বাংলাদেশের ক্রীড়া ফেডারেশনগুলোর কমিটির মেয়াদ ৪ বছর। স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতে প্রতি বছর এজিএম অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও নানা সীমাবদ্ধতায় ফেডারেশনগুলো এজিএম আয়োজনে ব্যর্থ হয়। গতকাল (শনিবার) একই দিনে দেশের দুই ফেডারেশন টেনিস ও আরচ্যারি বার্ষিক সাধারণ সভা আয়োজন করেছে। 

আরচ্যারি নতুন খেলা হলেও আন্তর্জাতিক সাফল্যে দেশের শীর্ষ খেলায় পরিণত হয়েছে। মাঠের মতো বাইরেও খেলাটি বেশ সুশৃঙ্খল। নিয়মিত ফেডারেশনের নির্বাহী ও সাব কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। তবে সাধারণ সভা ছিল বেশ অনিয়মিত। গতকালের আগে আরচ্যারি ফেডারেশন একটি সাধারণ সভাই আয়োজন করেছিল ইতোপূর্বে। 

জাতীয় ক্রীড়া পরিষদে ফেডারেশনের সভাপতি লে. জেনারেল মো. মইনুল ইসলামের (অব) সভাপতিত্বে সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ নিয়ে ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক কাজী রাজিবউদ্দিন আহমেদ চপল বলেন, ‘আরচ্যারির সামগ্রিক উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। নির্বাহী কমিটির পক্ষ থেকে আমাদের চলমান কার্যক্রম ও ভবিষ্যত পরিকল্পনা সবাইকে অবহিত করা হয়েছে। সাধারণ পরিষদ থেকেও আরচ্যারির উন্নয়নে নানা পরামর্শ ও দিকনির্দেশনা এসেছে।’ আরচ্যারি ফেডারেশন সাধারণ পরিষদ ৫৪ জনের। এর মধ্যে ৪০ জন উপস্থিত ছিলেন এই সভায়।

টেনিস ফেডারেশন ৭ বছর পর বার্ষিক সাধারণ সভা আয়োজন করেছে গতকাল। বাংলাদেশ টেনিস ফেডারেশনের অধীভুক্ত ক্লাব, জেলা ক্রীড়া সংস্থা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থা থেকে এতে ৬৭ জন কাউন্সিলর অংশগ্রহণ করেন। সভায় বাংলাদেশ টেনিস ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ মোহাম্মদ হায়দার বিগত বছরগুলোর কার্যক্রম এবং ফেডারেশনের ভবিষ্যত কার্যক্রম সম্পর্কে আলোচনা করেন এবং ফেডারেশনের কোষাধ্যক্ষ খালেদ আহমেদ বিগত বছরগুলোর অডিট রিপোর্ট পেশ করেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ টেনিস ফেডারেশনের সভাপতি ও নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।

এজেড/এএইচএস