বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনে আদিবাসী লুসাই পরিবারের অবদান অনেক। সত্তরের দশকে রামা লুসাই ফুটবল, হকিতে ছিলেন তারকা খেলোয়াড়। আশির দশকে বাংলাদেশ হকি দলের নির্ভরতার প্রতীক হয়ে উঠেন জুম্মন লুসাই। আবাহনী অন্তপ্রাণ জুম্মন পৃথিবী ছেড়েছেন ২০১৫ সালে। ছয় বছর পর চলে গেলেন তার ছোট ভাই সাবেক হকি খেলোয়াড় জুবেল লুসাই। আবাহনী, মোহামেডান, অ্যাজাক্স, সাধারণ বীমায় খেললেও ভাইয়ের কারণে আবাহনীর সঙ্গে সম্পৃক্ততা বেশি ছিল জুবেলের। 

জুম্মনরা ছিলেন ৬ ভাই ও ১ বোন৷ তাদের পরিবারের সবাই কম বেশি ক্রীড়াঙ্গনের সঙ্গে যুক্ত। বিশেষ করে জুম্মন লুসাই বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনের অন্যতম এক কিংবদন্তি৷ জুম্মনের মৃত্যুর পর আনুষ্ঠানিকতা করেছিলেন তার ছোট ভাই জুবেল। সেই জুবেল আজ ভোররাতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে পৃথিবী ত্যাগ করেন মাত্র ৫৬ বছর বয়সে৷ 

জুবেলের বড় বোন মরিয়ম ভাইয়ের বিদায় সম্পর্কে বলেন, ' জুবেল স্বাভাবিক ও সুস্থ ছিল৷ রাত ১২ টার দিকে হঠাৎ বুকে ব্যথা অনুভব করে। ডাক্তারের সঙ্গে আলাপ করে ওষুধও খেয়েছে। এরপর কিছুক্ষণ ঘুৃমায়। এরপর আবার খারাপ লাগে বলছিল। কিছুক্ষণ পর দুনিয়া থেকে চলে গেল '। স্ত্রী, দুই ছেলে ও এক মেয়ে সহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন৷ 

ঢাকায় একটি বেসরকারি স্কুলের শিক্ষকতা করতেন৷ করোনায় স্কুল কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর শুশ্বরবাড়ি নেত্রকোনার বিরিশিরিতে ছিলেন। মাঝে মধ্যে তাদের বাড়ি সিলেটে আসা-যাওয়া করতেন। এর মধ্যেও ক্রীড়াঙ্গনের সঙ্গে সম্পৃক্ততা ছিল। শুক্রবার ও ছুটির দিন ভ্যাটার্ন হকি খেলতেন। আরচ্যারির প্রশিক্ষকও ছিলেন জুবেল। 

জুবেলের মৃত্যুতে আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই ক্রীড়াঙ্গনে শোকের ছায়া। বিশেষ করে হকি অঙ্গন ও আবাহনী সংশ্লিষ্টরা বেদনাবিধুর তাদের সতীর্থকে হারিয়ে। 

এজেড/এটি