সবার আগে দ্রুত, ব্যতিক্রমী নিউজ দিতে সব দেশের সাংবাদিকদেরই প্রাণান্তকর চেষ্টা। তাই প্রধান মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের নানাপ্রান্তে দৌড়ঝাঁপ চলেই। সেই দৌড়ঝাঁপের মধ্যেও একটি লাইনে ঘণ্টার বেশি দাঁড়িয়ে থাকতে চলে প্রতিযোগিতা। সেই প্রতিযোগিতা একটি সুন্দর পাওয়ার ব্যাংকের জন্য। 

বর্তমান সময়ে মোবাইল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ডিভাইস। তথ্য দ্রুত আদান প্রদানে সাংবাদিকদের এখন মোবাইল নির্ভরতা বেড়েছে অনেক। মোবাইল সক্রিয় থাকতে প্রয়োজন চার্জ। মোবাইলে চার্জ রাখার একটি ডিভাইস পাওয়ার ব্যাংক। 

হাংজু এশিয়ান গেমসে মেইন মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের ফ্রী পাওয়ার ব্যাংকের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই ফ্রী পাওয়ার ব্যাংক পেতে দুটি পরীক্ষায় পাশ করতে হয়। প্রথমে দশজনের মধ্যে থাকার প্রতিযোগিতা। এরপর এক থেকে দেড় ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা। 

মিডিয়া সেন্টারের এক কোণে প্রতিদিন এক বুথে পাঁচ বার পাওয়ার ব্যাংক দেওয়া হয়। সকাল ৯ টায় শুধুমাত্র গেমসের নিজস্ব স্টাফরা দাঁড়াতে পারেন। সকাল ১১, দুপুর ১ টা, বিকেল পাঁচটা ও সন্ধ্যা ৭ টা এই সময়ে ১০ জন করে মিডিয়া কর্মী একটি করে পাওয়ার ব্যাংক পেয়ে থাকেন। 

এক সেশনে মাত্র ১০ জন হওয়ায় নির্ধারিত সময়ের দেড় ঘণ্টা আগে থেকেই শুরু হয় লাইন। ২/৩ মিনিটের মধ্যে দশজন দাঁড়িয়ে গেলে লাল ফিতা দিয়ে সীমানা ক্লোজ করা হয়। খুব দ্রুত সময়ে ১০ জন হওয়ায় অনেকে আফসোস নিয়ে চলে যান। যারা থাকেন তাদের অপেক্ষা করতে হয় ঘণ্টা এক থেকে দেড়েকের মতো৷ 

চীনসহ অনেক দেশের সাংবাদিকই পাওয়ার ব্যাংকের জন্য লাইনে দাঁড়ান। লাইনে ক্লান্ত হয়ে পড়লে কেউ পাশে বসেন আবার কেউ বাইরে কিছু সময়ের জন্য হাঁটেন। তবে ৫-১০ মিনিটের বেশি সময় দূরে অবস্থান করা যায় না। 

সাংবাদিকরা সদাব্যস্ত৷ তাই লাইনে দাঁড়িয়ে থাকলেও নিউজের সন্ধানে চলে নানা ফোন কল, ইন্টারনেট ঘাটাঘাটি। আবার অনেকে তথ্য উপাত্ত নিয়ে এখানে দাঁড়িয়ে থেকেই লিখে ফেলেন নিউজ। গত কয়েকদিন ধরে এই লাইনে দাঁড়ানোই এখন নিউজ! 

এজেড/এফআই