সর্বডানে দাঁড়ানো হাসান খান সান। নিচে বামে বসা কোচ সেন্টু ও ডানে ম্যানেজার।

২০১৯ সালে কাঠমান্ডু এসএ গেমসে কারাতেতে বাংলাদেশ তিনটি স্বর্ণ জিতেছিল। স্বর্ণ জেতা দু’জনই এবার এশিয়ান গেমসে এসেছেন। কিন্তু সেখান থেকে তাদের বিদায় হয়েছে খালি হাতে। হুমায়রা আক্তার অন্তরা কোয়ার্টার ফাইনালে উঠলেও আল আমিন বিদায় নিয়েছেন প্রথমেই। অন্যদিকে, বাস বিলম্বের কারণে আগেরদিন কারাতে প্রতিযোগিতা মিস করা নিয়ে মুখ খুলেছেন কোচ মোয়াজ্জেম সেন্টু।

এদিন হুমায়রা আক্তার অন্তরা ৬১ কেজি কুমিতে কোয়ার্টার ফাইনালে কিরগিজস্তানের কিম্বাট টইটনোভার কাছে ৯-১ পয়েন্টে হেরে যান। এর আগে রাউন্ড অব সিক্সটিনে নেপালের নিরুপা ডং তামাংকে ৫-১ পয়েন্টে হারান তিনি। 

ছেলেদের ৬০ কেজি কুমিতে হেরে গেছেন বাংলাদেশের আল আমিন ইসলাম। ৬-০ পয়েন্টে আল আমিনকে পরাজিত করেছেন ইন্দোনেশিয়ার আরি সাপুত্রা। 

কারাতে ডিসিপ্লিনে ম্যাঠের লড়াইয়ের চেয়ে বাইরের আলোচনা-ই বেশি। গতকাল হাসান খান মুন বাস বিলম্বের কারণে খেলায় অংশগ্রহণ করতে পারেননি। এ নিয়ে গোটা ক্রীড়াঙ্গনে হচ্ছে জোর আলোচনা। এ নিয়ে গতকাল কারাতে দলের ম্যানেজার ও কোচ কোনো মন্তব্য করেননি। আজ অবশ্য কোচ মোয়াজ্জেম সেন্টু সেই ঘটনা নিয়ে বলেন, ‘আসলে আমরা ঘুমিয়ে ছিলাম বিষয়টি সম্পূর্ণ ভুল। আমরা নির্ধারিত সময়েই উঠেছিলাম বাসে। বাস ছিল ৮টায়। কিন্তু সেই বাস এক মিনিটের জন্য মিস হয়ে যায়। পরবর্তী বাস ছাড়তে ছাড়তে বাজে সোয়া ৮টা। পরে সেটি পৌঁছাতে ৮টা ৩৫ মিনিট হয়। ৮টা ২০ মিনিটে রিপোর্টিং ও সাড়ে আটটায় খেলা ছিল। পাঁচ মিনিট বিলম্ব হওয়ায় হাসান খানকে এন্ট্রি দেওয়া যায়নি। একই সময় খেলা ছিল নুমে মারমার, সে খেলতে পেরেছে। ’

সঠিক সময়ে বাস ধরতে না পারায় বাংলাদেশ কারাতের একটি ইভেন্টে অংশ নিতে পারেনি। এশিয়ান গেমসের মতো আসরে এটা অত্যন্ত লজ্জাকর বিষয়। তাই কারাতে দলের ম্যানেজার ইশবাল ও খেলোয়াড় হাসান খানকে দেশে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশন। এই প্রসঙ্গে কোচের মন্তব্য, ‘বিওএ সিদ্ধান্ত নিতেই পারে। তবে আমরা এশিয়ান গেমসের জন্য অনেক পরিশ্রম করেছি। খেলোয়াড়দের সঙ্গে ছিলাম, এখনও আছি। অনিচ্ছাকৃত একটি ঘটনা ঘটেছে। বাসটি সঠিক সময়ে পেলে এমনটা হতো না।’

বাংলাদেশ এবার এশিয়ান গেমসে কারাতের পাঁচটি ইভেন্টে অংশগ্রহণ করছে। চার ইভেন্টের খেলা ইতোমধ্যে শেষ। এখন শুধু সামিয়া জাহানের ইভেন্ট বাকি রয়েছে।

এজেড/এএইচএস