রাজধানীর এক হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন আতিকুর রহমান। ফাইল ছবি-সংগৃহীত

গত ৫ জুলাই আকস্মিকভাবে চলে গেলেন কিংবদন্তী ক্রীড়াবিদ দাবার গ্র্যান্ডমাস্টার জিয়াউর রহমান। দুই সপ্তাহ পর ক্রীড়াঙ্গনে আরেকটি বড় ধাক্কা। কিংবদন্তী শুটার আতিকুর রহমানও চলে গেলেন। আজ সকালে রাজধানীর এক হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন আতিকুর রহমান। (ইন্নালিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাইহে রাজেউন)।

গ্র্যান্ডমাস্টার জিয়াউর রহমান খেলতে খেলতে বিদায় নিলেও শুটার আতিক প্রায় এক দশক মরণব্যাধী ক্যান্সারের সঙ্গে লড়ছিলেন। শুটিং রেঞ্জে লড়াই করা এই শুটার শেষ পর্যন্ত আজ জীবন যুদ্ধে হেরে গেলেন। 

গত দুই দশক বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গন পুরোটাই ক্রিকেট নির্ভর। আশি-নব্বইয়ের দশকে ছিল একেবারে ভিন্ন চিত্র। ফুটবল-হকির পেছনে ছিল ক্রিকেটের অবস্থান। ফুটবল ঘরোয়া পর্যায়ে জনপ্রিয় হলেও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তেমন অর্জন ছিল না। সেই সময় কমনওয়েলথ গেমসের মতো আসরে স্বর্ণ জিতেছিলেন আতিকুর রহমান। যা বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গনেই সাড়া ফেলেছিল।

১৯৯০ সালে নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ড কমনওয়েলথ গেমসে আতিকুর রহমান ১০ মিটার পিস্তল ইভেন্টে আব্দুস সাত্তার নিনির সঙ্গে জুটি গড়ে স্বর্ণ জেতেন। ব্যক্তিগত ইভেন্টে জিতেছিলেন ব্রোঞ্জ। কমনওয়েলথের পাশাপাশি দক্ষিণ এশিয়ান গেমসেও স্বর্ণ জয়ের কৃতিত্ব রয়েছে আতিকের। শুটিং ছাড়ার পরও কিছুদিন শুটিংয়ের সঙ্গে ছিলেন।

শারীরিক অসুস্থতা গত কয়েক বছর একেবারে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন। কন্ঠনালীর ক্যান্সারে তিনি আক্রান্ত ছিলেন। দেশ ও দেশের বাইরে চিকিৎসা করালেও শেষ পর্যন্ত আর লড়াই করতে পারলেন না। ১৯৬৫ সালে জন্ম নেয়া কৃতি এই শুটারের জীবন থামল মাত্র ৫৯ বছর বয়সেই। কিংবদন্তী শুটারের বিদায়ে শুটিং ফেডারেশনসহ আরও অনেক ক্রীড়া সংস্থা ও ব্যক্তিত্ব শোক প্রকাশ করেছে। আজ বিকেল তিনটায় শুটিং ফেডারেশনে আতিকের জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।

দেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক পদক স্বাধীনতা পুরস্কার। খুব কম সংখ্যক ক্রীড়াবিদ এই পুরস্কার পেয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছেন শুটার আতিক। স্বাধীনতা পদক ছাড়াও জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার, বাংলাদেশ ক্রীড়া লেখক সমিতি, বাংলাদেশ ক্রীড়া সাংবাদিক সংস্থা সহ আরো অনেক স্বীকৃতি/পুরস্কার পেয়েছেন ক্যারিয়ার জুড়ে।

এফআই