রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর বিভিন্ন ক্ষেত্রের মতো ক্রীড়াঙ্গনেও চলছে আন্দোলন-বিক্ষোভ। আজ ভলিবল খেলোয়াড়েরা ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়ে ১৯ দফা দাবি পেশ করেছেন।

ফেডারেশন সংস্কারের লক্ষ্যে ১৯ দফা দাবি নিয়ে আজ পল্টনস্থ শহীদ নূর হোসেন জাতীয় ভলিবল স্টেডিয়ামের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচিতে অংশ নেন জাতীয় দলের বর্তমান খেলোয়াড় হরষিত বিশ্বাস, তানভীররা। পাশাপাশি সাবেক খেলোয়াড় সোহেল, সাদ্দাম, কাঞ্চন, আমিরুল ইসলাম আপনসহ অনেকে অংশ নেন। বর্তমান কমিটির নানান দুর্নীতি, অনিয়মের বিরুদ্ধে স্লোগানে স্লোগানে মুখর করেন তারা।

বর্তমান কমিটির পদত্যাগ চেয়ে এবং অতিসত্বর অ্যাডহক কমিটি গঠন করে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের কাছে চিঠিও দিয়েছেন। বেধে দিয়েছেন ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম। ১৯ দফা দাবি পূরণ না হলে আরো বৃহত্তর কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছেন এই আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক সোহেল, সাদ্দামরা।

ভলিবল ফেডারেশন সংস্কার আন্দোলন কর্মসূচির প্রধান সমন্বয়ক জাতীয় দলের সাবেক তারকা মিডল ব্লকার সোহেল রানা বলেন, `আমরা ১৯ দফা দাবি নিয়ে আজ এখানে উপস্থিত হয়েছি। যেখানে আমাদের প্রথম এবং প্রধানতম দাবিই হচ্ছে বর্তমান কমিটির অর্থব সদস্যদের পদত্যাগ। আমরা চাই অতিসত্বর অ্যাডহক কমিটি গঠিত হোক। সাবেক খেলোয়াড়দের ৩০ ভাগ সেই কমিটিতে রেখে।'

'আশাকরি মাননীয় যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আমাদের যৌক্তিক ১৯ দফা দাবিগুলো দেখবেন এবং অতিসত্বর ব্যবস্থা নেবেন। কারণ দীর্ঘ যুগ-কাল ধরে আমরা খেলোয়াড়রা নানান সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত, নিপীড়িত, নিষ্পেশিত, বঞ্চিত।'

সোহেল রানার সুরে সুর মিলিয়ে জাতীয় দলের সাবেক খেলোয়াড় এবং সহ-সমন্বয়ক আব্দুল মুমিন সাদ্দাম জানান, `আজ সারা দেশ থেকে আমাদের এই আন্দোলনে খেলোয়াড়রা সামিল হয়েছেন। বিভিন্ন বাহিনীতে থাকা খেলোয়াড়রা সশরীরে উপস্থিত হতে না পারলেও, স্যোসাল মিডিয়া প্লাটফর্ম ফেসবুকে তারা বিভিন্ন ভিডিও বার্তা দিয়ে আামাদের দাবির পক্ষে তাদের সমর্থন জানিয়েছেন।‘

দীর্ঘদিন জাতীয় দলের জার্সিতে খেলেছেন আমিরুল ইসলাম আপন। সিনিয়র এ খেলোয়াড়ও আজ মানববন্ধন কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছেন। ফেডারেশন দ্বারা নানান সময়ে বঞ্ছনার যে শিকার হয়েছেন খেলোয়াড়রা, চিকি’সার অভাবে অনেকে যে পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন- সেসব কথা গণমাধ্যমের সামনে তুলে ধরেছেন আপন। বর্তমান কমিটির পদত্যাগের পাশাপাশি আরো কিছু দাবির ব্যাপারে জোরালো বক্তব্য রেখেছেন সোহেল-সাদ্দামরা।

যেমন জাতীয় দলের সাবেক খেলোয়াড়দের নিয়ে অডিট কমিটি করা (নিরপেক্ষ অডিট ফার্মের মাধ্যমে সেটা পরিচালিত হতে হবে), কোচিং এবং সিলেকশন কমিটিতে দক্ষ লোক বিশেষ করে জাতীয় দলের সাবেক খেলোয়াড় বাধ্যতামূলক রাখা (লেভেল ২ কোচিং কোর্সের জ্ঞান থাকাতে হবে), দেশের নামি-দামি কর্পোরেট ক্লাবের পাশাপাশি সমর্থকপুষ্ট জনপ্রিয় ক্লাবগুলোকে লিগে অন্তর্ভূক্ত করা, প্রতি বছর লিগ আয়োজন (নারী ও পুরুষ), আন্ত”বিশ্ববিদ্যালয় ভলিবল প্রতিযোগিতা আয়োজনসহ জাতীয় দলের কমপক্ষে ১৪/১৫ জন খেলোয়াড়কে বেতন কাঠামোতে যুক্ত করা। 

এজেড/এইচজেএস