যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ে দায়িত্ব নেয়ার পর নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করছেন আসিফ মাহমুদ সজীব ভূইয়া। ফেডারেশন সংস্কারের পাশাপাশি জাতীয় ক্রীড়া পরিষদেও স্বচ্ছতা-জবাবদিহিতা আনার চেষ্টা করছেন। ইতোমধ্যে কিছু কাজও করেছেন। সেই আলোকে ক্রীড়া পরিদপ্তরে বড় বদলি করেছেন।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে খেলাধূলা, শারীরিক শিক্ষক তৈরিই মূলত কাজ ক্রীড়া পরিদপ্তরে। ক্রীড়া পরিদপ্তরের প্রধান যুগ্ম সচিব পদমর্যাদার একজন পরিচালক। উপ পরিচালক পদ থাকলেও পরিদপ্তরে নেই। আছেন দুই জন সহকারী পরিচালক। সেই দুই সহকারী পরিচালক সম্প্রতি পরিচালক আনম তরিকুল ইসলামের বিপক্ষে আন্দোলন-মানববন্ধন করে পরিদপ্তরের পরিবেশ অস্থিতিশীল করেছেন।

গতকাল পরিচালকের অপসারণ চেয়ে বেশ বড় মানববন্ধন করেছিলেন জেলা ক্রীড়া অফিসার, শারীরিক শিক্ষা কলেজের শিক্ষকগণ। সেই আন্দোলনের নেতৃত্বে ছিলেন পরিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আলিমুজ্জামান। আজ যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় আলিমুজ্জামানকে পরিদপ্তরের সহকারী পরিচালক থেকে বদলি করে পঞ্চগড়ের ক্রীড়া অফিসারে পদায়ন করেছে। পাশাপাশি পরিদপ্তরের আরেক সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) এসআই এম ফেরদৌস আলমকে রাঙমাটি জেলার ক্রীড়া অফিসার হিসেবে পদায়ন করা হয়েছে।

মাওলানা ভাসানী স্টেডিয়ামে এক প্রান্তে ক্রীড়া পরিদপ্তরের অফিস। সেই অফিসের এক পাশে ঢাকা জেলা ক্রীড়া অফিস। পরিদপ্তরের দুই সহকারী পরিচালকের পাশাপাশি ঢাকা জেলা ক্রীড়া অফিসার জাহাঙ্গীর হোসেনকে লক্ষীপুরে ক্রীড়া অফিসার হিসেবে বদলি করা হয়েছে। এই তিন কর্মকর্তাকে আগামীকাল বর্তমান কর্মস্থল থেকে অবমুক্ত হয়ে পরশু দিন নতুন কর্মস্থলে যোগদান করতে হবে। পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত এই আদেশ কার্যকর থাকবে।

তরিকুল পরিচালক হিসেবে পরিদপ্তরে এসেছেন এক বছরের কম সময়। এর মধ্যেই পরিদপ্তরের অনেকে অভিযোগের স্তুপ জমা করে পরিস্থিতি ঘোলাটে করার চেষ্টা করেছে। যা শৃঙ্খলা পরিপন্থী। তিন কর্মকর্তাকে বদলির পাশাপাশি যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় পরিচালক তরিকুলের আচার-আচরণ ও কর্মকান্ডও গভীরভাবে খতিয়ে দেখছে। পরিচালকেরও কোনো ব্যর্থতা-গাফিলতি খুজে পেলে ক্রীড়া মন্ত্রণালয় বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেবে।

পরিচালক পদায়ন হয় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে। তাই এই পদে পরিবর্তন একটু সময়সাপেক্ষ। সহকারী পরিচালক, ক্রীড়া অফিসার মন্ত্রণালয়ের একেবারে নিজস্ব আওতাধীন। তাই এদের বদলি বা যেকোনো প্রকার সিদ্ধান্ত মন্ত্রণালয় তাৎক্ষণিকভাবে গ্রহণ করতে পারে।

এজেড/এইচজেএস