উসাইন বোল্টের উত্তরসূরী হয়ত এবার পেয়েই গিয়েছে অ্যাথলেটিকস দুনিয়া। উসাইন বোল্টের পর যা কেউ করতে পারেনি, সেই কাজটিই করে দেখালেন যুক্তরাষ্ট্রের নোয়াহ লাইলস। অ্যাথলেটিকসের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে স্প্রিন্টের তিন ইভেন্টে স্বর্ণ জেতার বিষয়টি ভুলেই গিয়েছিলো ক্রীড়াজগত। এমনকি নিজের শেষ আসরে বোল্টও পারেননি তিন ইভেন্টে স্বর্ণ জয় করতে।।

সবশেষ ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপে ১০০ মিটার, ২০০ মিটার এবং ৪x১০০ স্প্রিন্টে হ্যাটট্রিক গোল্ড মেডেল জেতার নজির ছিল বোল্টের। সেটাও ২০১৫ সালে। এরপর পেরিয়েছে ৮ বছর। বোল্টের কীর্তিকে স্পর্শ করা হয়নি কারোরই। ২০২৩ সালে আবার তেমন কীর্তি গড়লেন নোয়াহ লাইলস। আগেই বিশ্বের দ্রুততম পুরুষ হয়েছে। নিজের প্রিয় ইভেন্ট ২০০ মিটার স্প্রিন্টেও পেয়েছেন স্বর্ণপদক। এবার দলগত ইভেন্ট জিতে চক্রপূরণ করলেন যুক্তরাষ্ট্রের এই অ্যাথলেট। 

এদিন অবশ্য যুক্তরাষ্ট্রকে আনন্দের উপলক্ষ্য এনে দিয়েছেন তাদের নারী অ্যাথলেটরাও। রিলে দৌড়ে বিশ্বরেকর্ড গড়েছেন মার্কিন নারীরা। মেয়েদের ৪x১০০ মিটার রিলেও সোনাও ঘরে তুলেছে তারা। ২০০৭ সালের পর এবারই প্রথম ছেলে–মেয়ে দুই বিভাগের ১০০ মিটার রিলে জিতল যুক্তরাষ্ট্র।

৪১.০৩ সেকেন্ড সময় নিয়ে নতুন চ্যাম্পিয়নশিপ রেকর্ড গড়েছেন রিচার্ডসনরা। ৪১.২১ সেকেন্ড সময় নিয়ে জ্যামাইকা হয়েছে দ্বিতীয়। আর তৃতীয় হয়েছে গ্রেট ব্রিটেন (৪১.৯৭)।

তবে দিনের সব আলো কেড়ে নিয়েছেন নোয়াহ লাইলস। এদিন তারা রিলে জিতেছেন ৩৭.৩৮ সেকেন্ড সময় নিয়ে। ৩৭.৬২ সেকেন্ড সময় নিয়ে দ্বিতীয় হয়েছে ইতালি। আর ৩৭.৭৬ সেকেন্ড সময় নিয়ে ব্রোঞ্জ পদকে সন্তুষ্ট হতে হয়েছে জ্যামাইকাকে। 

দলগত এই দৌড়ে সবার শেষে ছিলেন লাইলস। একদিন আগেই ২০০ মিটারে সোনা জিতেছেন। ফর্মে থাকা এই দৌড়বিদের কোন বড় ধরণের সমস্যাই হয়নি। ফিনিশিং লাইন টাচ করেই আঙুল দিয়ে এক, দুই, তিন দেখিয়েছেন। যেন বুঝিয়ে দিলেন নিজের কীর্তিকেই। সর্বকালের সেরা দৌড়বিদের রেকর্ডে ভাগ বসিয়েছেন, আনন্দটাও তাই বাঁধভাঙ্গা ছিল লাইলসের জন্য। 

বোল্ট অবশ্য এমন তিন স্বর্ণ জেতা রীতিমত ‘অভ্যাস’ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। সবমিলিয়ে মোট ৫ বার এমন ‘ট্রেবল’ কীর্তি গড়েছিলেন জ্যামাইকান কিংবদন্তি। ২০১২ এবং ২০১৬ অলিম্পিকে ছিল তার ট্রেবল। আর ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপে ২০০৯, ২০১৩ এবং ২০১৫তে পেয়েছিলেন স্প্রিন্টের তিন প্রতিযোগিতার স্বর্ণপদক। 

লাইলসের বয়স কেবল ২৬। তরুণ এই মার্কিন দৌড়বিদের জন্য মঞ্চটা অবশ্যই প্রস্তুত আছে। পরের বছরই প্যারিসে বসবে অলিম্পিকের আসর। তাতে নোয়াহ লাইলসের গতির ঝড় দেখার জন্য নিশ্চয়ই অপেক্ষা করবে পুরো বিশ্ব। 

জেএ