১৯৭৮ সাল থেকে বাংলাদেশ নিয়মিত অংশ নিয়ে এখনো এশিয়াডে ব্যক্তিগত পদক মাত্র একটি।  জাতীয় খেলা কাবাডি এক সময় এশিয়াডে আশার আলো ছিল। গত এশিয়াড থেকে তাও নেই। একমাত্র ক্রিকেটই এখন গেমসে বাংলাদেশের পদকের সম্বল। 

১৯ তম এশিয়ান গেমসে বাংলাদেশ ১৭ ডিসিপ্লিনে অংশগ্রহণ করেছে। ১৭ ডিসিপ্লিনের সাফল্য-ব্যর্থতার পাশাপাশি বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনের নানা বিষয় তুলে ধরেছেন ঢাকা পোস্টের সিনিয়র স্পোর্টস রিপোর্টার আরাফাত জোবায়ের। 

কাবাডি বাহ্যিক চাকচিক্য ‘অন্তঃসারশুন্য’ 

জাতীয় খেলা কাবাডি এবার এশিয়ান গেমস চরম হতাশ করেছে। নারী ও পুরুষ উভয় দলের সেমিফাইনালে খেলার দারুণ সুযোগ ছিল। কাবাডিতে সেমিফাইনালে উঠলেই ব্রোঞ্জ পদক নিশ্চিত হতো। নারী ও পুরুষ দুই দলই চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। ফলে বাংলাদেশ এশিয়াডের মঞ্চে আরো দু’টি ব্রোঞ্জ থেকে বঞ্চিত হয়।

কাবাডি ফেডারেশন গত কয়েক বছর আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট আয়োজন করে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার বাহবা নিয়েছে। সেই চ্যাম্পিয়ন যে ‘ফলস’ আত্নবিশ্বাস সেটা এশিয়াডে প্রমাণ হয়েছে। ঢাকায় চাইনিজ তাইপেকে হারালেও এশিয়াডে সেই তাইপের কাছে নাকুনিচুবিনি খেয়েছেন তুহিন তরফদাররা। 

কাবাডির অন্যতম সেরা কোচ আব্দুল জলিল। সেই জলিলকে জাতীয় দলের সঙ্গে না রেখে ভারতীয় কোচদের পেছনে কাড়ি কাড়ি অর্থ খরচ করছে ফেডারেশন। এশিয়াডের মঞ্চে ফেডারেশনের পরিকল্পনা, অর্থ ব্যয় কোনো কিছুই কাজে আসেনি। উল্টো চরম প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে ফেডারেশনের আতশবাজি সহ নানা জাকজমক কর্মকান্ড। 

অনুশীলনেও ফল নেই আরচ্যারি-শুটিংয়ে

দেশের অনেক ফেডারেশনেই নিয়মিত অনুশীলন করানোর সামর্থ্য রাখে না। আর্থিক সীমাবদ্ধতা ও নানা সংকটে অনুশীলন স্থগিত থাকে। শত প্রতিকূলতার মধ্যেও আরচ্যারি ও শুটিং নিয়মিত অনুশীলন এবং আন্তর্জাতিক খেলায় অংশগ্রহণ করে। 

নিশানাভিত্তিক খেলা হওয়ায় বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশনের প্রত্যাশা ছিল এই দুই ডিসিপ্লিনকে ঘিরে। বিশেষ করে আরচ্যারি এশিয়ান পর্যায়ে পদকও জিতে মাঝে মধ্যে। তাই এশিয়ান গেমসেও পদকের স্বপ্ন ছিল। ব্যক্তিগত ইভেন্টে আরচ্যাররা কোয়ার্টারের গন্ডি পারই হতে পারেননি। দলীয় ইভেন্টে শুধুমাত্র রিকার্ভ পুরুষ ব্রোঞ্জের লড়াইয়ে খেলেছে বাকিরা দ্বিতীয় পর্বেই বিদায়।

রিকার্ভ ব্যক্তিগত ইভেন্টে রোমান-রুবেলরা ভারতের বিপক্ষে দুর্দান্ত লড়েও ব্রোঞ্জ লড়াইয়ে ইন্দোনেশিয়ার বিপক্ষে বাজে খেলেন।  ইন্দোনেশিয়াকে হারিয়ে ব্রোঞ্জ জয়টা খুব দোরগোড়ায় ছিল আরচ্যারির। সারা বছর অনুশীলন ও আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলা আরচ্যারদের ব্রোঞ্জ লড়াইয়ে হারটা মোটেও কাম্য ছিল না। 

শুটিংয়ে এশিয়ান গেমসে বাংলাদেশ কখনো পদক জিতেনি। এরপরও এবার খানিকটা আশা ছিল। তবে সেই আশায় গুড়েবালিই। দুই একজন শুটার ব্যক্তিগত স্কোরিংয়ে উন্নতি করলেও সামষ্টিক অর্থে বাংলাদেশের শুটিং এশিয়াডের বিশেষ কোনো স্থান অর্জন করতে পারেনি দলীয় বা ব্যক্তিগত ক্ষেত্রে।

হকিতে চরম ভরাডুবি

এশিয়ান গেমসে ব্যর্থতার খাতায় অন্যতম বড় নাম হকি। হকি গত এশিয়াডের ষষ্ঠ স্থান হারিয়েছে। ষষ্ঠ স্থান অর্জন করাই যেখানে কঠিন ছিল সেখানে হকির দক্ষিণ কোরিয়ান কোচ গণমাধ্যমে সেমিফাইনালে প্রত্যাশা করেছেন বেশ কয়েকবার। মাঠে অবশ্য এর ছিটেফোটাও দেখা যায়নি। দুর্বল সিঙ্গাপুর ও উজবেকিস্তান ছাড়া কাউকে হারাতে পারেনি বাংলাদেশ। ভারতের বিপক্ষে ১২ গোলের লজ্জার পর ওমানের বিপক্ষে হেরে অস্টম হয়ে ব্যর্থতার ষোলকলা পূর্ণ করেছে। 

এশিয়ান গেমসের জন্য ফেডারেশন দুই মাসের বেশি অনুশীলন করিয়েছে। পাশাপাশি বিদেশি কোচও এনেছিল। বিদেশি কোচের যোগ্যতা-সামর্থ্যের পাশাপাশি ভাষাগত প্রতিবন্ধকতাও ছিল হকি অঙ্গনে আলোচনার বিষয়। কোচের পেছনে এত অর্থ ব্যয় করেও এশিয়াডে ভালো ফল পায়নি ফেডারেশন। 

অ্যাথলেটিক্স ইমরান নির্ভর

যে কোনো গেমসের মূল আকর্ষণ অ্যাথলেটিক্স। ১০০ মিটার স্প্রিন্টের দিকে নজর থাকে সবার। বাংলাদেশ সেই ইভেন্টে খানিকটা নজর কাড়তে সক্ষম হয়েছে। ইমরানুর রহমান সেমিফাইনাল নাম লিখিয়েছেন। বাংলাদেশের দ্রুততম মানব ইমরানের টাইমিং অবশ্য ভালো হয়নি। প্রথম পর্ব ও সেমিফাইনাল দুই বারই তিনি ১০.৪০ এর উপর দৌড়েছেন। এই টাইমিংয়ে এশিয়ান পর্যায়ে পদক তো দূরে ফাইনাল খেলাও কষ্টসাধ্য। 

অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশন গত দেড় বছর শুধু ইমরানের দিকেই নজর দিয়েছে বেশি । অন্য অ্যাথলেটরা তুলনামুলক কম সময় পেয়েছেন। এশিয়ান গেমসে ইমরান যেমন আশা দেখিয়েছেন আবার তার প্রতি ফেডারেশনের অতিরিক্ত নির্ভরতাও চোখে পড়েছে। 

সাঁতার যেন শুধুই অংশগ্রহণ

গেমসের অন্যতম আকর্ষণ সাঁতার হলেও এশিয়াডে বাংলাদেশের সাঁতার মানে যেন শুধুই অংশগ্রহণের জন্য অংশগ্রহণ। কয়েকটি ইভেন্টে বাংলাদেশের তিন সাঁতারু অংশ নিয়েছেন। তিন জনই শেষের দিক থেকে প্রথম পাচ জনের মধ্যে ছিলেন। যা নদীমাতৃক দেশের জন্য বেশ লজ্জাজনক। 

সাঁতার ফেডারেশন এখন নিয়মিত অনুশীলন করাচ্ছেন খেলোয়াড়দের। কয়েক বছর ধরেই বিদেশি কোচের সন্ধানে থাকলেও দেশি কোচদের অধীনেই চলছে অনুশীলন। সাঁতারুদের মান উন্নয়ন সেভাবে হচ্ছে না। 

বক্সিংয়ে সেলিমে ঝলক, প্রবাসীতে হতাশা

হাংজু এশিয়ান গেমসে বাংলাদেশের প্রকৃত প্রাপ্তি বলতে বক্সার সেলিম হোসেন। একেবারে সীমিত সুযোগ সুবিধার মধ্যেও সেলিম এশিয়ান গেমসের কোয়ার্টার ফাইনাল খেলেছেন। এশিয়াডে বাংলাদেশের দ্বিতীয় ব্যক্তিগত পদকের কাছাকাছি ছিলেন। 

সেলিমের পারফরম্যান্স প্রমাণ করেছে ব্যক্তিগত ইভেন্টে বাংলাদেশ পদক অর্জনের সামর্থ্য রাখে। পরিকল্পিত অনুশীলন হলে এ রকম আরো সেলিম পাওয়া সম্ভব। নচেৎ এ রকম পারফরম্যান্স এক দশকে দুই একবার দেখা যেতে পারে। 

বক্সিংয়ে এবার আশার আলো ছিল আমেরিকান প্রবাসী জিনাত ফেরদৌসের উপর। পদক জেতার স্বপ্ন দেখা জিনাত দ্বিতীয় রাউন্ডে বিদায় নিয়েছেন। পাশাপাশি এমন প্রশ্নও সৃষ্টি হয়েছে সরাসরি প্রবাসীদের সুযোগ দেয়া নিয়ে। 

ফুটবলে চীন ড্র-ই প্রাপ্তি 

এশিয়ান গেমসে ফুটবল নিয়ে ছিল সবচেয়ে বেশি আলোচনা। প্রথমে বাদ পড়া নারী ফুটবল পরে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। আবার প্রাথমিক তালিকায় থাকা পুরুষ ফুটবল বাদ পড়ে আবার ঢুকেছে।

ক্লাব ফুটবলের ব্যস্ত সূচির মধ্যে গেমস হওয়ায় অনেক ফুটবলারই ছিলেন না। পুরুষ ফুটবল তিন ম্যাচের মধ্যে দুটি হারলেও ভালো ম্যাচ খেলেছে। বিশেষ করে তৃতীয় ম্যাচে স্বাগতিক চীনের সঙ্গে ড্র বাংলাদেশের ফুটবলের জন্য ঐতিহাসিক প্রাপ্তি বলা চলে। 

পুরুষ ফুটবলের মতো নারী ফুটবলেও একটি ড্র করেছে। সেই ড্র অবশ্য নেপালের বিপক্ষে। গত সাফে নেপালকে হারানোর পর বাংলাদেশ পরের তিন মোকাবেলায় আর জিতেনি। এই গেমসে বিশ্বকাপ খেলা দুই প্রতিপক্ষ জাপান ও ভিয়েতনামের বিপক্ষে খেলার অভিজ্ঞতাই সাবিনাদের প্রাপ্তি। 

কারাতে 'কেলেঙ্কারি '

সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের বড় গেমস অংশগ্রহণ মানে কোনো না কোনো বিতর্ক সঙ্গী হওয়া। এবারের এশিয়ান গেমসের ১৩ তম দিনে এসে বিতর্কের জন্ম হয়েছে। কারাতে ম্যানেজার ও কোচের বিলম্বের জন্য বাস মিস করেন খেলোয়াড় হাসান খান সান। ফলে বাংলাদেশ কারাতের একটি ইভেন্টে অংশগ্রহণ করতে পারেনি। 

ক্রিকেটই ভরসা

গত এশিয়ান গেমসে ক্রিকেট ছিল না বাংলাদেশও কোনো পদক পায়নি। এই এশিয়ান গেমসে আবার ক্রিকেট ফিরেছে এবং বাংলাদেশও পদক পেয়েছে। এবারের গেমসের দুটি ব্রোঞ্জই ক্রিকেট থেকে। ক্রিকেট নন অলিম্পিক ডিসিপ্লিন হলেও বাংলাদেশের গেমসের অন্যতম প্রধান খাত। 

এবার নারী ও পুরুষ উভয় দল স্বর্ণ জয়ের লক্ষ্যে হাংজু এসেছিল। দুই দলই সেমিফাইনালে ভারতকে পাওয়ায় স্বর্ণের পরিবর্তে ব্রোঞ্জের লড়াইয়ে নামতে হয়। পাকিস্তানকে হারিয়ে দুই দলই ব্রোঞ্জ জিতেছে। বিশ্বকাপের বাইরে থাকা আরো ভালো মানের ক্রিকেটারদের সুযোগ দিলে ভারতের প্রায় সমমানের দল গড়তে পারত বাংলাদেশ। 

দক্ষিণ এশিয়া ও এশিয়ার পার্থক্য তায়কোয়ান্দো-ফেন্সিং ও ভারোত্তোলনে

দক্ষিণ এশিয়ান গেমসে পদক জিতেছিল তায়কোয়ান্দো, ফেন্সিং ও ভারোত্তোলন। সাউথ এশিয়ান গেমস ও এশিয়ান গেমসের মধ্যে ব্যবধান যে যোজন যোজন সেটা ভালোভাবেই টের পেয়েছে এই তিন ডিসিপ্লিনই। এশিয়াডে তেমন উল্লেখযোগ্য কিছুই করতে পারেনি। যা স্পষ্ট করেছে দক্ষিণ এশিয়ার চেয়ে এশিয়ান গেমসের মঞ্চ কত বড় এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতাপুর্ণ। 

আলোচনাহীন জিমন্যাস্টিকস ও গলফ

আন্তর্জাতিক অঙ্গনে জুনিয়র অ্যাথলেটিক্সে বাংলাদেশ ভালো পারফরম্যান্স করছে সাম্প্রতিক সময়ে। এবার এশিয়ান গেমসে জিমন্যাস্টিকস তাদের ধারাবাহিকতা বজায় রাখলেও অন্য খেলার সাফল্য-ব্যর্থতার ভিড়ে তেমন আলোচনায় আসেনি। জিমন্যাস্টিকসের মতোই অবস্থা গলফের। এবারের গেমসে বাংলাদেশের গলফ নিয়ে কোনো আলোচনাই হয়নি সেই অর্থে। 

চমক ব্রিজ ও গতানুগতিক দাবা

এশিয়ান গেমসের দাবায় বাংলাদেশের শীর্ষ দাবাড়ুরাই অংশ নিয়েছিলেন। এরপরও ব্যক্তিগত এবং দলীয় কোনো ইভেন্টেই আশানুরূপ ফলাফল হয়নি৷ অবশ্য দাবা নিয়ে তেমন প্রত্যাশাও ছিল না। 

ব্রিজ অপ্রচলিত খেলা হলেও চীন, ভারতকে হারিয়ে চমক সৃষ্টি করেছে। সঠিক পরিচর্যা পেলে ব্রিজ ভালো কিছুর ইঙ্গিতই দিয়েছে। 

শেফ দ্য মিশনের পর্যবেক্ষণ

এশিয়ান পর্যায়ে পদক অর্জনের জন্য প্রয়োজন সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা এবং নিবিড় অনুশীলন। গেমসের আগে মাত্র ২/৩ মাসের অনুশীলনে এশিয়াডে পদক অর্জন সম্ভব নয়। বেশ কিছু ব্যক্তিগত ইভেন্টে সম্ভাবনাময় খেলোয়াড়দের বিদেশি দীর্ঘমেয়াদে অনুশীলন অথবা দেশেও বিশেষ পর্যবেক্ষণে রাখলে পদকের লড়াই করা সম্ভব। 

বাংলাদেশে নেই অবকাঠামো, নেই আধুনিক সরঞ্জাম 

চীনের হাংজুতে প্রতিটি স্টেডিয়াম নয়নাভিরাম। অসাধারণ স্থাপত্যের সঙ্গে দারুণ ব্যবস্থাপনা। বাংলাদেশ এর সম্পুর্ন বিপরীত চিত্র। ফুটবলের প্রধান স্টেডিয়াম বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে সংস্কার চলছে ৩ বছরের বেশি সময়। 

জিমনাস্টিক, তায়কোয়ান্দো জাতীয় ক্রীড়া পরিষদে স্বল্প পরিসরে অনুশীলন করে। একেবারে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে হয় অনুশীলন। গুরুত্বপূর্ণ ডিসিপ্লিন সাঁতারে নেই ইলেকট্রনিক স্কোর বোর্ড। 

যে কোনো গেমসের প্রধান আকর্ষণ অ্যাথলেটিক্স। সেই অ্যাথলেটিক্সেও বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামেট টার্ফে খেলা হচ্ছে না অনেকদিন। ফেন্সিং খেলা তলোয়ার ভিত্তিক। সেই খেলাতেও রয়েছে আধুনিক সরঞ্জামের অভাব। কারাতে, তায়কোয়ান্দোর মতো খেলায় অনেক সময় একই কাপড় পড়ে অনুশীলন হয় দীর্ঘদিন। 

নেই খেলোয়াড়দের আর্থিক কাঠামো

ক্রিকেট, ফুটবল ছাড়া দেশের বাকি সব খেলার খেলোয়াড়দের আর্থিক কাঠামো সেই অর্থে নেই। অনেক সময় খেলোয়াড়রা ইনজুরিতে পড়ে ক্যারিয়ার শেষ হওয়ার উপক্রম হয়। গেমসে অনুশীলনের সময় খেলোয়াড়দের পেছনে ব্যয় হয়েছে এক হাজার করে জনপ্রতি। এর মধ্যে খাওয়া দাওয়ায় ৬০০-৭০০ টাকা দিনপ্রতি। এত স্বল্প সম্মানীতে একজন খেলোয়াড়ের পারিবারিক নির্বাহ কঠিন। যদিও অধিকাংশ ক্ষেত্রে খেলোয়াড়রা সার্ভিসেস বাহিনীর উপর নির্ভরশীল। 

এজেড/জেএ