চলতি বছরের শুরুটা দারুণই হয়েছে লিওনেল স্ক্যালোনির আর্জেন্টিনার। লিওনেল মেসিকে ছাড়াই গেল মাসে খেলেছে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের দুই ম্যাচ, জিতেছে দুটোতেই। তাতেই প্রায় চার বছর পর ফিফা র‍্যাঙ্কিংয়ের সেরা চারে ফিরে এসেছে আলবিসেলেস্তেরা।

২০২২ সালের শুরুতে আর্জেন্টিনার ফিফা র‍্যাঙ্কিং ছিল ৫। এরপর গেল মাসে দুটো ম্যাচে জিতেছে আকাশী-সাদারা। চিলির বিপক্ষে জেতে ২-১ গোলে। এরপর ঘরের মাঠে কলম্বিয়াকেও হারায় ১-০ ব্যবধানে। তাতে ১৬.৪৮ পয়েন্ট বেড়েছে দলটির। সামনে থাকা ইংল্যান্ডকে টপকে গেছে আর্জেন্টিনা, চলে এসেছে র‍্যাঙ্কিংয়ের সেরা চারে।

সবশেষ ২০১৮ সালে বিশ্বকাপের ঠিক আগ মুহূর্তে দলটি অবস্থান নিয়েছিল র‍্যাঙ্কিংয়ের সেরা চারে। তবে সে বিশ্বকাপের দ্বিতীয় রাউন্ডে বিদায় নেওয়ার ফলে এক ধাক্কায় সেরা দশের বাইরে চলে যায় মেসির দল। এরপর ধীরে ধীরে উন্নতি হলেও সেরা চারে ফিরতে পারেনি এতদিন, ফিরল অবশেষে। আজ বৃহস্পতিবার বিশ্ব ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা ফিফা নিজেদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করে চলতি বছরের প্রথম র‍্যাঙ্কিং। সেখানেই নিশ্চিত হয় বিষয়টি। 

আর্জেন্টিনার সামনে এখন আছে বেলজিয়াম, ব্রাজিল ও ফ্রান্স। ইংল্যান্ডের অবনতি হলেও আছে র‍্যাঙ্কিংয়ের সেরা পাঁচেই, তালিকার পঞ্চম অবস্থান হ্যারি কেইনের দলের। র‍্যাঙ্কিংয়ের ছয় থেকে দশে আছে যথাক্রমে ইতালি, স্পেন, পর্তুগাল, ডেনমার্ক ও নেদারল্যান্ডস। 

প্রথমবারের মতো আফ্রিকান নেশন্স কাপ জেতা সেনেগাল ফিফা র‍্যাঙ্কিংয়ে নিজেদের ইতিহাস সেরা অবস্থানে জায়গা করে নিয়েছে। আফ্রিকার সেরা বনে যাওয়ার পর দুই ধাপ এগিয়ে সাদিও মানের দল উঠে এসেছে ১৮তম স্থানে। এর আগেও অবশ্য দলটি তাদের ইতিহাসের সেরা অবস্থানেই ছিল। আগের র‍্যাঙ্কিংয়ে অবস্থান ছিল ২০-এ।

ক্যামেরুনে সদ্যসমাপ্ত আফ্রিকান নেশন্স কাপের ফলে অন্য আফ্রিকান দলগুলোও দারুণ উন্নতি করেছে র‍্যাঙ্কিংয়ে। রানার্সআপ মিশর যেমন এগিয়ে এসেছে ১১ ধাপ। আছে ৩৪তম স্থানে। টুর্নামেন্টে তৃতীয় হওয়া ক্যামেরুন এগিয়েছে ১২ ধাপ। উঠে এসেছে ৩৮তম অবস্থানে।

জানুয়ারি মাসে বাংলাদেশ ফুটবল দলের ইন্দোনেশিয়ার মাটিতে খেলার কথা থাকলেও শেষমেশ তা আর হয়নি। এর কারণে র‍্যাঙ্কিংয়েও পরিবর্তন আসেনি দলের। আগের মতো ১৮৬তম স্থানেই আছে লাল সবুজের প্রতিনিধিরা।

এনইউ