রিয়াল মাদ্রিদ শিবিরে রীতিমতো হারের শঙ্কাই জেগে উঠেছিল। যোগ করা অতিরিক্ত সময়ে যে দলটা পরিণত হয়েছিল দশ জনের দলে, সঙ্গে হজম করে বসেছিল গোলও, তার ওপর শুরুর একশ’ মিনিটে মুহুর্মুহু আক্রমণেও এলচের রক্ষণ ভাঙতে পারেনি রিয়াল। তবে ইসকো অ্যালারকন ও এডেন হ্যাজার্ডের গোলে সে শঙ্কা ঝেটিয়ে বিদায় করেছে দলটি। ২-১ গোলের রোমাঞ্চকর জয়ে পাড়ি জমিয়েছে কোপা দেল রের শেষ আটে।

নিজেদের মাঠ মানুয়েল মার্টিনেজ ভালেরোতে এলচের শুরুটা ছিল চোখে পড়ার মতো। ১২ মিনিটে গোলটা পেয়েই যেতে পারত স্বাগতিকরা। গিদো কারিয়োর শটটা বেরিয়ে যায় ক্রসবার ছুঁয়ে। এরপর ২৬ মিনিটে গোলরক্ষক আন্দ্রেই লুনিনের সেভ রিয়ালকে গোলের হাত থেকে বাঁচায়। 

বিরতির ঠিক আগে গুছিয়ে ওঠে রিয়াল, দুই আক্রমণে জানান দেয় নিজেদের। গোলের দেখা অবশ্য মেলেনি, যেমন মেলেনি বিরতির পরেও। মাঝমাঠের দখল রেখে আক্রমণে উঠতেই এলচের কড়া রক্ষণের সামনে পড়তে হয়েছে দলটিকে, তাতে নির্ধারিত সময়ে আর গোলের দেখা পায়নি রিয়াল। 

পরিস্থিতিটা বদলায় যোগ করা অতিরিক্ত সময়ে। যোগ করা সময়ে যেখানে ৯০ মিনিটে গোল হয়নি, সেখানে অতিরিক্ত ৩০ মিনিটে গোল হলো তিনটি। শুরুটা করলো এলচে। বক্সের বাইরে বিপদজনক এক ফাউল করে লাল কার্ড দেখেন মার্সেলো, ফ্রি কিক পায় স্বাগতিকরা। গনজালো ভেরদুর ফ্রি কিকটা প্রথমে রিয়ালের মানব দেয়ালে আটকে যায়, তবে ফিরতি শটটা ক্যাসেমিরোর পায়ে লেগে দিক বদলে জড়ায় রিয়ালের জালে। তাতেই বড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে যায় রিয়াল, পূর্ণশক্তির দল নিয়ে যেখানে গোল আসেনি, সেখানে দশ জনের দল নিয়ে করতে হতো গোল। 

সে চ্যালেঞ্জে ইসকোর কল্যাণে জেতে রিয়াল। গোলটায় অবশ্য সমান অবদান আছে দেনিস সেবায়োসেরও। বক্সের মুখ থেকে তার করা শটে ইসকোর আলতো ফ্লিকেই গোলটা পায় রিয়াল। 

এরপর জয়সূচক গোলটা পেতেও সময় নেয়নি রিয়াল। ১১৫ মিনিটে মাঝমাঠ থেকে ডেভিড আলাবার বাড়ানো বলে গোলরক্ষককে একা পেয়ে যান হ্যাজার্ড, তাকে কাটিয়ে গোলটা দিতেও অসুবিধা হয়নি তার। তাতেই রোমাঞ্চকর এক জয়, ফলে বার্সেলোনার বিদায়ঘণ্টা বেজে যাওয়ার দিনে শেষ আট নিশ্চিত হয়ে যায় রিয়ালের।

এনইউ