১৯৯১ সালে মন্ত্রিপরিষদের এক সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছিল স্টেডিয়ামগুলোর গেট মানি থেকে প্রাপ্ত অর্থের ১৫ শতাংশ সংশ্লিষ্ট ফেডারেশন জাতীয় ক্রীড়া পরিষদকে (এনএসসি) প্রদান করবে। ক্রিকেট ছাড়া দেশের অন্য কোনো খেলায় সেভাবে আয় নেই। ক্রিকেট বোর্ডের কাছ থেকে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের গেট মানি অনাদায় ছিল অনেক দিন। বেশ কয়েক বছর পর জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ বিসিবির কাছ থেকে গেট মানি বাবদ অর্থ পেয়েছে।

সম্প্রতি জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ বিসিবির কাছ থেকে ৫৩ লাখ ৪৫ হাজার ৯৭৭ টাকার একটি চেক গ্রহণ করেছে। বিসিবি জাতীয় ক্রীড়া পরিষদকে এই চেক প্রদান করেছে ২০১৯-২০ ও ২০২১-২২ অর্থবছরে টিকিট বিক্রয়ের প্রাপ্ত অর্থ থেকে। ২০২০-২১ অর্থ বছরে করোনার জন্য টিকিট বিক্রি করতে পারেনি বিসিবি। ২০১৯-২০ অর্থবছরে ১ কোটি ৯৩ লাখ ৪৮ হাজার ২৭০ টাকার বিক্রি করেছিল বিসিবি। পরের বছর করোনায় বিসিবির আয় হয়নি। 

এর পরের বছর ২০২১-২২ অর্থবছরে ১ কোটি ৬২ লাখ ৯১ হাজার ৫৭৬ টাকার টিকিট বিক্রি করেছে। এই দুই অর্থবছরে মোট ৩ কোটি ৫৬ লাখ ৩৯ হাজার ৮৪৬ টাকার টিকিট বিক্রির মাধ্যমে আয় করে বিসিবি। এই টাকার ওপর ১৫ শতাংশ অর্থ ৫৩ লাখ ৪৫ হাজার ৯৭৭ টাকা বিসিবি এনএসসিকে প্রদান করেছে।

আরও পড়ুন: ৩০ বছরেও বিসিবি-এনএসসির যে বিষয় অমীমাংসিত 

যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল বিসিবির সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন,‘বিসিবি ক্রিকেটের পাশাপাশি অন্য অনেক খেলা এবং ক্রীড়াবিদ,সংগঠককে সহায়তা করছে। আমাদের পাওনা অর্থ প্রদান করায় বিসিবি সভাপতি পাপন ভাইকে ধন্যবাদ জানাই। আমরা এই অর্থ এখন ক্রীড়া সংশ্লিষ্ট নানা কাজে ব্যবহার করতে পারব।’ 

জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ বিসিবির প্রচার স্বত্ব ও গেট মানি নিয়ে অনেক দিন অর্থ দাবি করে আসছে দীর্ঘদিন থেকেই। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের দাবি বিসিবির কাছে তাদের গেট মানি বাবদ পাওনা কোটির উপরে। ১৯৯১ সালে মন্ত্রীপরিষদ সভায় সিদ্ধান্ত হলেও বিসিবি জাতীয় ক্রীড়া পরিষদকে গেটমানি বাবদ প্রথম অর্থ প্রদান করে ২০০৭ সালে। ২০০৭ থেকে অদ্যবধি সাত বার এনএসসিকে গেট মানির অর্থ প্রদান করে। অন্য দিকে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ এনএসসিকে এই সংক্রান্ত প্রায় বিশটি চিঠি প্রদান করে। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের বর্তমান সচিব পরিমল সিংহ অনেক পুরনো ইস্যু সমাধান করেছেন। প্রায় ছয় বছর পর জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ বিসিবি থেকে গেটমানি আদায় করল।

এজেড/এফআই