বিখ্যাত প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস ও মেলিন্ডা গেটস। দুজন স্বমহিমায় পরিচিত হলেও, তাদের সন্তান কিংবা জামাতাদের পরিচয় সেভাবে সামনে আসে না। যদিও বড় মেয়ে জেনিফার গেটসের স্বামী আগে থেকেই অলিম্পিক গেমসে অংশগ্রহণ করে আসছেন। যদিও এখন পর্যন্ত কোনো পদক জিততে পারেননি জেনিফারের স্বামী নায়েল নাসার। চলমান প্যারিস অলিম্পিকেও ইকুয়েস্ট্রিয়ান ডিসিপ্লিনে খেলবেন এই মিশরীয় অ্যাথলেট।

আগামী ৫ আগস্ট এই অলিম্পিকে নিজের ঘোড়া নিয়ে নামার কথা রয়েছে নাসারের। এর আগে ২০২০ সালের টোকিও অলিম্পিক গেমসেও তিনি মিশরের প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন। সেবার তিনি ব্যক্তিগত এবং দলগত উভয় বিভাগেই লড়াই করেছিলেন। যদিও সেভাবে সাড়া ফেলতে পারেনি তার পারফরম্যান্স। দলগত বিভাগে তিনি শেষ করেছিলেন ১৬তম অবস্থানে থেকে। আর ব্যক্তিগত বিভাগে হয়েছিলেন ২৪তম।

তবে প্যারিসে প্রথম কোনো পদক জেতার আশায় নামবেন নাসার। যার জন্য মেলিন্ডা গেটসের শুভকামনাও পেয়েছেন বড় মেয়ের জামাই। নাসারের ছবি দিয়ে নিজের ইনস্টাগ্রামে মেলিন্ডা লিখেছেন, ‘অলিম্পিকে তোমার প্রতিযোগিতা দেখার জন্য আমি রোমাঞ্চিত। এজন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি।’

২০২১ সালে বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হন জেনিফার-নাসার। এরপর ২০২৩ সালে তাদের প্রথম সন্তানের জন্ম হয়। ২০২৪ সালে তারা দ্বিতীয় সন্তানের অপেক্ষা করছেন। তবে এ সময়ে নায়েল নাসার পুরো মনোযোগ অলিম্পিকেই রাখছেন। মিশরীয় প্রকৌশলী বাবা-মার ঘরে তার আগমন (জন্ম) শিকাগোতে। পরে যুক্তরাষ্ট্রে দীর্ঘদিনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের পর জেনিফারকে বিয়ে করেন নাসার। ছোট থেকেই মিশরের হয়ে তিনি খেলা শুরু করেন। পরে নাসারদের হাত ধরেই ইকুয়েস্ট্রিয়ান খেলাটি জনপ্রিয় হয়েছে দেশটিতে।

এদিকে, এখন পর্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ কোন ফল আনতে না পারা নাসারকে নিয়ে ভিন্ন বিতর্ক উঠেছে। প্যারিসে তার সাপোর্ট স্টাফ হিসেবে গিয়েছেন ১০ জন। এতজন সাপোর্ট স্টাফের আদৌও প্রয়োজন আছে কি না তা নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন। এজন্য নাকি মিশরের ইকুয়েস্ট্রিয়ান ফেডারেশন থেকে এতজন স্টাফের খরচ দিতে অস্বীকৃতিও জানানো হয়েছে। তবে এসব বিতর্ক ঝেড়ে নাসারের পুরো মনোযোগ তার খেলায়। এর আগে ন্যাশন্স কাপ অব রাবাদে উইন্টার ইকুয়েস্ট্রিয়ান ফেস্টিভালে ব্রোঞ্জ জিতেছিলেন গেটসের জামাতা।

এএইচএস