ম্যাচের শুরু থেকেই শ্রেয়তর দল ছিল বার্সা। মাঝে জুলস কুন্দের লাল কার্ডে সেভিয়া পরিণত হয়েছিল দশ জনের দলে। শেষের কয়েকটা সুযোগ নষ্ট না হলে হয়তো বার্সেলোনা জিতেই র‍্যামন সানচেজ পিজুয়ান ছাড়তে পারতো। কিন্তু কোচ জাভি হার্নান্দেজের দল ম্যাচটা শেষ করেছে ড্র নিয়ে। তাই কোচের হতাশার অন্ত নেই, এতটাই যে এই ড্রয়ে রাতে ঘুমাতেও পারবেন না বলে জানালেন জাভি! 

ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘এটা অম্লমধুর, আর আমার জন্য ঘুমানোটা কঠিনই হবে। আমাদের জিততেই হতো। বিশেষ করে এক জন বেশি নিয়ে তো অবশ্যই। প্রতিপক্ষে একজন কম থাকলে এমন পরিস্থিতি আমাদের আরও শান্ত থাকতে হবে।’

জয়টা পেয়ে গেলেই বার্সেলোনা লা লিগার শীর্ষ চারে চলে আসতে পারতো। তবে ড্রয়ের ফলে ২৮ পয়েন্ট নিয়ে এখন আছে তালিকার সাতে। সে হতাশা থাকলেও দলের মনোভাব আর প্রচেষ্টার তারিফ না করেও পারলেন না জাভি। 

তিনি বলেন, ‘আমরা প্রথমার্ধে বেশ ভালো খেলেছি। আর দলটা ধীরে ধীরে গড়ে উঠছে। বল হারালে তা ফেরত পেতে চাপ সৃষ্টি করছি, বল পেলে সেটা আগের চেয়ে ভালোভাবে ছড়িয়েও দিচ্ছি।’

কিছুটা দুর্ভাগ্যও ছিল বৈকি! শেষ মুহূর্তে উসমান দেম্বেলের দারুণ একটা শট যদি বারপোস্টে প্রতিহত না হতো, তাহলে হয়তো জয় নিয়েই মাঠ ছাড়তে পারত বার্সেলোনা। তবে এরপরও বার্সা কোচ খুশিই। 

বললেন, ‘চ্যাম্পিয়ন্স লিগে উত্তীর্ণ হওয়ার মতো অবস্থানে যেতে জয়টা দরকার ছিল। কিন্তু ড্রয়ের পরও আমি দল নিয়ে গর্বিত। আমরা স্রেফ দুর্ভাগা ছিলাম। সবাইকে নিয়ে আমি বেশ গর্বিত। আজকের বার্সেলোনাকে দেখে মনে হচ্ছে, এমন একটা দলই আমি চাই।’

এই ম্যাচ ড্রয়ের হতাশাটা পুরো সংবাদ সম্মেলনেই ফিরে ফিরে এলো জাভির কথায়, ‘এটা লজ্জার। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে উত্তরণের মতো অবস্থানে যাওয়ার সুবর্ণ সুযোগ ছিল, সেটা কাজে লাগাতে পারিনি। একটা পয়েন্টে এখন আমাদের কোনো লাভই হবে না।’

তবে এই ম্যাচের পারফর্ম্যান্সে পাওয়া অনুপ্রেরণাটা ভবিষ্যতেও কাজে লাগাতে চাইলেন কোচ জাভি, ‘আজকের রাতের সবচেয়ে বাজে বিষয়টা হচ্ছে এই ফলাফল। কিন্তু আমরা ঠিক পথেই আছি। অনুভূতিগুলো ভালোই, ফলাফলটা নয়। নতুন বছরে আবারও আমরা এখান থেকেই শুরু করবো।’

এনইউ/এটি