প্যারিস অলিম্পিকের পর্দা নেমেছে সপ্তাহখানেক আগে। তবে এর ছয়দিন পর আসরের প্রথম পদক হাতে পেলেন রোমানিয়ার জিমন্যাস্ট আনা বারবোসু। এর আগে ব্রোঞ্জ (তৃতীয়) পদকটি উঠেছিল যুক্তরাষ্ট্রের জর্ডান চিলেসের গলায়। রোমানিয়ার জিমন্যাস্টিক্স সংস্থা এর বিরুদ্ধে আপিল করে সফল হয়েছে। ফলে চিলেসের বাতিল হওয়া সেই পদক নিজের ইভেন্টে অংশ নেওয়ার ১১ দিন পর হাতে পেলেন রোমানিয়ার বারবোসু।

অলিম্পিক্সে আর্টিস্টিক জিমন্যাস্টিক্সের ব্যক্তিগত ফ্লোর এক্সারসাইজ ইভেন্টে ব্রোঞ্জ পেয়েছিলেন চিলেস। একই ইভেন্টে রৌপ্য পান তারই স্বদেশি কিংবদন্তি জিমন্যাস্ট সিমোনা বাইলস। চিলেসের পারফরম্যান্স শেষ হওয়ার পরে পয়েন্ট নিয়ে খুশি হতে পারেননি কোচ সিসিল লান্ডি। তখন চিলেসের অবস্থান ছিল পঞ্চম। তিনি বিচারকদের কাছে পুনরায় বিবেচনার আবেদন করেন। বিচারকেরা আবার মূল্যায়ন শেষে চিলেসকে অতিরিক্ত .১০০ পয়েন্ট দেন। ফলে চিলেসের স্কোর ১৩.৬৬৬ থেকে ১৩.৭৬৬ হয়ে যায়।

এর আগে প্রথমবার স্কোর প্রকাশ্যে আসার সময় রোমানিয়ার বারবোসু তৃতীয় স্থানে ছিলেন। তার স্কোর ছিল ১৩.৭০০। চতুর্থ স্থানেও রোমানিয়ার এক জিমন্যাস্ট ছিলেন। .১০০ পয়েন্ট বেড়ে যাওয়ায় দু’জনকেই টপকে পঞ্চম স্থান থেকে সরাসরি ব্রোঞ্জ পদকের স্থানে চলে আসেন চিলেস। এতে ক্ষিপ্ত হয় রোমানিয়ার জিমন্যাস্টিক্স সংস্থা। নিয়ম অনুযায়ী, স্কোর সামনে আসার এক মিনিটের মধ্যে আবেদন করতে হয়। রোমানিয়ার দাবি– আমেরিকার কোচ তার চার সেকেন্ড পরে আবেদন করেছেন। তাই এই আবেদন মেনে নেওয়া বিচারকদের উচিৎ হয়নি। তারা ক্রীড়া আদালত ক্যাস-এ আবেদন করে। ক্যাস জানায়, রোমানিয়াই ঠিক।

গতকাল রোমানিয়ার রাজধানী বুখারেস্টে বারবোসুর হাতে সেই পদক তুলে দেওয়া হয়েছে। ওই সময়ে তিনি পদক বাতিল হওয়া চিলেস ও তার সতীর্থ সাবরিনা মানেকা-ভোয়েনিয়াকে স্মরণ করে বলেন, ‘এই মুহূর্তে আমার আসলে কিছু করার বা বলার নেই, তবে আমি ভাবছি সাবরিনা ও জর্ডানের (চিলেস) কথা। আমাদের প্রত্যেকের জন্য এটি কঠিন মুহূর্ত। এর সঙ্গে অনিশ্চয়তা এবং আবেগ যুক্ত ছিল। আমি চাই এমন দিন আসুক, যেদিন আমরা তিনজনই ব্রোঞ্জ মেডেল জিতব।’

অন্যদিকে, নিজের পদক বাতিলের প্রতিক্রিয়া মার্কিন অ্যাথলেট চিলেস জানান, ‘আমার কিছু বলার নেই। এই সিদ্ধান্ত অন্যায্য মনে হচ্ছে এবং এটি কেবল আমার জন্যই নয়, এই ইভেন্টে চ্যাম্পিয়ন হওয়া ব্যক্তিসহ সবার জন্য। যুক্তরাষ্ট্র জিমন্যাস্টিকসের পক্ষ থেকে করা আপিরে আমরা পূর্ণ আত্মবিশ্বাস ছিল। স্কোর দেওয়ার ক্ষেত্রে নীতিমালা অনুসরণের সব প্রমাণ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেই আবেদন সফল হয়নি।’

প্রসঙ্গত, এ নিয়ে ২০১২ সালের পর প্রথম অলিম্পিক পদক জিতল রোমানিয়া। ২০১২ লন্ডন অলিম্পিকে দেশটির হয়ে কাতালিনা পোনর একই ইভেন্টে রৌপ্য ও পোল ভল্টে স্বর্ণ জিতেছেন স্যান্দ্রা ইজবাসা।

এএইচএস