খেলাধুলার বড় প্রতিবন্ধকতা ইনজুরি। বাংলাদেশের অনেক প্রতিভাবান খেলোয়াড়ও ঝরে পড়েন ইনজুরিতে। একই কারণে আবার অনেক তারকা খেলোয়াড়ের ক্যারিয়ার পূর্ণতা পায় না। স্বাধীনতার পাঁচ দশক পেরিয়ে গেলেও বাংলাদেশে ছিল না ক্রীড়ার জন্য আলাদা মেডিসিন ক্লিনিক। 

আজ (বৃহস্পতিবার) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) এবং বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অফ স্পোর্টস  মেডিসিনের যৌথ আয়োজনে একটি বিশেষায়িত স্পোর্টস মেডিসিন ক্লিনিকের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রমের উদ্বোধন করেছেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী  মো. জাহিদ আহসান রাসেল এমপি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডা মো. শারফুদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশনের মহাসচিব সৈয়দ শাহেদ রেজা।

বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো ক্রীড়াবিদ এবং ক্রীড়াসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সার্বিক চিকিৎসাসেবা প্রদানের লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত বিশেষায়িত এই স্পোর্টস মেডিসিন ক্লিনিক প্রতি শনিবার বিএসএমএমইউএ’র  বি-ব্লকে বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দ্বারা পরিচালিত হবে। বাংলাদেশ জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের অনুমোদিত সকল স্পোর্টস ফেডারেশন এবং ক্রীড়া সংশ্লিষ্ট অ্যাসোসিয়েশনের কাছে ইতোমধ্যে রোগী রেফারাল কার্ড পৌঁছে দেওয়া হয়েছে । ফেডারেশনগুলো তার অধীনস্ত খেলোয়াড়দের সেই কার্ড দিয়ে এই ক্লিনিকে চিকিৎসার জন্য পাঠাতে পারবে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘স্পোর্টস মেডিসিন ক্লিনিক উদ্বোধনের মাধ্যমে দেশের ক্রীড়াঙ্গনে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হলো। এটি ক্রীড়াঙ্গনের জন্য এক অনন্য মাইলফলক। এমন উদ্যোগের জন্য বিএসএমএমইউ ও বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব স্পোর্টস মেডিসিনকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই। এই ক্লিনিকের কার্যক্রম বৃদ্ধি করতে বরাবরের মতো মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।’

বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অফ স্পোর্টস মেডিসিনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সালেক এবং মহাসচিব ডা. আলী ইমরান জানান, বাংলাদেশের জাতীয় পর্যায়ের খেলোয়াড়রা ভালো চিকিৎসার সুযোগ পেলেও তৃণমূল থেকে শুরু করে সব পর্যায়ের ক্রীড়াবিদরা প্রায়শই সঠিক চিকিৎসার দিক-নির্দেশনা পায়না। আবার অনেক খেলোয়াড় দেশের বাইরে চিকিৎসার জন্য চলে যায়। এসব সংকট দূর করা এবং সঠিক চিকিৎসা পরামর্শ প্রদানের মাধ্যমে সকল পর্যায়ের খেলোয়াড় এবং খেলাধুলার সঙ্গে সম্পৃক্তদের সুচিকিৎসা প্রদান করা এই ক্লিনিকের উদ্দেশ্য।

এজেড/এএইচএস