ক্রীড়া উপদেষ্টার সাক্ষাৎ চান হকি খেলোয়াড়রা
দেশের অন্যতম সম্ভাবনাময় খেলা হকি। কর্মকর্তাদের কোন্দল ও নানা সীমাবদ্ধতায় এই খেলাটি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সর্বোচ্চ পর্যায়ে যেতে পারেনি। আবার নানা সংকটে ঘরোয়া পর্যায়েও অচল থাকে অনেক সময়।
লিগ খেলোয়াড়দের আয়ের অন্যতম প্রধান উৎস। সেই লিগই হয় অনিয়মিত। তাই হকি খেলোয়াড়রা নানা কষ্টের মধ্যেই জীবনযাপন করেন। হকি লিগ নিয়মিত সহ আরো কয়েকটি বিষয় নিয়ে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ভূইয়ার সাক্ষাৎ চান হকি খেলোয়াড়রা।
বিজ্ঞাপন
আজ দুপুরে মওলানা ভাসানী স্টেডিয়ামে একত্রিত হয়েছিলেন বেশ কয়েকজন হকি খেলোয়াড়। জাতীয় খেলোয়াড়দের অনেকেই বিভিন্ন সংস্থায় চাকরি করায় তারা সশরীরে আসতে পারেননি। তবে আজ যারা এসেছিলেন তারা জানিয়েছেন এদের প্রতি সমর্থন রয়েছে।
জাতীয় হকি দলের সিনিয়র খেলোয়াড় পুষ্কর ক্ষিসা মিমো বলেন,‘আমরা হকি খেলোয়াড়দের প্রধান চাওয়া লিগ যেন নিয়মিত হয়। লিগের ওপরই আমরা জীবন ধারণ করি। বিশেষ করে যারা কোনো সংস্থায় নেই, তাদের অনেক কষ্ট হয় লিগ না হলে।’
মিমোর মতোই চাওয়া হাসান জুবায়ের নিলয়ের,‘ফেডারেশন যেন নিয়মিত লিগ আয়োজন করে এবং ক্লাবগুলোও যেন সহায়তা করে হকির স্বার্থে এনএসসি-মন্ত্রণালয় এ রকম একটা নির্দেশনা দিলে খুব ভালো হয়।’
ক্রীড়াঙ্গনে সংস্কারের জন্য সার্চ কমিটি গঠন হয়েছে। সেই সার্চ কমিটির সামনেও যেতে চায় হকি খেলোয়াড়রা,‘আমরা এখন মাঠের খেলোয়াড়। হকির সমস্যা, সম্ভাবনা সবই বলতে পারব। সার্চ কমিটির সাথে আমরা পাঁচ-ছয় জন বসতে চাই। আমাদের কথাগুলো শুনলে ও বাস্তবায়ন হলে হকির চিত্র পরিবর্তন হবে’-বলেন গোলরক্ষক সাইজউদ্দিন।
পাঁচ জনের সার্চ কমিটিতে রয়েছেন সাবেক হকি খেলোয়াড় মেজর ইমরোজ। তিনি এই কমিটিতে থাকায় বর্তমান হকি খেলোয়াড়রা একটু আশ্বস্ত,‘এই কমিটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের একজন হকি খেলোয়াড় থাকায় বেশ খুশি। আমরা আশা করব তিনি হকির সঠিক দিক নির্দেশনা দিতে পারবেন।’
মওলানা ভাসানী স্টেডিয়ামের ভেতরে সেনাবাহিনীর ক্যাম্প রয়েছে। তাই হকি খেলোয়াড়রা গেটের সামনে দাড়ান। জাতীয় দলের কয়েকজন খেলোয়াড়ের সাথে জেলা পর্যায়ের বেশ কয়েকজন ছিলেন। স্টেডিয়াম থেকে পরবর্তীতে তারা লিখিত চিঠি দিতে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদে যান।
এজেড/এফআই