রেফারিং নিয়ে ক্ষুব্ধ সাইফ, ফেডারেশনের কাছে দুই দাবি
চলতি ফেডারেশন কাপ নিয়ে বিতর্ক যেন পিছু ছাড়ছেই না। কিছুক্ষণ পর টুর্নামেন্টের ফাইনাল। এর ঘণ্টা কয়েক আগে সাইফ স্পোর্টিং সেমিফাইনালে রেফারিং নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে। বিশেষ করে তাদের পেনাল্টি বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়ে তারা ক্ষুব্ধ।
এমেরির নেওয়া দুটি শটই ছিল একই ধরনের এবং দুটিই লক্ষ্যভেদ হয়। সাইফ ক্লাব কর্তাদের প্রশ্ন প্রথম শটটি যদি অবৈধ ফেইন্টিং না হয়; তাহলে দ্বিতীয়টি কেন হলো? এ বিষয়ে আইনী ব্যাখ্যাও দেয় সাইফ এসসি, পেনাল্টির ক্ষেত্রে অর্থাৎ ইলিগাল ফেইন্টিংয়ের ক্ষেত্রে ফুটবল আইনের ১৪ ধারা বলছে যে, রানআপের সময় খেলোয়াড় ফেইন্টিং করতে পারবেন। তবে রানআপ শেষ হয়ে যাওয়ার পর অর্থাৎ নন-স্ট্রাইকিং ফুট মাটিতে ল্যান্ড করার পর আর ফেইন্টিং করা যাবে না।
বিজ্ঞাপন
সাইফ স্পোর্টিংয়ের ভিডিও অ্যানালিস্ট নাসিফ ইসলাম সাম্প্রতিক সময়ে এমেরির সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ বিশ্ব ফুটবলের কয়েকটি পেনাল্টি শটের ফুটেজ দেখান। যেখানে রেফারি গোলের সিদ্ধান্ত দিয়েছে ।
রেফারির এমন সিদ্ধান্ত ফুটবলের জন্য ন্যাক্করজনক মন্তব্য করেছেন সাইফ স্পোর্টিংয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাসিরউদ্দিন চৌধুরী ‘রেফারির কাছ থেকে আমরা অত্যন্ত ন্যাক্করজনক একটা সিদ্ধান্তের শিকার হয়েছি। একটা উন্নতমানের পেশাদার ফুটবল ক্লাবের বিরুদ্ধে এই ধরনের সিদ্ধান্ত খুবই দুঃখজনক।’
রেফারির এমন পক্ষপাতদুষ্ট সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে স্পষ্ট অবস্থান সাইফের। দেশের ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা বাফুফের কাছে চিঠি লিখে ইতোমধ্যে জানতে চেয়েছে কেন রেফারি এই ধরনের সিদ্ধান্ত নিলেন। বাফুফের কাছ থেকে এ বিষয়ে স্পষ্ট কোনো জবাব না পেলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে বলেও জানিয়েছেন সাইফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক।
ফুটবল ফেডারেশনের কাছে দুটি দাবিও জানিয়ে রেখেছেন নাসিরউদ্দিন চৌধুরী। প্রথমটি, নিরপেক্ষ বিদেশি রেফারি দিয়ে লিগ-টুর্নামেন্টের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচগুলো পরিচালিত করতে হবে। দ্বিতীয়টি,ডাগআউটে থাকতে পারবেন না বাফুফের কোনো কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য।
এ ব্যাপারে নাসিরউদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘আমাদের দুটি দাবি শুধু আমাদের ক্লাবের জন্য নয়। এটি সকল ক্লাবের জন্যই সমান অধিকারে প্রতিষ্ঠিত হবে। আমরা চাই অন্তত সাফ অঞ্চলের দেশ থেকে হলেও যেন রেফারি এনে খেলাগুলো চালানো হয়। অন্তত কিছু গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচগুলোতে হলেও যেন বিদেশী রেফারি এনে খেলা পরিচালনা করা হয়।’
বাফুফে নির্বাহী কমিটির অনেকে ক্লাবের পদবী নিয়ে ডাগ আউটে থাকেন। এখানে স্বার্থের সংঘাত দেখছেন নাসিরউদ্দিন চৌধুরি, ‘রেফারির ওপর যেন কোনো ধরনের মানসিক চাপ না থাকে সেটা চাই। এজন্য ডাগআউটে যেন বাফুফের কোনো কার্যনির্বাহী কমিটির কেউ উপস্থিত না থাকেন। ভালো ফুটবলের স্বার্থে এটা অবশ্যই করা উচিত।’
এজেড/এমএইচ/এটি