খেলার মাঠে ভারত-পাকিস্তান মুখোমুখি মানেই বাড়তি উত্তেজনা। ক্রিকেটের ২২ গজ হোক কিংবা হকির অ্যাস্ট্রোটার্ফ। ব্যতিক্রম হলো না এশিয়ান হকির চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির লড়াইও। তুমুল উত্তেজনার ম্যাচে পিছিয়ে পড়েও পাকিস্তানের বিপক্ষে জয় ছিনিয়ে নিলো ভারতীয় হকি দল। এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ম্যাচে হরমনপ্রীত সিংহরা জিতলেন ২-১ ব্যবধানে। 

চীন, জাপান, মালয়েশিয়া ও দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে টানা সহজ জয়ের পরও পাকিস্তানের বিরুদ্ধে স্নায়ুর চাপ সামলে লড়াই করতে হয় ভারতীয় হকি দলকে। টিম ইন্ডিয়ার চাপ বাড়িয়ে দেয় ৮ মিনিটে পাকিস্তানের গোল। মাঝমাঠ থেকে শহিদ ‘ডি’র মধ্যে বল দেন আহমেদ নাদিমকে। গোল করতে ভুল করেননি তিনি। এর আগে ৫ মিনিটেও গোলের সহজ সুযোগ পেয়েছিল পাকিস্তান। বল দখলের লড়াইয়ে হরমনপ্রীতকে পরাস্ত করেও গোল করতে পারেননি শাকিল।

পিছিয়ে পড়ার পর ক্রমশ লড়াইয়ে ফিরতে শুরু করে ভারতীয় দল। খেলার গতি এবং আক্রমণের তীব্রতা বাড়িয়ে পাকিস্তানকে পাল্টা চাপে ফেলার চেষ্টা শুরু করে ভারতীয় দল। ১৩ মিনিটে পর পর দু’টি পেনাল্টি কর্নার আদায় করে নেন ভারত। প্রথমটি থেকে গুরজ্যোৎ সিংহ গোল করতে ব্যর্থ হন। দ্বিতীয়টি থেকে গোল করতে ভুল করেননি ভারত অধিনায়ক। 

সমতা ফেরানোর ক্রমশ দাপট বাড়তে থাকে ভারতীয় দলের। দ্বিতীয় কোয়ার্টারের শুরু থেকেই প্রতিপক্ষকে চেপে ধরেন হরমনপ্রীতরা। ১৯ মিনিটে পেনাল্টি কর্নার পায় ভারত। গোল করে দলকে এগিয়ে দেন হরমনপ্রীত। এগিয়ে যাওয়ার পর থেকে অবশ্য পাকিস্তানকে আর বিশেষ সুযোগ দেননি ভারত। একের পর এক আক্রমণ তৈরী করে পাকিস্তানের রক্ষণকে ক্রমাগত ব্যস্ত রেখে গিয়েছেন হরমনপ্রীতরা। 

একাধিক বার উত্তেজনা তৈরি হয়েছে দু’দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে। ৪২ মিনিটে ফাউল করার জন্য হলুদ কার্ড দেখে ৫ মিনিটের জন্য মাঠ ছাড়তে হয় পাকিস্তানের সুফিয়ানকে। এরপর ৫০ মিনিটে যুগরাজকে স্টিক ফাউল করে হলুদ কার্ড দেখেন রানা। তাকে ১০ মিনিটের জন্য বের করে দেন আম্পায়াররা।

ফলে ম্যাচের শেষ ১০ মিনিট ১০ জনে খেলতে হয় পাকিস্তানকে। সেই সুযোগ অবশ্য কাজে লাগাতে পারেনি ভারতীয় দল। আবার শেষ ৩ মিনিট ভারতকেও খেলতে হয় ১০ জনে। ফাউল করায় হলুদ কার্ড দেখেন মনপ্রীত সিংহ। তাকে ৫ মিনিটের জন্য বার করে দেওয়া হয়।

এফআই