যুগে যুগে বক্সিং উপহার দিয়েছে বিশ্বের সেরা ক্রীড়াবিদদের। মোহাম্মদ আলী, মাইক টাইসন, ফ্লয়েড মেইওয়েদাররা সারা বিশ্বেই স্বীকৃত আইকন। মোহাম্মদ আলীর জনপ্রিয়তা এতই বেশি, বাংলাদেশেও এসেছিলেন এই বক্সিং কিংবদন্তি। কিন্তু সেই তুলনায় বক্সিং বাংলাদেশে একেবারেই অনুচ্চারিত এক শব্দ। দেশের একমাত্র স্বীকৃত বক্সার হিসেবে রিংয়ে খেলছেন সুর কৃষ্ণ চাকমা। 

রাঙামাটি থেকে উঠে আসা সুর কৃষ্ণ এখন দেশের বক্সিংয়ের আইকন। জাতীয় চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন কয়েকবার। দেশের একমাত্র স্বীকৃত পেশাদার বক্সার। বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত প্রথম পেশাদার বক্সিংয়ে হয়েছেন সেরা। এশিয়ান বক্সিং ফেডারেশনের সুপার লাইটওয়েট ইন্টারকন্টিনেন্টাল চ্যাম্পিয়নশিপ বেল্ট জিতেছেন এই বক্সার। তিনিই এবার মুখ খুললেন ফেডারেশনের বিপক্ষে। 

নিজের ফেসবুকে রীতিমত বিস্ফোরক মন্তব্যই করেছেন সুর কৃষ্ণ চাকমা। বিদেশে প্রশিক্ষণ নেয়ার কারণে নিষিদ্ধ হয়েছেন– এমন অভিযোগও করেছেন এই বক্সার। অভিযোগ এনেছেন বক্সিং ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদককে নিয়েও। 

নিজের ফেসবুক ওয়ালে এক স্ট্যাটাসে ক্ষোভ নিয়েই সুর কৃষ্ণ লিখেছেন, ‘২০১৩ সাল থাকে ২০২২ পর্যন্ত বাংলাদেশ গেমস সহ যত জাতীয় প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছি সে সব প্রতিযোগিতায় একেকটা মেডেল ছাড়া ফেডারেশন থেকে কিছুই পাইনি।’ তার ভাষ্য, ‘আমি এ কথাগুলো বলছি শুধু মাত্র পরবর্তী প্রজন্মের কথা ভেবে।’  

ফেডারেশনের বিরুদ্ধে কড়া অভিযোগ এনেছেন এরপরেই, ‘শুধুমাত্র উচ্চতর প্রশিক্ষণের বিদেশ যাত্রার জন্য ফেডারেশন থেকে নিষিদ্ধ হয়েছি। খেলোয়াড়দের নিয়ে যদি সুষ্ঠু পরিকল্পনা নিয়ে আগানো না যাই বাংলাদেশের ইতিহাসে কোন কালেই খেলোয়াড়দের জীবন মান উন্নতি হবে না। সকল অনিয়মের বিরুদ্ধে কথা বলার লোক নাই।’

আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা আয়োজনের ব্যর্থতা নিয়েও মন্তব্য করেছেন এশিয়ার সেরা হওয়া এই বক্সার, ‘২০১৪ সাল থেকে এখন পর্যন্ত বক্সিং ফেডারেশনের কোন সাধারণ সম্পাদক একটা আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা আয়োজন করতে পারে নাই। বছরের পর বছর জাতীয় দলের খেলোয়াড়রা একটা আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতার জন্য বসে থাকে। দীর্ঘ মেয়াদি কোন প্রশিক্ষণ হয় না। প্রফেশনাল বক্সিংটা আসার কারণে বাংলাদেশের বক্সিংটা মানুষ জানতেছে। এখানে ফেডারেশনের কোন ভূমিকা নেই।’ 

আমাদের ফেডারেশনে দক্ষ নেতৃত্বের অভাব উল্লেখ করে ফেডারেশনের সংস্করণও দাবি করেছেন সুর কৃষ্ণ চাকমা। 

জেএ