বাংলাদেশের ফুটবলে ইরান মানেই সেই নাসির হেজাজী। ১৯৭৮ আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপে খেলা ইরানিয়ান এই গোলরক্ষক বাংলাদেশে এসেছিলেন মোহামেডানের খেলোয়াড় কাম কোচ হয়ে। পরবর্তীতে বাংলাদেশ দলেরও কোচ ছিলেন। হেজাজী প্রয়াত হয়েছেন এক দশক আগে। এরপরও বাংলাদেশের ফুটবলের আলোচনায় থাকেন এই ইরানিয়ান। 

বাফুফে ভবনে চলমান এএফসি প্রো কোচিংয়ে ইন্সট্রাকটর হিসেবে এসেছেন নাসির হেজাজীর সঙ্গে সহকারী কোচ হিসেবে কাজ করা মোরতেজা মোহাসেজ। ১৯৯৯-২০০০ মৌসুমে ইরানের শীর্ষ ক্লাব ইশতেকলালে হেজাজীর সঙ্গে সহকারী হিসেবে ছিলেন মোরতেজা। তখন থেকেই বাংলাদেশ সম্পর্কে ধারণা রয়েছে এই কোচিং ইন্সট্রাকটরের, ‘হেজাজী প্রায়ই বাংলাদেশের গল্প করতেন। বিশেষ করে মোহামেডানে খেলার সময় অনেক দর্শক তাকে বেশি আকর্ষণ করেছেন।’

নাসির হেজাজী বাংলাদেশে যেমন জনপ্রিয় ও গ্রহণযোগ্য ছিলেন ইরানেও ঠিক তেমনই ছিলেন জানালেন এই কোচিং ইন্সট্রাকটর, ‘ইরানের ফুটবল ইতিহাসে অন্যতম জনপ্রিয় ফুটবলার সে। কোচ হিসেবেও তিনি দারুণ ছিলেন। ইরান জাতীয় দলের কোচের দায়িত্ব পাওয়ার যোগ্যতাও তার ছিল। তার আচরণে সমঝোতামূলক কিছু নেই। ভালোকে ভালো খারাপকে খারাপ বলার মানসিকতা তার। এজন্য জাতীয় দলে কোচ হতে পারেননি।’

হেজাজীর কোচিংয়ের সময়ের বাংলাদেশের ফুটবল এখন আর নেই। উন্মাদনা যেমন কমেছে ফুটবল র‌্যাঙ্কিংয়েও দিনকে দিনকে দিন পেছাচ্ছে। বাংলাদেশ ফুটবল উন্নয়নের জন্য এই কোচিং ইন্সট্রাকটের পরামর্শ, ‘ফুটবলে উন্নয়ন ও সাফল্যের কোনো শর্টকাট রাস্তা নেই। বাংলাদেশকে জাপান, কোরিয়া, সৌদি আরবের সঙ্গে খেলতে হবে। হারলেও তাদের সঙ্গে খেললে বাংলাদেশের মানের উন্নয়ন হবে।’
 
বাংলাদেশে এর আগেও কোচিং ইন্সট্রাকটের কাজে এসেছেন। অন্য বারের তুলনায় এবারের আগমনের বিশেষত্ব ভিন্ন,‘ এ নিয়ে আমার পঞ্চম বারের মতো বাংলাদেশ সফর। এই কোর্সটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এখানে এশিয়ার পাশাপাশি ইউরোপেরও কোচ রয়েছেন। বাংলাদেশ কোচিং এডুকেশনে সঠিক পথেই রয়েছে। ট্যাকনিক্যাল ডাইরেক্টর পল স্মলি এক্ষেত্রে অত্যন্ত কার্যকরি ভূমিকা রাখছেন’। 

এজেড/এমএইচ