মোহামেদ সালাহ/ ফাইল ছবি

নতুন করে করোনা সংক্রমণ রুখতে আবারও বিশেষ কিছু দেশ থেকে আগতদের জার্মানি সফরে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। সম্প্রতি এএফপিকে জার্মান সরকারের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, এ নিষেধাজ্ঞা থেকে মুক্তি পাবেন না খেলোয়াড়রাও। ফলে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলয় রাজেন বলস্পোর্ট লিপজিগের বিপক্ষে লিভারপুলের ম্যাচটি নিয়েও সৃষ্টি হয়েছে শঙ্কা। 

নতুন ধরনের করোনাভাইরাসের উদ্ভব হয়েছে ইউরোপে যা আরও বেশি সংক্রামক। এর ফলে ইউরোপজুড়ে আবারও ত্রাস সঞ্চার হয়েছে বেশ। এ কারণে নতুন করে জার্মানি ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে দেশটির সরকার। স্থানীয় সরকারের একজন মুখপাত্র সম্প্রতি বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছেন, এ থেকে নিস্তার পাবেন না খেলোয়াড়রাও।  

নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা দেশগুলো হচ্ছে, ব্রিটেন, আয়ারল্যান্ড, পর্তুগাল, ব্রাজিল, দক্ষিণ আফ্রিকা ও লেসথো। এ নিষেধাজ্ঞার আওতায় আছে বিমান, বাস, ট্রেন ও জাহাজসহ সব ধরনের পথই। শুধু মেডিক্যাল কর্মীসহ সামনের সারির গুরুত্বপূর্ণ কাজে এ নিষেধাজ্ঞার নিয়ম শিথিল করার নির্দেশনা দিয়েছে জার্মান সরকার, যে তালিকায় নেই ফুটবলারদের নাম।

শনিবার জারি হওয়া এই নিষেধাজ্ঞা চলবে আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। খেলোয়াড়দের ক্ষেত্রে কোনো নিয়মের ব্যতিক্রম ঘটানোর সুযোগ না থাকায় নতুন করে শঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচ নিয়েও। আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি লিপজিগের মাঠে খেলার কথা লিভারপুলের। সেটি এখন ধোঁয়াশায়। তবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচে বায়ার্ন মিউনিখ ন্যাপোলিকে আতিথ্য দেয়ার কথা থাকলেও, সেটি অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১৭ মার্চ। তাই সে ম্যাচ নিয়ে কোনো শঙ্কা নেই আপাতত।

তবে লিভারপুলের ম্যাচটির ক্ষেত্রে যদি নিয়ম শিথিল না করা হয়, সেক্ষেত্রে ম্যাচটি নির্ধারিত সময়ে অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা শূন্যের কোঠায়। কোচ ইয়ুর্গেন ক্লপ হয়তো জার্মান জাতীয়তার কারণে দেশে ঢুকতে পারবেন কিন্তু সেক্ষেত্রে দলের প্রায় সবাইকেই পাবেন না লিভারপুল কোচ। তেমন কিছু হওয়ার সম্ভাবনা অবশ্য একেবারেই নেই। সেক্ষেত্রে হয়তো সপ্তাহখানেকের জন্য পিছিয়ে যেতে পারে শেষ ষোলর ম্যাচটি।

এনইউ/এটি