ঘরোয়া ফুটবলে গত চার মৌসুমে দ্বৈরথ যেন সীমাবদ্ধ ঢাকা আবাহনী ও বসুন্ধরা কিংসের মধ্যে। বসুন্ধরা কিংসের ভেন্যু বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনা নিয়ে অনেক জল ঘোলা হয়েছে। এই ভেন্যুতে আজ শেখ রাসেলকে ৩-১ গোলে হারিয়ে বসুন্ধরা কিংসকে টপকে ঢাকা আবাহনী চতুর্থ রাউন্ড শেষে এককভাবে শীর্ষ অবস্থানে চলে এসেছে। 

বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনা শেখ রাসেলেরও হোম ভেন্যু। সেই ভেন্যুতে ঢাকা আবাহনীর বিপক্ষে তেমন প্রতিদ্বন্দ্বিতাই করতে পারেনি সাইফুল বারী টিটুর শিষ্যরা। এই জয়ে চার ম্যাচ শেষে ১০ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে। বসুন্ধরা কিংস গতকাল জয়ের পর নয় পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে ছিল। বসুন্ধরা অ্যারেনাতে শেখ রাসেলের বিপক্ষে জিতে বসুন্ধরাকেই টপকাল ঢাকা আবাহনী। শেখ জামাল এই রাউন্ডে ও গত রাউন্ডে সাইফ স্পোর্টিং পয়েন্ট হারানোয় চতুর্থ রাউন্ড শেষে আবাহনী এককভাবে শীর্ষে থাকবে। 

বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় দর্শক সীমিত থাকলেও আবাহনীর পতাকা হাতে স্বল্প সংখ্যক দর্শক ছিল গ্যালারীতে। প্রথমার্ধ গোলশূন্য থাকলেও দ্বিতীয়ার্ধ আবাহনী দুর্দান্ত খেলে পূর্ণ তিন পয়েন্ট আদায় করে নিয়েছে। গত তিন ম্যাচে আবাহনীর প্রতিটি গোল করেছিলেন ব্রাজিলিয়ান ডোরিয়েল্টন। আজকের ম্যাচে অবশ্য তিনি গোল পাননি। 

আজ ব্রাজিলিয়ান গোল না পেলেও প্রথম গোলটি এসেছে তার সহায়তায়। গোলশূন্য প্রথমার্ধের পর ৪৯ মিনিটে কোস্টারিকান ফুটবলার ড্যানিয়েল কলিন্দ্রেসের কর্নার থেকে বক্সের মধ্যে ডোরিয়েলটন হেড করেন। সেই হেড থেকে পুনরায় হেডে গোল করেন জুয়েল। ১২ মিনিট পর আবাহনীর ইরানিয়ান ফুটবলার মিলাদ শেখ ব্যবধান দ্বিগুণ করেন। বক্সের বাইরে থেকে দুর্দান্ত শটে গোলরক্ষক আশরাফুল ইসলাম রানাকে পরাস্ত করেন। তিন মিনিট পর শেখ রাসেল ম্যাচে ফেরার ইঙ্গিত দেয়। এসমায়েল গঞ্জালেস ব্যবধান ২-১ করেন। 

এরপর শেখ রাসেল ম্যাচে সমতা আনার চেষ্টা করে। সেই চেষ্টা বৃথা হয়ে যায় ৮৪ মিনিটে নবীব নেওয়াজ জীবনের গোলে। বক্সের মধ্যে দারুণভাবে বলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ঠাণ্ডা মাথায় কোনাকুনি শটে বল জালে পাঠান। গোলরক্ষক আশরাফুল ইসলাম রানার আয়ত্বের বাইরে ছিল বল। গতকাল সিলেটে রহমতগঞ্জ শেষ পাঁচ মিনিটে দুই গোল দিয়ে ৩-৩ স্কোরলাইন করেছিল। আজ তেমন কিছু করতে পারেনি শেখ রাসেল ফলে ৩-১ স্কোরলাইন নিয়ে জয় নিয়ে বসুন্ধরা ভেন্যু ছাড়ে আবাহনী। 

এজেড/এনইউ