নেইমার নেই আগে থেকেই, নিষেধাজ্ঞার কারণে কিলিয়ান এমবাপেও ছিলেন না। বছরের শেষ ম্যাচে দুই নিয়মিত সঙ্গীকে ছাড়া লিওনেল মেসিও যেন ছিলেন কিছুটা নিষ্প্রভ। প্রথমার্ধে হজম করা গোল, আর দ্বিতীয়ার্ধের শেষ দিকে সার্জিও রামোসের লাল কার্ডে দলটির শঙ্কা জেগেছিল হারেরই। তবে শেষ মুহূর্তে পিএসজিকে সেই শঙ্কা থেকে মুক্তি দিলেন আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার মাউরো ইকার্দি। তার গোলেই ১-১ ড্র নিয়ে লরিয়েঁর মাঠ ছেড়েছে পিএসজি।

টানা আট ম্যাচ হেরে এই ম্যাচে আসা লরিয়েঁর বিপক্ষে পিএসজি অবশ্য শুরুতে দারুণ কিছু সুযোগই সৃষ্টি করেছে। ২৩ মিনিটে মেসির শটটা ডান পাশের বারপোস্টে লেগে ফিরে আসে। এরপর আনহেল ডি মারিয়ার একটা ভলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। ৪০ মিনিটে ধারার বিপরীতে গোল হজম করে বসে দলটি। সেই এক গোলে পিছিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় পচেত্তিনোর শিষ্যরা। 

বিরতির পর সে পর্যন্ত ম্যাচের সবচেয়ে বড় সুযোগটা আসে ডি মারিয়ার সামনে। তবে মেসির পাসটা ফাঁকায় পেয়েও তিনি গোলের দেখা পাননি। এরপর মেসিও দুটো সুযোগ পেয়েছিলেন। প্রথমটা লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়েছে, দ্বিতীয়টা রুখেই দিয়েছেন স্বাগতিক গোলরক্ষক। তাতে গোলের অপেক্ষা বাড়ছিল ক্রমেই। 

৮৬ মিনিটে দশ জনের দলে পরিণত হয় পিএসজি। শুরুর একাদশে না থাকা রামোস দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে নুনো মেন্দেসের বদলে নেমেছিলেন মাঠে। ৪০ মিনিট না যেতেই দুই হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয় পিএসজি ডিফেন্ডারকে। 

দশ জনের দলে পরিণত হয়ে পরাজয়ের শঙ্কাটা আরও বেশি প্রকট হয়ে উঠছিল তখন। সে সময়ই দলটির ত্রাতা হয়ে আসেন ইকার্দি। মেসি, নেইমার, এমবাপেদের ভিড়ে তেমন খেলার সুযোগই হয়ে ওঠে না তার। কাল পেলেন শুরু থেকেই। প্রতিদানটা দিলেন শেষ মুহূর্তে এসে। যোগ করা সময়ে বাইলাইনের কাছ থেকে ক্রস করেন হাকিমি, তা থেকে দারুণ এক হেডারে গোল পান আর্জেন্টাইন এই স্ট্রাইকার। তাতেই হার এড়ায় পিএসজি।

এই ড্রয়ের পরেও পিএসজি স্বাচ্ছন্দ্যেই লিগ টেবিলের শীর্ষে। ১৯ ম্যাচে ১৪ জয় আর চার ড্রয়ে দলটির সংগ্রহ ৪৬ পয়েন্ট। তাদের চেয়ে ১৩ পয়েন্ট পিছিয়ে দুইয়ে আছে নিস। এক ম্যাচ কম খেলে সমান পয়েন্ট নিয়ে মার্শেই আছে তিনে। আর লরিয়েঁ ১৯ ম্যাচ শেষে ১৬তম পয়েন্ট ঝুলিতে পুরলো। তারা আছে তালিকার ১৯ নম্বর অবস্থানে।

এনইউ