগতিক চাইনিজ তাইপে’র সঙ্গে হুয়াং লি-চেং ৫-৫ সেটে খেলা ড্র হয়েছিল। সোনা জয়ের জন্য দুই জনই শুট অফে একটি করে তীর ছোড়েন। আলিফের তীর বোর্ডে ৯ ও হুয়াংয়ের তীর দশে দশ স্পর্শ করে। এতে সোনার বদলে আলিফকে রৌপ্য নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়। 

অনূর্ধ্ব-২১ ক্যাটাগরিতে রিকার্ভ মিশ্র দলগত বিভাগেও বাংলাদেশ শুট অফে হেরেছে। কোয়ার্টার ফাইনালে বাংলাদেশ কাজাখস্তানের মধ্যে ১ম পর্যায়ে ৪-৪ সেটে ড্র হয়। পরবর্তীতে উভয় দলের প্রত্যেকে ১টি করে তীর ছুড়ে। এতে বাংলাদেশের স্কোর হয় ১৮ এবং কাজাখস্তানের স্কোর হয় ১৮+।

অনূর্ধ্ব-২১ ক্যাটাগরিতে কম্পাউন্ড মিশ্র দলগত ইভেন্টে ইলিমিনেশন রাউন্ডের ১/৮ খেলায় বাংলাদেশ (মোঃ আল শাহারিয়ার রহমান জয় ও পুস্পিতা জামান) বাই পেয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে উন্নীত হয়। কোয়ার্টার ফাইনালে বাংলাদেশ ১৫৪-১৪৯ স্কোরের ব্যবধানে ইরানকে হারিয়ে সেমি-ফাইনালে উন্নীত হয়। সেমি-ফাইনালে বাংলাদেশ ১৫১-১৫২ স্কোরের ব্যবধানে চাইনিজ তাইপে’র নিকট পরাজিত হয়।

অনূর্ধ্ব-২১ ক্যাটাগরিতে কম্পাউন্ড মিশ্র দলগত ইভেন্টে ব্রোঞ্জ মেডেল ম্যাচে বাংলাদেশ কাজাখস্তানের মধ্যে ১ম পর্যায়ে ১৪৭-১৪৭ স্কোরের ব্যবধানে ড্র হয়। পরবর্তীতে উভয় দলের প্রত্যেকে ১টি করে তীর ছুড়ে। এতে বাংলাদেশের স্কোর হয় ১৫ এবং কাজাখস্তানের স্কোর হয় ১৭। শেষ তীরের ফলাফলের ভিত্তিতে বাংলাদেশ কাজাখস্তানের নিকট পরাজিত হয়।

অনূর্ধ্ব-২১ ক্যাটাগরিতে রিকার্ভ বালক দলগত ইভেন্টে ইলিমিনেশন রাউন্ডের ১/৮ খেলায় বাংলাদেশ (আব্দুর রহমান আলিফ, মোঃ সাগর ইসলাম ও মোঃ রাকিব মিয়া) বাই পেয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে উন্নীত হয়। কোয়ার্টার ফাইনালে বাংলাদেশ ৬-০ সেটে সৌদিআরবকে পরাজিত করে সেমি-ফাইনালে উন্নীত হয়। সেমি-ফাইনালে বাংলাদেশ ১-৫ সেটে ভারতের নিকট পরাজিত হয়। ব্রোঞ্জ মেডেল ম্যাচে বাংলাদেশ ১/৫ সেটে মালয়েশিয়ার নিকট পরাজিত হয়।

অনূর্ধ্ব-১৮ ক্যাটাগরিতে রিকার্ভ মিশ্র দলগত ইভেন্টে ইলিমিনেশন রাউন্ডের ১/৮ খেলায় বাংলাদেশ (আব্দুল্লা আল মোহাম্মদ রাফি ও মোসঃ মনিরা আক্তার) বাই পেয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে উন্নীত হয়। কোয়ার্টার ফাইনালে বাংলাদেশ এবং ইরানের মধ্যে ১ম পর্যায়ে ৪-৪ সেটে ড্র হয়। পরবর্তীতে উভয় দলের প্রত্যেকে ১টি করে তীর ছুড়ে। এতে বাংলাদেশের স্কোর হয় ১৯ এবং ইরানের স্কোর হয় ১৯+। অর্থ্যাৎ ইরাানের তীর কেন্দ্র বিন্দুর নিকটবর্তী হওয়ায় বাংলাদেশ ৪-৫ সেটে ইরানের নিকট পরাজিত হয়।

অনূর্ধ্ব-১৮ ক্যাটাগরিতে রিকার্ভ বালিকা দলগত ইভেন্টে ইলিমিনেশন রাউন্ডের কোয়ার্টার ফাইনাল খেলায় বাংলাদেশ (মোসাঃ মনিরা আক্তার, মোসাঃ আরভী আক্তার ও সোনলী রায়) এবং ফিলিপাইনের মধ্যে ১ম পর্যায়ে ৪-৪ সেটে ড্র হয়। পরবর্তীতে উভয় দলের প্রত্যেকে ১টি করে তীর ছুড়ে। এতে বাংলাদেশের স্কোর হয় ২৫ এবং ফিলিপাইনের স্কোর হয় ২৬। শেষ তীরের ফলাফলের ভিত্তিতে বাংলাদেশ ৪-৫ সেটে ফিলিপাইনের নিকট পরাজিত হয়।

অনূর্ধ্ব-১৮ ক্যাটাগরিতে রিকার্ভ বালক দলগত ইভেন্টে ইলিমিনেশন রাউন্ডের কোয়ার্টার ফাইনাল খেলায় বাংলাদেশ (আব্দুল্লা আল মোহাম্মদ রাফি, মোঃ নাহিদ হাসান ও মোঃ হিমেল সরোয়ার) বাই পেয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে উন্নীত হয়। কোয়ার্টার ফাইনালে বাংলাদেশ ৫-১ সেটে কাজাখস্তানকে পরাজিত করে সেমি-ফাইনালে উন্নীত হয়। সেমি-ফাইনালে বাংলাদেশ ০-৬ সেটে দক্ষিণ কোরিয়ার নিকট পরাজিত হয়। অনুর্ধ্ব-১৮ ক্যাটাগরিতে রিকার্ভ বালক দলগত ইভেন্টে ব্রোঞ্জ মেডেল ম্যাচে বাংলাদেশ (আব্দুল্লা আল মোহাম্মদ রাফি, মোঃ নাহিদ হাসান ও মোঃ হিমেল সরোয়ার) ০-৬ সেটে চাইনিজ তাইপে’র নিকট পরাজিত হয়।

এইচজেএস