২৮ জুলাই ইংল্যান্ডের বার্মিংহামে কমনওয়েলথ গেমস। ৮ আগস্ট সেই গেমস শেষ হওয়ার পর দিনই তুরস্কের কোনিয়াতে অনুষ্ঠিত হবে ইসলামিক সলিডারিটি গেমস। দু’টি বড় আন্তর্জাতিক গেমস থাকায় অনেক ক্রীড়াবিদ, কোচকেবাড়ির পরিবর্তে ক্যাম্পেই ঈদ উদযাপন করতে হচ্ছে। অ্যাথলেটিকস, বক্সিং, জিমন্যাস্টিকস, সাতার, ভারোত্তোলন, কুস্তি ও টেবিল টেনিসের খেলোয়াড়দের মিলছে না ছুটি। মা-বাবা কিংবা কোন আত্মীয়-স্বজন নন, ক্যাম্পে সতীর্থদের সঙ্গেই তারা ভাগ করে নেবেন ঈদের আনন্দ।

ঈদের ছুটি না পেলেও নতুন জামা কাপড় পেয়েছেন অ্যাথলেটরা। হাই জাম্পার উম্মে হাফসা রুমকি বলেন, ‘আমরা তিনজন ছেলে ও দুই জন মেয়ে রয়েছি বিকেএসপির ক্যাম্পে। ফেডারেশন থেকে আমাদের মেয়েদের জন্য শাড়ি এবং ছেলেদের জন্য পাঞ্জাবি পাঠানো হয়েছে। আজ রোববার ঈদের দিন কোরবানির জন্য একটি খাশিও পাঠানো হয়েছে। মা-বাবা না থাকলেও আনন্দের কোন কমতি দেখছি না।’ 

সব সময় ঘরোয়া খেলাধুলায় ব্যস্ত থাকা হ্যান্ডবল আন্তর্জাতিক খেলার সুযোগ পায় কম। এবার ইসলামিক সলিডারিটি গেমসে নারী দল অংশ নেবে। এজন্য ঈদে ছুটি পায়নি হ্যান্ডবল দল। হ্যান্ডবল ফেডারেশন খেলোয়াড়দের জন্য কোরবানির ব্যবস্থা করেছে। ক্যাপ্টেন (অব.) এম মনসুর আলী হ্যান্ডবল স্টেডিয়ামে কমনওয়েলথ গেমস ও সলিডারিটি গেমসের জন্য ক্যাম্পে রয়েছেন কুস্তি খেলোয়াড়রাও। ঈদের জন্য কুস্তিগীরদের হাত খরচ দেওয়া হয়েছে। 

গত ঈদের মতো এবারও ছুটি নেই টেবিল টেনিসে। বাড়ি যেতে পারছেন না তারা। তবে ঈদের দিন নিজেদের মতো কিছুটা সময় কাটাতে পারবেন। তাও ক্যাম্পের গন্ডির মধ্যে। কোচ মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘খেলোয়াড়রা ঈদে বাড়ি যেতে পারছি না। কারণ সামনেই গেমস। করোনা হলে কে দায়িত্ব নেবে। তাই ছয় ছেলে মেয়ে ক্যাম্পেই ঈদ কাটাচ্ছি।’ 

ছুটি নেই ভারোত্তোলনেও। মাবিয়াদের কোচ শাহরিয়া সুলতানা সূচী বলেন, ‘আর্মি স্টেডিয়াম এবং পল্টনের জিমন্যাশিয়ামে বিরামহীন অনুশীলন চলছে মাবিয়া-ইকরাদের। ঈদে তাদের কোন ছুটি নেই। কেউ বাড়ি যাবে না কারন ক’দিন পরেই গেমসে যেতে হবে। যাতে কেউ সমস্যায় না পড়ে, তাই আমাদের কোন ছুটি নেই।’ 

পরিবারের সঙ্গে ঈদ করতে না পারায় অবশ্য খুব আফসোস নেই খেলোয়াড় কোচদের। দেশের জন্য বিদেশের মাটিতে লড়ার গৌরবের। ঈদের আগের দিন অনুশীলন থাকলেও ঈদের দিনে কিছুটা ছাড় পাবেন সব ডিসিপ্লিনের খেলোয়াড়রা। 

এজেড/এটি