স্কোরলাইন আবাহনী ৩ - মোহামেডান ২। মওলানা ভাসানী স্টেডিয়ামে ম্যাচের শেষ বাশি বাজার মুহুর্তে মোহামেডান রিভিউয়ের আবেদন করে। ইলেকট্রনিক স্কোরবোর্ডে সময় শেষ হয়ে যাওয়ায় আবাহনী জয়ের আনন্দে মাঠ ছাড়ে। মোহামেডান আম্পায়ারকে ঘিরে রিভিউয়ের আবেদন জানাতে থাকে। 

মোহামেডানের অধিনায়ক রাসেল মাহমুদ জিমি আবাহনী খেলোয়াড়দের দিকে তেড়ে যান। আবাহনীর খেলোয়াড়রাও বাকবিতণ্ডায় জড়ান। কয়েকজন খেলোয়াড়ের মধ্যে হাতাহাতি-ধাক্কাধাক্কি হয়। এক পর্যায়ে দুই দলের কর্মকর্তারাও বাদানুবাদে জড়ায়। লিগ কমিটির সম্পাদক খাজা তাহের লতিফ মুন্না ও ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক একেএম মমিনুল হক সাঈদ বিষয়টি মধ্যস্থতার চেষ্টা করেন। আবাহনী টার্ফ ছেড়ে কুল ডাউনে থাকলেও মোহামেডানে প্রতিবাদ জানাতে থাকে। ভিডিও আম্পায়াররা রিভিউ দেখার পর মোহামেডানের বিপক্ষে সিদ্ধান্ত গেলে খেলা আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ হয়।

ঘরোয়া হকিতে এমন চিত্র নতুন কিছু নয়, এক ঘন্টার ম্যাচ কয়েক ঘন্টা ধরে চলা। আলোকস্বল্পতায় পরের দিন খেলা সবই হয়েছে। সেই তুলনায় আজ আবাহনী-মোহামেডান ম্যাচ অনেকটা সুন্দরভাবেই চলছিল। ম্যাচের শেষ সেকেন্ডে মোহামেডানের আপত্তির প্রেক্ষিতে ঝামেলার সূত্রপাত। পরবর্তীতে মোহামেডানের অধিনায়ক জিমি মেজাজ হারালে পরিস্থিতি আরো খারাপ হয়। দেশ সেরা খেলোয়াড় হলেও তার মেজাজ হারানোর ঘটনা নতুন কিছু নয়।

ক্লাব কাপ হকির দ্বিতীয় সেমিফাইনালে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী মোহামেডানকে ৩-২ গোলের ব্যবধানে হারিয়ে ফাইনালে জায়গা করে নেয় আবাহনী। রোমান সরকার জোড়া গোল ও অপর গোলটি করেন অধিনায়ক পুস্কর খীসা মিমো। অপরদিকে মোহামেডানের হয়ে আমিরুল ইসলাম ও চার্ল উলরিচ সমান একটি করে গোল করেন।

খেলার চতুর্থ মিনিটে পেনাল্টি কর্নার থেকে গোল করে দলকে এগিয়ে নেন মোহামেডানের ডিফেন্ডার আমিরুল ইসলাম (১-০)। অষ্টম মিনিটে মিমোর গোলে সমতায় ফেরে আবাহনী (১-১)। খেলার দ্বিতীয় কোয়ার্টার ছিল গোলশূন্য। তৃতীয় কোয়ার্টারের ৩২ মিনিটে আবাহনীর রোমান সরকার ফিল্ড গোল করে দলকে এগিয়ে নেন (২-১)। খেলার চতুর্থ ও শেষ কোয়ার্টারের ৪৯ মিনিটে আবারো গোল রোমানের। আবাহনী এগিয়ে যায় ৩-১ ব্যবধানে। ৫৬ মিনিটে পেনাল্টি স্ট্রোক পায় মোহামেডান। গোল করে ব্যবধান কমান চার্ল উলরিচ (৩-২)।

আগামী শনিবার (২ মার্চ) মেরিনার্সের বিপক্ষে ফাইনাল খেলবে আবাহনী। ২০২১ সালেও দুই দলের মধ্যে ফাইনাল অনুষ্ঠিত হয়েছিল।

এজেড/এইচজেএস