চীনের হাংজু অলিম্পিক সেন্টার স্টেডিয়ামে উপস্থিত সবার চোখে-মুখে মুগ্ধতা। তাদের সামনেই যে মঞ্চস্থ হয়ে গেল ১৯তম এশিয়ান গেমসের বর্ণিল উদ্বোধন। অসাধারণ, জমকালো, দুর্দান্ত যে কোনো বিশেষণে বিশেষায়িতের যোগ্য হাংজু গেমসের এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। প্রযুক্তির সঙ্গে পরিবেশের গুরুত্ব, নিজেদের ইতিহাস এবং এশিয়ার সৌহার্দ্যতা সবকিছুই সুচারুরূপে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।

গেমসের উদ্বোধন-সমাপনী অনুষ্ঠান মানেই আতশবাজি। গতানুগতিক ধারার বাইরে গিয়ে উদ্বোধন হয়েছে এবার। কার্বন নিঃসরণকে নিরুৎসাহিত করতে এবং সবুজ পৃথিবীর লক্ষ্যে কোনো বাজি পোড়ায়নি গেমস কর্তৃপক্ষ।

গেমসের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শুরু হয়েছে স্থানীয় সময় রাত ৮টায়। দুই ঘণ্টা ব্যাপী অনুষ্ঠান মুগ্ধতা ছড়িয়েছে পরতে পরতে।

চীনের রাষ্ট্রপতি শি জিন পিং সস্ত্রীক অলিম্পিক সেন্টারে পৌঁছানোর একটু পরই অনুষ্ঠান শুরু হয়। নদী ও পাখিকেন্দ্রিক সামান্য ডিসপ্লে-র পর গেমসের স্বাগতিক চীনের পতাকা ও জাতীয় সঙ্গীত বাজানো হয়। এরপর অ্যাথলেটরা মার্চ-পাস্টে অংশ নেন। ইংরেজি বর্ণ অনুযায়ী হওয়ায় বাংলাদেশ তৃতীয় দেশ হিসেবে মার্চ-পাস্টে আসে। প্রথমে নিয়াজ মোর্শেদের হাতে ছিল পতাকা এরপর সাবিনা খাতুন লাল-সবুজের প্রতিনিধিত্ব করেন।

৪৫ দেশের মার্চ-পাস্টের পর স্বাগত বক্তব্য রাখেন অলিম্পিক কাউন্সিল অফ এশিয়ার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি, হাংজু প্রদেশের গভর্নর এবং আয়োজক কমিটির প্রধান। তাদের বক্তব্যের পর চীনের রাষ্ট্রপতি শি জিন পিং উদ্বোধন ঘোষণা করেন।

উদ্বোধন ঘোষণার পরই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয় আধঘণ্টা ব্যাপী। এতে নান্দনিকতা প্রদর্শন করেছে। প্রতিটি পর্বে ছিল পরিবেশের ওপর প্রাধান্য এবং উপস্থাপনগুলো ছিল প্রযুক্তি নির্ভর। পুরো অনুষ্ঠানে নদীর ওপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। একইসঙ্গে নৌকার প্রদর্শনী হয়েছে বিশেষভাবে।

মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শেষে মশাল প্রজ্জ্বলনেও ছিল নতুনত্ব। চীনের কিংবদন্তিরা মশাল বহন করলেও, মশাল প্রজ্জ্বলিত হয়েছে ডিজিটালি। মশালের মতো অলিম্পিক কাউন্সিল অফ এশিয়ার পতাকা উত্তোলনেও ছিলেন চীনের ৮ কিংবদন্তি।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়েছে গেমসের থিম সং দিয়ে। যে গানের মুল প্রতিপাদ্য, ‘এশিয়ার একতা’। গানটির মধ্য দিয়ে শেষ হয় গেমসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান।

এজেড/এএইচএস