দেশের অন্যতম সম্ভাবনাময় খেলা হকি। সেই হকি নানা কোন্দল ও সংকটে বরাবরই পেছনের দিকে হাটছে। ৫ আগস্ট পট পরিবর্তনের পর হকির সংকট আরো গভীর হয়েছে। সাধারণ সম্পাদক মমিনুল হক সাঈদের খোঁজ পাচ্ছেন না সংশ্লিষ্টরা। কমিটির আরও অনেকেই আসছেন না ফেডারেশনে। 

উদ্ভুত পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে সাবেক হকি খেলোয়াড় ও ফেডারেশনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাজেদ এএ আদেল গতকাল হকিসংশ্লিষ্টদের নিয়ে মত বিনিময় সভার আয়োজন করেন। সেই সভায় হকির সাবেক তারকা খেলোয়াড়, কোচ ও সংগঠক, সাংবাদিক সকল পক্ষই হকির বর্তমান ও ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোকপাত করেন। 

হকির বর্ষীয়ান সংগঠক ফেডারেশনের বর্তমান নির্বাহী কমিটির সদস্য ইউসুফ আলী বলেন, ‘অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে হকি ফেডারেশনে অ্যাডহক কমিটি হবে। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ যে কমিটিই করুক। হকির স্বার্থে আমাদের সবার এক হয়ে কাজ করা উচিত।’

ফেডারেশনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাজেদ এএ আদেল রাজনীতি ও ব্যক্তি স্বার্থের উর্ধ্বে হকিকে রাখার অনুরোধ করেছেন, ‘রাজনৈতিক প্রভাব ও পরিচয়ে ফেডারেশনে অনুপ্রেবশ বন্ধ করতে হবে। হকিই আমাদের দল। নিঃস্বার্থভাবে হকির জন্য কাজ করতে হবে। বাংলাদেশের হকির সম্ভাবনা অনেক।’

হকি ফেডারেশনের সর্বশেষ নির্বাচনে সাজেদ আদেল কাউন্সিলরই হতে পারেননি। বর্তমান সাধারণ সম্পাদক মমিনুল হক সাঈদের প্রতি পেশীশক্তির প্রভাবকে অভিযুক্ত করে বলেন, ‘আমি হকি অঙ্গনে দীর্ঘদিন এবং আমার নিজস্ব দুই ক্লাব থাকা সত্ত্বেও কাউন্সিলর হতে পারিনি সাঈদ সাহেবের কারণে। তিনি সরাসরি আমাকে বলেছেন,‘আপনার টাকা থাকতে পারে কিন্তু আমার শক্তি বেশি’। হকিতে আমরা ভাড়াটে লোক চাই না।’

ফেডারেশনের কমিটিতে আসতে কাউন্সিলর হতে হয়। সাবেক অনেক খেলোয়াড়ই ক্লাব-জেলা থেকে কাউন্সিলর হতে পারেন না। হকির স্বার্থে সাবেক খেলোয়াড়দের কাউন্সিলর করার বিষয়টি গঠনতন্ত্রে আনা প্রয়োজন মনে করেন আবু জাফর তপন, ‘গঠনতন্ত্র পরিবর্তন করে সাবেক খেলোয়াড়দের কাউন্সিলর করার বিধান আনা প্রয়োজন। সাবেক খেলোয়াড়রা থাকলে হকি কমিটি আরো গতিশীল হবে।’

জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারপ্রাপ্ত হকি খেলোয়াড় ও কোচ মামুনুর রশীদ হকি পিছিয়ে যাওয়ার পেছনে কোন্দলকেই দায়ী করেছেন। কালকের সভায় সামনের দিনে হকি উন্নয়নে নির্দলীয় ব্যক্তিদের ফেডারেশনের অগ্রাধিকারের আলাপ হয়েছে। ঐক্যের আহ্বান করলেও কালকের সভায় উপস্থিত হননি মোহামেডান, আবাহনী ঘরানার অনেকেই। হকির তৃতীয় শক্তি মেরিনার্সের কয়েকজন অবশ্য ছিলেন। 

এজেড/এফআই