বাংলাদেশের জিমন্যাস্ট গড়ার অন্যতম কারিগর আজিজুর রহমান। বিশেষ করে দিনাজপুরের জিমন্যাস্টিক্সের পুরোধাই তিনি। তার হাত ধরে দিনাজপুর থেকে অনেক তারকা জিমন্যাস্টের জন্ম। জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারপ্রাপ্ত নারী জিমন্যাস্ট রওশন আরা ছবির কারিগরও আজিজ। তিনি শুধু খেলোয়াড় তৈরিই নন, ছিলেন সংগঠকও। বাংলাদেশ জিমন্যাস্টিক্স ফেডারেশনের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন অনেক দিন। খেলোয়াড়, কোচ, সংগঠক আজিজ আর নেই। ঈদের দিন (সোমবার) দিবাগত রাতে নিজ জেলা দিনাজপুরে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন। 

আজিজের সঙ্গে দীর্ঘদিনের সম্পর্ক বাংলাদেশ জিমন্যস্টিক্স ফেডারেশনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আহমেদুর রহমান বাবলুর। আজিজকে নিয়ে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের জিমন্যাস্টিক্সের নিবেদিতপ্রাণ ব্যক্তির মধ্যে আজিজ ভাই অন্যতম। ফেডারেশনের গত কমিটির সহ-সভাপতি ছিলেন। শারীরিক অসুস্থতায় এবার নতুন কমিটিতে থাকেননি। ফেডারেশনের সঙ্গে তিনি ১৯৮৪ সাল থেকেই জড়িত। জিমন্যাস্টিক্সে তার অবদান অনস্বীকার্য।’

আজিজ তার খেলোয়াড়ী জীবনে বক্সিংও করতেন। সত্তর-আশির দশকে বক্সারদের সেফটি গার্ড সেভাবে ছিল না। ফলে অনেক বক্সারই বৃদ্ধ বয়সে স্নায়ুর রোগে ভোগেন। আজিজও ষাট পরবর্তী বয়সে ছিলেন নানা রোগ জটিলতার মধ্যে। এরপরও ফেডারেশন ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার কাজে নিয়োজিত ছিলেন। সাম্প্রতিক সময়ে অবশ্য অনেকটা শয্যাশায়ী হয়ে পড়েন তিনি। 

আজিজ শুধু ক্রীড়াঙ্গনেই নন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য মুক্তিযুদ্ধে–ও অংশগ্রহণ করেছিলেন। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ক্রীড়াঙ্গনেই জীবন কাটিয়েছেন তিনি। বিশেষ করে নিজ জেলা দিনাজপুরে বক্সিং, জিমন্যাস্টিক্সসহ সকল খেলার সঙ্গেই তার যোগাযোগ ছিল ওতপ্রোত। ৭৪ বছর বয়সে দিনাজপুরেই চিরশায়িত হয়েছেন। আজিজের মৃত্যুতে বাংলাদেশ জিমন্যাস্টিক্স ফেডারেশন, দিনাজপুর জেলা ক্রীড়া সংস্থাসহ দেশের বিভিন্ন ক্রীড়া সংগঠন ও বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব গভীর শোক প্রকাশ করেছে। 

এজেড/এএইচএস