বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনে নারীদের অবদান অনেক। বিশেষত ফুটবল ও ক্রিকেটে দলীয় সাফল্যে তারা পুরুষদের চেয়ে কোনো অংশ কম নন। অন্য খেলাগুলোতেও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অনেক পদক রয়েছে নারীদের। এত অবদানের পরও দেশের ক্রীড়াঙ্গনে নারীদের জন্য আলাদাভাবে বিশেষ দিন পালিত হয় না। 

অন্য অনেক দেশে মহিলাদের জন্য আলাদা ক্রীড়া সংস্থা সেভাবে নেই। তবে বাংলাদেশে রয়েছে মহিলা ক্রীড়া সংস্থা। সেই সংস্থাও নারী দিবসে তেমন কিছু আয়োজন করে না ৷ ৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবসে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন মাঝে মধ্যে এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনের আওতায় কিছু ফেস্টিভ্যাল করেছে। 

নারী দিবস উপলক্ষে টুর্নামেন্ট বা প্রতিযোগিতা সেভাবে আয়োজন হয় না দেশের ক্রীড়াঙ্গনে। বাংলাদেশ আরচ্যারি ফেডারেশন এবার এ দিনটি পালন করছে। ৭০ জনের মতো নারী আরচ্যার রিকার্ভ ও কম্পাউন্ড ইভেন্টে অংশ নেন। 

টঙ্গীস্থ আরচ্যারী প্রশিক্ষণ কেন্দ্র শহীদ আহসান উল্লাহ্ মাস্টার দেশের বিভিন্ন ক্লাব, সার্ভিসেস সংস্থা, জেলা ক্রীড়া সংস্থা, বিকেএসপি থেকে ক্যাটাগরি-‘ক’এবং ক্যাটাগরি-‘খ’তে রিকার্ভ ও কম্পাউন্ড ডিভিশনে শুধুমাত্র একক ইভেন্টে খেলা পরিচালনা করা হয়। ক্যাটাগরি-‘ক’তে রিকার্ভ একক ইভেন্টে দিয়া সিদ্দিকী (বাংলাদেশ আনসার) গোল্ড, উম্মেচিং মারমা (বিকেএসপি) সিলভার ও ফামিদা সুলতানা 
নিশা (বিকেএসপি) ব্রোঞ্জ মেডেল জয় লাভ করেন। একই ক্যাটাগরিতে কম্পাউন্ড একক ইভেন্টে বন্যা আক্তার (বাংলাদেশ আনসার) গোল্ড, সুস্মিতা বনিক (আর্মি আরচ্যারী ক্লাব) সিলভার ও পুস্পিতা জামান (বিকেএসপি) ব্রোঞ্জ মেডেল জয় লাভ করেন।

ক্যাটাগরি-‘খ’তে রিকার্ভ একক ইভেন্টে মনিরা আক্তার (বিকেএসপি) গোল্ড, উর্মি খাতুন (বিকেএসপি) সিলভার ও খুর্শিদ জাহান (বিকেএসপি) ব্রোঞ্জ মেডেল জয় লাভ করেন। একই ক্যাটাগরিতে কম্পাউন্ড একক ইভেন্টে ঝর্না খাতুন (আর্মি আরচ্যারী ক্লাব) গোল্ড, কুলছুম আরা খাতুন (বিকেএসপি) সিলভার ও উম্মে হাবিবা অনন্যা (বিকেএসপি) ব্রোঞ্জ মেডেল জয় লাভ করেন।

খেলা শেষে প্রধান ও বিশেষ অতিথি অতিথি হিসেবে ছিলেন নারীরাই। আরচ্যারী ফেডারেশনের কার্যনির্বাহী কমিটির দুই সদস্য শামীমা সাত্তার মিমু ও ফারহাদ জেসমিন লিটি যথাক্রমে প্রধান ও বিশেষ অতিথি ছিলেন। আজকের এই আয়োজনের পৃষ্ঠপোষকতা করেছে কিউট। পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান ও ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক কাজী রাজিবউদ্দিন আহমেদ চপলও পুরস্কার প্রদানের সময় উপস্থিত ছিলেন। 

বাংলাদেশ রাগবি ফেডারেশনও এই দিবসটি উদযাপন করেছে। তবে আরচ্যারি ফেডারেশন একটু বড় করেই আয়োজন করেছে৷ 

এজেড/এফআই