২২ ফেব্রুয়ারি থেকে ওমানে শুরু হয়েছে আন্তর্জাতিক গলফ টুর্নামেন্ট। এতে অংশ নেওয়ার জন্য এন্ট্রি দিয়েছিলেন বাংলাদেশের সেরা পেশাদার গলফার সিদ্দিকুর রহমান। ভিসা জটিলতায় তিনি এই টুর্নামেন্টে অংশ নিতে পারেননি। বিমান টিকিট, হোটেল বুকিং ও অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতায় প্রায় চার হাজার ডলার গচ্চা গেছে সিদ্দিকের। 

গুরুত্বপূর্ণ একটি টুর্নামেন্ট মিস করায় হতাশ সিদ্দিক জানান, ‘ভিসা না পাওয়ায় ওমানের টুর্নামেন্ট খেলতে পারলাম না। একই সময় নিউজিল্যান্ডে আরেকটি টুর্নামেন্ট ছিল। ওমানে খেলব এজন্য সেখানে এন্ট্রি দিইনি। ওমানেও যেতে পারলাম না, নিউজিল্যান্ডেও খেলা হলো না।’

গত বছরের অক্টোবরে বাংলাদেশিদের সব ধরনের ভিসা প্রদান স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেয় ওমান সরকার। তাই ওমানের ভিসার জন্য আবেদনই করতে পারেননি। এরপরও টুর্নামেন্ট খেলার চেষ্টা করেছেন সিদ্দিক, ‘মাসকাটে বাংলাদেশ দূতাবাস, বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশনে যোগাযোগ করেছি। সবাই আমার জন্য আন্তরিকভাবে চেষ্টা ও অনুরোধ করলেও, তাদের আসলে কিছু করার নেই। কারণ ওমান সরকার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন না করলে ভিসা পাওয়া সম্ভব নয়।’

ওমান ছাড়াও ক্যারিয়ারের অনেক টুর্নামেন্টেই ভিসার বিড়ম্বনায় পড়েছেন বলে জানান সিদ্দিক, ‘বিগত সময়েও অনেক টুর্নামেন্টে ভিসার জন্য খেলা হয়নি। প্রায় প্রতি বছর এমন ঘটনা থাকেই।’ যদিও বিড়ম্বনায় পড়ে টুর্নামেন্ট মিস হলেও, কখনও ভিসা পাননি এমন হয়নি দেশসেরা গলফারের, ‘আবেদন করে ভিসা পাইনি এমনটা হয়নি। ওমানে যেমন আবেদনই করা যায়নি, আবার অনেক সময় হয়েছে খুব কম সময় নিয়ে আবেদন করায়, খেলার দিন বা একদিন আগে ভিসা পাওয়ায় যাওয়া হয়নি। অনেক ক্ষেত্রে আরও পরেও পেয়েছি।’

ফুটবল, ক্রিকেট, হকির মতো দলীয় খেলাগুলোতে ভিসা নিয়ে বড় জটিলতা সাম্প্রতিক সময়ে দেখা যায়নি। অ্যাথলেটিক্স, সাঁতার ও দাবার মতো ব্যক্তিগত ডিসিপ্লিনেও ক্রীড়াবিদরা বিভিন্ন দেশে অংশগ্রহণ করছেন। অন্য খেলার সঙ্গে গলফের খানিকটা ভিন্নতা রয়েছে বলে মত প্রকাশ করেন সিদ্দিক, ‘ফুটবল বছরে ৪-৫ বার (সিনিয়র দল) দেশের বাইরে যায়। প্রায় ক্ষেত্রে এশিয়ার মধ্যেই। গলফে বছরে বিশ্বের ভিন্ন ভিন্ন প্রান্তে টুর্নামেন্টে হয়।’

এক দেশে টুর্নামেন্ট খেলা অবস্থায় তাই সিদ্দিকের মাথায় থাকে পরবর্তী টুর্নামেন্টের ভিসার চিন্তা, ‘অনেক সময় বিদেশে খেলতে থাকি পরবর্তী টুর্নামেন্টের জন্য দেশে এসে ভিসার আবেদন করতে হয়। ফলে অনুশীলনে ব্যাঘাত ঘটে। আবার এমন হয় একটি দেশে দুই মাসের মধ্যে দুই টুর্নামেন্ট। দুই বার ভিসার জন্য আবেদন করতে হয় ভিন্ন ভিন্ন ভাবে।’

এজেড/এএইচএস