এশিয়ান গেমস-২০২৬ এর আয়োজক দেশ জাপান। ৪৫টি দেশের কয়েক হাজার ক্রীড়াবিদ এতে অংশ নেবেন। তবে এবার বিভিন্ন দেশের খেলোয়াড়, কোচ, সাপোর্ট স্টাফ, কর্তাদের থাকার জন্য গেমস ভিলেজ তৈরি না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটি। খেলোয়াড়দের থাকার জন্য বিকল্প ব্যবস্থা করতে যাচ্ছে তারা।

অলিম্পিক কাউন্সিল অব এশিয়ার বৈঠকে অভিনব এশিয়ান গেমস আয়োজনের কথা জানিয়েছেন সুনেকাজু তাকেদা। 

জাপান অলিম্পিক কমিটির সাবেক সভাপতি জানিয়েছেন, তারা এশিয়ান গেমসের জন্য ‘ভিলেজ’ নির্মাণ করবেন না। কারণ, বেশির ভাগ সময়ই দেখা যায়, বিভিন্ন গেমসের জন্য তৈরি বহুতলগুলো পরিত্যক্ত অবস্থায় পরে থাকে। তাই এবার বিকল্প ব্যবস্থার পরিকল্পনা করা হয়েছে। 

তাকেদা জানিয়েছেন, খেলোয়াড়দের মতো ম্যাচ অফিসিয়াল এবং কর্তাদের থাকার জন্যও একই ব্যবস্থা থাকবে আসন্ন এশিয়ান গেমসে।

কী সেই ব্যবস্থা? 

বিভিন্ন দেশের খেলোয়াড়, কোচ, কর্তাদের থাকার ব্যবস্থা করা হবে দুই আয়োজক শহর নাগোয়া এবং আইচি প্রিফেকচারের হোটেলগুলোতে। কিছু বিলাস বহুল জাহাজও (ক্রুজ) থাকবে। 

তিনি বলেন, আমরা কোনও গেমস ভিলেজ তৈরি করছি না। দুটি শহর মিলিয়ে গেমস হবে। পরিবর্তে আমরা বিভিন্ন হোটেল এবং ক্রুজে সকলের থাকার ব্যবস্থা করছি। ক্রুজগুলোতে চার হাজার জনের থাকার ব্যবস্থা থাকবে। খেলোয়াড় ছাড়াও কোচ, সাপোর্ট স্টাফ, কর্তা, ম্যাচ অফিসিয়াল সকলের জন্য একই ব্যবস্থা থাকবে।

তবে জাপানের এই প্রস্তাব মানতে পারেননি অলিম্পিক কাউন্সিল অফ এশিয়ার অধিকাংশ সদস্য। তাদের বক্তব্য, এই ব্যবস্থায় গেমসের স্পিরিট নষ্ট হবে। 

অলিম্পিক কাউন্সিল অফ এশিয়ার নবনিযুক্ত সভাপতি রণধীর সিংহ সরাসরি বিরোধিতা না করলেও অসন্তোষ গোপন করেননি। 

তিনি বলেন, একটা নির্দিষ্ট জায়গায় ভিলেজ তৈরি করা উচিত। বিভিন্ন দেশের তরুণ প্রজন্মকে এক জায়গায় রাখাটাও গুরুত্বপূর্ণ। এই ধরনের গেমসের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ হল ভিলেজ জীবন।

তবে এশিয়ান গেমসে প্রতি বছরই বৃদ্ধি পাচ্ছে খেলোয়াড়ের সংখ্যা। আগামী গেমস থেকে এই সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করতে চায় অলিম্পিক কাউন্সিল অফ এশিয়া। 

রণধীর জানান, গত বারের গেমসে ৩২টি দেশ অংশগ্রহণ করেছিল ফুটবলে। এবার থেকে প্রথম আটটি দল সুযোগ পাবে। ব্যক্তিগত ইভেন্টগুলোতে একটি দেশের দুতিন জনের বেশি প্রতিনিধিত্ব করতে পারবেন না।

এমএসএ