এশিয়ান গেমসে প্রায় সব দেশের অ্যাথলেটদের অবস্থান (ফুটবল, ক্রিকেট দল আলাদা হোটেলে) হাংজুর অ্যাথলেট ভিলেজে। খেলোয়াড়দের পাশাপাশি কোচ-কর্মকর্তা মিলিয়ে ভিলেজে বাংলাদেশির সংখ্যা প্রায় দুই’শ। এত বাংলাদেশির মধ্যে ব্যতিক্রমী কেবল একজন। তিনি বাংলাদেশের প্রথম প্রজন্মের আরচ্যার ও বর্তমানে কোচ মোহাম্মদ জিয়াউল হক।

হাংজু এশিয়ান গেমসে খেলোয়াড়, কোচ ও কর্মকর্তার বাইরে আরও অনেক বাংলাদেশি এসেছেন ভিন্ন ভিন্ন পরিচয়ে। এদের কেউ আম্পায়ার, কেউ জুরি কমিটির সদস্য, কেউ আবার অলিম্পিক কাউন্সিল অফ এশিয়ার আমন্ত্রিত। অন্য দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করতে গেমসে এসেছেন এমন বাংলাদেশি একজনই, তিনি আরচ্যারির জিয়া ৷

সৌদি আরব আরচ্যারি দলের হেড কোচ হয়ে তিনি গেমসে এসেছেন। গত দুই বছর সৌদি আরবে কোচিং করাচ্ছেন জিয়া। সৌদি আরচ্যারি দল নিয়ে বিশ্বের অনেক জায়গায়ও গিয়েছেন। যেখানে বাংলাদেশও তার প্রতিপক্ষ হয়েছে কয়েকবার। তবে এবারের গেমসটি অন্য আসরের চেয়ে একটু ভিন্ন অভিজ্ঞতা জিয়ার কাছে, ‘আগের অভিজ্ঞতাগুলো শুধু আরচ্যারির মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল। এই গেমসে অনেক খেলার অনেকেই এসেছে, তাই এই অভিজ্ঞতা অবশ্যই ভিন্ন।’

বাংলাদেশ কন্টিনজেন্ট ও নানা সূত্রে গেমসে আসা বাংলাদেশিদের মধ্যে জিয়াই একমাত্র ব্যতিক্রম। বিষয়টি তার কাছে ভালোই লাগার, ‘নিজের দেশের প্রতি সম্মান, ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা সব সময়। যোগ্যতা ও মেধা থাকলে বড় আসরে অন্য পরিচয়েও বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করা যায়, এটিও বেশ গর্বের বিষয়।’

হাংজু এশিয়ান গেমস জিয়ার জন্য ত্রিমাত্রিক পরিচয় এনে দিয়েছে। খেলোয়াড় হিসেবে অংশ নিয়েছেন, এরপর ছিলেন বাংলাদেশের সহকারী কোচ। এখন ভিন্ন দেশের প্রধান কোচ। তিন ভূমিকা-ই তার কাছে উপভোগ্য, ‘সময়ের সাথে দায়িত্ব বদলায়। প্রতিটি দায়িত্ব-ই আমি উপভোগ করি।’ 

গেমসে বাংলাদেশের অন্যতম সম্ভাবনাময় ডিসিপ্লিন আরচ্যারি। রোমান-দিয়াদের প্রতি শুভকামনা থাকলেও নিজ দলের দিকেই বেশি মনোযোগ জিয়ার, ‘বাংলাদেশ এশিয়াডে পদক জিতুক সেই কামনা করি। সৌদি আরব এশিয়াডে ভালো করলেই আমার স্বার্থকতা।’

এজেড/এএইচএস