অলিম্পিকের ১০ মিটার এয়ার পিস্তল ইভেন্টের খেলা চলছে। অন্যরা শুটিংয়ের জন্য একেবারে সব স্পেশালাইজড গিয়ার পরে আছেন। চোখে বিশেষ ধরনের লেন্স, কানে বিশাল শব্দনিরোধক হেডফোন। গভীর মনোযোগ আর উত্তেজনায় টান টান সবাই।

কিন্তু তাদের পাশেই দাঁড়িয়ে থাকা তুরস্কের ৫১ বছরের শুটার ইউসুফ ডিকেচের যেন সেসবে বয়েই গেছে। চোখে স্রেফ চশমা পরে পিস্তল তাক করে অলিম্পিকে রুপা জিতলেন তুরস্কের এই শুটার। আর সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গেয়েছে মুহূর্তেই।

ইউসুফের ‘ক্যাসুয়াল’ লুকও নজর কেড়েছে সবার। এক হাত পকেটে রেখে এমন নির্বিকার ভঙ্গিতে দাঁড়ানো দেখে অভিভূত হয়ে গিয়েছেন নেটিজেনরা। ছড়িয়ে পড়েছে অসংখ্য মিম। কেউ-কেউ তো বলতে শুরু করেছেন যে অলিম্পিকে ‘হিটম্যান’ পাঠিয়েছে তুরস্ক। বাস্তবে অবশ্য ‘হিটম্যান’-র বেশি কিছু ছিলেন তিনি। মিলিটারিতে ছিলেন বলে জানা গেছে। 

গত ৩০ জুলাই প্যারিস অলিম্পিকের ১০ মিটার এয়ার পিস্তল ইভেন্টে সেভাল লাদিয়া তারহানের সঙ্গে মিশ্র ইভেন্টে রুপা জেতেন ইউসুফ ডিকেচ। ফাইনালে সার্বিয়ার পুরুষ শুটার দামির মিকেচের কাছে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করে হেরে যান ডিকেচ। তবুও রুপা জিতেন তিনি। 

২০০৮ সাল থেকে অলিম্পিকে খেলছেন ইউসুফ। চলতি আসরে এসে নিজের প্রথম অলিম্পিকে পদক জিতলেন। ১০ মিটার এয়ার পিস্তলের মিক্সড টিম ইভেন্টে রুপা জেতেন তুরস্কের এই শ্যুটার। তার হাত ধরে শুটিংয়ে প্রথম পদক পেল তুরস্ক।

ইউসুফকে দেখে মুগ্ধ একজন মন্তব্য করেছেন,  'কোনো স্পেশালাইজড লেন্স, আই কভার বা ইয়ার প্রোটেকশন ছাড়াই ৫১ বছরের এক ব্যক্তিকে পাঠিয়ে দিয়েছে তুরস্ক। পকেটে হাত দিয়ে দুটি চোখ খুলে রেখে শ্যুটিং করছেন। আর খেলার ছলে রুপা জিতে চলে গেলেন।' মজা করে অপর এক নেটিজেন আবার বলেন, ‘আমি একবার দেখেই একজন প্রশিক্ষিত ঘাতককে চিনতে পারি।’

অলিম্পিকে পদক পাওয়ার পর ইনস্টাগ্রামে ইউসুফ লিখেছেন, ‘আমি খুবই খুশি যে আমরা নিজেদের ইতিহাসে প্রথম অলিম্পিক পদক জিতেছি। সাড়ে আট কোটি মানুষ যারা আমাদের জন্য প্রার্থনা করেছেন…এ পদক তুরস্কের প্রজাতন্ত্রের জন্য!’

এফআই