সিলেট জেলা স্টেডিয়ামে আবাহনী শুভযাত্রা করেছে। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ঢাকা মোহামেডানকে ১-০ গোলে হারিয়েছে দলটি। এই জয়ে আবাহনী ৫ ম্যাচে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষেই থাকল। অন্য দিকে লিগে প্রথম হারের তেতো স্বাদ পেল মোহামেডান। পাঁচ ম্যাচে মোহামেডানের ৮ পয়েন্ট। লিগের গত আসরের চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরা কিংস ৫ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে।

কাগজে-কলমে মোহামেডান আবাহনীর চেয়ে অনেক দুর্বল দল হলেও মাঠে সমানে সমান লড়েছে। মোহামেডান একাধিকবার সমতা আনার সুযোগ মিস করেছে। ভাগ্যও মোহামেডানকে বিড়ম্বনায় ফেলেছে বেশ। নাহয় ৭৭ মিনিটে নাইজেরিয়ান ওবি মনেকের ফ্রি কিক কেন ক্রসবারে লেগে ফিরে আসে?

তবে ম্যাচে ভাগ্য-বিড়ম্বিত দলটা কেবল ছিল মোহামেডানই ছিল না, আবাহনীরও ভুগেছে বেশ। আট মিনিটে কোস্টারিকান ড্যানিয়েল কলিন্দ্রেসের ক্রস জুয়েল রানা ভলি করেন। জুয়েলের ভলি শট পোস্টে প্রতিহত হয়। এর তিন মিনিট পর লিড নেয়ার সুযোগ পেয়েছিল মোহামেডানও। গোলের সুবর্ণ সুযোগ নষ্ট করেছেন অধিনায়ক সুলেমান দিয়াবাতে।

২৮ মিনিটে আবাহনী ম্যাচে লিড নেয়। পরিকল্পিত এক আক্রমণে এগিয়ে যায় আবাহনী। সোহেল রানা দর্শনীয় গোল করেন। তার বুলেট গতির শটে মোহামেডানের গোলরক্ষক সুজন ছিলেন নিরব দর্শক। ৩৭ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করার সুযোগ ছিল আবাহনীর। গোল করার মতো জায়গায় থেকেও জুয়েল বল ঠেলে দেন পোস্টের পাশ দিয়ে।

দ্বিতীয়ার্ধে উভয় দলই গোলের সুযোগ তৈরি করেছিল। ফরোয়ার্ডদের ফিনিশিং দক্ষতার অভাবে স্কোরলাইনে আর কোনো হেরফের ঘটেনি। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বি দুই দলের ম্যাচে মাঠে কিছুটা উত্তেজনা ছিল বেশ। ম্যাচের ২ মিনিটেই কর্নার কিককে কেন্দ্র করে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে মোহামেডানের ২ জন ও আবাহনীর একজনকে হলুদ কার্ড দেখান রেফারি। প্রথমার্ধেই আবাহনীর চারজন ও মোহামেডানের তিনজন হলুদ কার্ড দেখেন।

এজেড/এনইউ