সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচের দুটিতেই জিতেছে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। বিশেষ করে দ্বিতীয় ম্যাচে সিঙ্গাপুরকে ৮-০ গোলে বিধ্বস্ত করেছেন সাবিনারা। দুই ম্যাচ জেতার পর জাতীয় নারী ফুটবলাররা ১৫ দিনের ছুটি পেয়েছেন। তবে বাড়ির পথ ধরার আগে অক্টোবর এবং নভেম্বর মাসের বেতন পাননি তারা।

জানা গেছে, ফেডারেশন ও কোচিং স্টাফের ১০ দিনের ছুটি দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল। ফুটবলারদের দাবির প্রেক্ষিতে আরও ৫ দিন ছুটি বেড়েছে। ছুটি পেয়ে আজই অনেকে বাড়ির পথে রওনা হয়েছেন। যদিও নারী ফুটবলারদের অক্টোবর এবং নভেম্বর মাসের বেতন এখনও দেয়নি বাফুফে। ফলে পরিবার-পজিনের কাছে তেমন অর্থকড়ি নিয়ে যেতে পারছেন না তারা। তবে বাফুফের পক্ষ থেকে আগামীকালের (বুধবার) মধ্যে ফুটবলারদের বেতন প্রদানের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। 

নারী ফুটবলাররা মাসিক বেতনের পাশাপাশি ম্যাচ ফিও পেয়ে থাকেন। যারা মাঠে নামেন তারা ম্যাচপ্রতি ১০ হাজার আর যারা বেঞ্চে থাকেন তারা ৫ হাজার টাকা করে পান। সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে দুই ম্যাচেরও ফি বাকি। অক্টোবরের বেতনের সঙ্গে ম্যাচ ফি’ও প্রদানের আশ্বাস দিয়েছে ফেডারেশন।

সেপ্টেম্বর থেকে নারী ফুটবলারদের বর্ধিত হারে বেতন পাওয়ার কথা ছিল। বাফুফে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা ও সংবাদ সম্মেলন করলেও সেপ্টেম্বর-অক্টোবরের বেতন দিতে পারেনি ফেডারেশন। ফিফার আনুষ্ঠানিকতার জন্য সাবিনারা সেপ্টেম্বরের বেতন পেয়েছেন নভেম্বর প্রথম ভাগে। এখন ডিসেম্বর চললেও দুই মাস বকেয়া তাদের। তাই সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে এমন জয়ের পরও খানিকটা মলিন মুখেই বাড়ির পথ ধরছেন এসব ফুটবলাররা।

বাফুফের চেকে স্বাক্ষর করার বিধান রয়েছে বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন, সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী ও সহ-সভাপতি কাজী নাবিল আহমেদের। এই তিন জনের মধ্যে দু’জনের স্বাক্ষর বাধ্যতামূলক একটি চেকে। শীর্ষ কর্তাদের নানা ব্যস্ততার জন্য অনেক ক্ষেত্রে চেক ইস্যুতে বিলম্ব হয়ে যায়। 

এজেড/এএইচএস