ম্যাচের বয়স তখন ৯২ মিনিট পেরিয়ে গেছে, গোলের খাতা খুলতে পারেনি কোনো দলই। তখনই দৃশ্যপটে এলেন মার্কাস র‍্যাশফোর্ড। ম্যাচের প্রায় শেষ কিকে করে বসলেন গোল, তাতে ওল্ড ট্র্যাফোর্ড থেকে পয়েন্ট নিয়ে যাওয়ার আশা ভেঙে গেল ওয়েস্ট হ্যামের। তবে র‍্যাশফোর্ডের সে ম্যাচ জেতানো গোলটা অবশ্য নিষ্কলুষ নয়, তাতে লেগে আছে ‘অফসাইডের’ কালিমা, এ নিয়ে চলছে বিতর্কও।

নিজেদের মাঠে শনিবার রাতে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত খেলেছে বেশ নিষ্ফলা এক ফুটবল। বলের দখলে এগিয়ে থাকলেও পরিষ্কার কোনো সুযোগই সৃষ্টি করতে পারেনি। ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো ছিলেন নিজের ছায়া হয়ে। তাতে গোলের অপেক্ষা বাড়ছিল, পাল্লা দিয়ে বাড়ছিল শেষ পাঁচ ম্যাচে দ্বিতীয় ড্রয়ের শঙ্কা।

দলকে শেষমেশ রক্ষা করলেন দুই বদলি খেলোয়াড়। ম্যাচের ৬২ আর ৮২ মিনিটে মাঠে নামা দুই ফরোয়ার্ড মার্কাস র‍্যাশফোর্ড ও এডিনসন কাভানি গড়ে দিলেন ব্যবধানটা। তাও আবার ম্যাচের প্রায় শেষ কিকে। বক্সের বাইরে বল পেয়ে কাভানিকে পাস দিয়ে মাঝে ঢুকে পড়েন র‍্যাশফোর্ড, ফিরতি বল পেয়ে তা জড়ান ওয়েস্ট হ্যামের জালে, তাতেই জয় নিশ্চিত হয়ে যায় ইউনাইটেডের।

তবে সে গোলটা অফসাইড কিনা তার যাচাই চলেছিল ভিএআরে, এরপর রেফারি তা গোলও দিয়েছেন। তবে সে সিদ্ধান্তই জন্ম দিয়েছে বিতর্কের। র‍্যাশফোর্ডের থ্রু রিসিভ করার সময় কাভানির অবস্থান নিয়ে রেফারির সন্দেহ না থাকলেও সন্দেহ হচ্ছে প্রিমিয়ার লিগ বিশ্লেষকদের। সাবেক ইংলিশ স্ট্রাইকার অ্যালান শিয়েরার তো বলেই দিলেন, ‘এটা অফসাইড’। সাবেক ইউনাইটেড কিংবদন্তি গ্যারি নেভিল অবশ্য দলের সাফাই গেয়ে টুইট করেন, ‘আমার আইপ্যাডে তো এটা অনসাইডই দেখাচ্ছে!’ যার উত্তরে সাবেক আর্সেনাল মিডফিল্ডারও টিপ্পনী কেটে বসলেন; লিখলেন, ‘এমিরেটসে (আর্সেনালের মাঠ) হলে এটা অফসাইডই হতো।’

র‍্যাশফোর্ড নিজে অবশ্য এর আগে কথা বলেছেন এ নিয়ে, জানিয়েছেন তার কাছে এটা অফসাইড মনে হয়নি। তবে সেটা অফসাইড হোক না হোক, রোনালদোদের যে স্বস্তিই দিয়ে গেছে তা বলাই বাহুল্য!

এনইউ