নিবেদন বা পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে মেলে স্বীকৃতি। সেই স্বীকৃতি পেতে আবেদন করতে অনেকেরই অনীহা। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ স্বপ্রোণদিত হয়েই হকির নিবেদিত প্রাণ ব্যক্তিত্ব ফজুলল ইসলামকে ‘শেখ কামাল জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ পুরস্কার’ সংগঠক হিসেবে পুরস্কৃত করছে। 

আজ দুপুরে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল বলেন, ‘এই পুরস্কারের জন্য অনেকেই আবেদন করেছে। আবার আমরাও মনোনীত করেছি। তেমন একজন হচ্ছেন হকির ফজলু। করোনার সময়েও তিনি হকি নিয়ে কাজ করেছেন। হকির অনেক অধিনায়ক এবং তারকা খেলোয়াড়ই তার হাতে গড়া। এমন একজন ব্যক্তিত্বকে আমরাই বাছাই করেছি। তিনি আবেদন করেননি প্রথমে আমরাই তাকে জীবনবৃত্তান্ত দিতে বলেছি।’ 

জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার ক্রীড়াঙ্গনের সর্বোচ্চ অর্জন। এরপরের স্তরই জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ পুরস্কার। এই পুরস্কারে আবেদনের বাইরেও দেওয়ার এখতিয়ার রয়েছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের। 

এবার ১০ জন ব্যক্তি ও ২ জন সংস্থা এই পুরস্কার পাবে। পৃষ্ঠপোষক হিসেবে পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকস। এই প্রতিষ্ঠান মনোনয়নের কারণ সম্পর্কে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘শেখ কামাল যুব গেমস ও বিভিন্ন বড় আসরগুলোতে এই প্রতিষ্ঠানটি ক্রীড়াঙ্গনে সহায়তা করে। এজন্য তাদের বেছে নিয়েছে জুরি বোর্ড।’ 

শেখ কামাল জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ পুরস্কারে এবার যোগ হয়েছে ধারাভাষ্যকার। প্রথমবারই এই পুরস্কার পাচ্ছেন সাবেক ক্রিকেটার আতাহার আলী খান। বর্ষীয়ান আলফাজ আহমেদ, নিখিল চন্দ্রসহ আরো অনেকের নাম তালিকায় থাকলেও আতাহার আলী চূড়ান্ত হওয়ার পেছনে মন্ত্রীর ব্যাখ্যা,‘সবাই ক্রীড়াঙ্গনের জন্য কাজ করছে। আতাহার আলী ধারাভাষ্যের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করছে।’

জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ পুরস্কারে আজীবন সম্মাননা পাচ্ছেন আব্দুস সাদেক। ক্রীড়াঙ্গনের অন্যতম এই কিংবদন্তিকে এই সম্মাননা জানাতে পেরে ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। সম্প্রতি আবাহনী ক্লাবে পরিচালনা পর্ষদের তালিকায় তার নাম নেই। এ নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্ন হলে মন্ত্রী বলেন, ‘পুরস্কারের দিন আবাহনী ক্লাবের চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমান থাকবেন তার সঙ্গে এই বিষয়ে আলোচনা করব কেন সাদেক সাহেবকে বাদ দেওয়া হলো।’

৫ আগস্ট শেখ কামালের জন্মদিনে শেখ কামাল জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ পুরস্কার প্রদান করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পুরস্কারপ্রাপ্তরা ১ লাখ টাকা, সম্মাননাপত্র এবং ক্রেস্ট পাবেন। আর্থিক অঙ্ক নিয়ে ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারের অর্থ এক লাখ টাকা। সেটা বৃদ্ধি না হলে এটা বাড়ানো সম্ভব নয়। আমরা জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারের অর্থ বৃদ্ধির চেষ্টা করছি। সেটা হলে এটাও বাড়বে। ’

আজীবন সম্মাননা: আব্দুস সাদেক
ক্রীড়াবিদ: সাবিনা খাতুন,তাসকিন আহমেদ ও জিয়ারুল ইসলাম
উদীয়মান ক্রীড়াবিদ: মুহতাসিন আহমেদ হৃদয় ও আমিরুল ইসলাম
ক্রীড়া সংগঠক: মালা রাণী সরকার ও ফজলুল ইসলাম
ক্রীড়া সংস্থা: আরচ্যারি ফেডারেশন
পৃষ্ঠপোষক: বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকস
ক্রীড়া সাংবাদিক: খন্দকার তারেক
ধারাভাষ্যকার: আতাহার আলী খান

এজেড/এফআই