সাফ অ-১৯ নারী ফুটবল
জয়ে শুরু করতে চায় বাংলাদেশ
আগামীকাল (শনিবার) থেকে মাঠে গড়াচ্ছে সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ নারী ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপের খেলা। কমলাপুর বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে উদ্বোধনী দিনেই মাঠে নামছে স্বাগতিক বাংলাদেশ। সন্ধ্যা সাতটায় শুরু হওয়া ম্যাচে মারিয়া মান্ডাদের প্রতিপক্ষ শক্তিশালী নেপাল। এর আগে দুপুর তিনটায় ভুটার লড়বে শ্রীলংকার বিপক্ষে। টি স্পোর্টস সরাসরি ম্যাচ দু’টি সম্প্রচার করবে।
তিন বছর আগে (২০১৮ সালে) ভুটানের চাংলিমিথাং স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত সাফ অ-১৮ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের প্রথম আসরের ফাইনালে বাংলাদেশ ১-০ গোলে নেপালকে হারিয়ে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। খেলার ৪৯ মিনিটে প্রতিপক্ষের বক্সের বাইরে থেকে মনিকা চাকমার ফ্রি কিক থেকে হেড জয়সূচক গোল করেছিলেন ডিফেন্ডার মাসুরা পারভীন।
বিজ্ঞাপন
বাংলাদেশের ফরোয়ার্ড সিরাত জাহান স্বপ্না ৮ গোল করে সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়েছিলেন। আগের আসরে গ্রুপ পর্বেও নেপালকে ২-১ গোলে হারিয়েছিলেন ছোটনের শিষ্যরা। তিন বছর পর সেই দলে বয়সের কারণে নেই মাসুরা এবং স্বপ্না। তবে রয়েছেন মনিকা। এবার আর অনূর্ধ্ব-১৮ নয়, তার বদলে অনুষ্ঠিত হচ্ছে অনূর্ধ্ব-১৯ চ্যাম্পিয়নশিপ।
টুর্নামেন্ট বদলে গেলেও স্বপ্ন বদলায়নি বাংলাদেশের। শুক্রবার বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনে (বাফুফে) এসে সে কথাই জানালেন অধিনায়ক মারিয়া মান্ডা, ‘বিগত দিনে আমরা যে পারফরম্যান্স দেখিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছি, সেই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে চাই। আমরা খেলে দর্শকদের আনন্দ দিতে চাই এবং চ্যাম্পিয়ন হতে চাই।’
শিরোপার জন্যই শিষ্যরা লড়বে বলে জানান কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন। তার কথায়, ‘মেয়েরা চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্যই খেলবে। আমার বিশ্বাস তারা রাখবে।’ নেপালের কোচ হারি ওম শ্রেষ্ঠার চোখও চ্যাম্পিয়ন ট্রফির দিকে, ‘আমরা এখানে চ্যাম্পিয়ন হতেই এসেছি। সেভাবেই খেলতে চাই।’ অধিনায়ক অঞ্জনা রানা মাগার বলেন, ‘সাফের এই টুর্নামেন্টে শিরোপা জিততে প্রস্তুতি নিয়েই এসেছি আমরা।’
বাংলাদেশ অ-১৯ জাতীয় নারী ফুটবল দল- মারিয়া মান্দা (অধিনায়ক), রুপনা চাকমা, ইয়াসমিন আক্তার, ইতি রানী, আঁখি খাতুন (সহ-অধিনায়ক), শামসুন্নাহার (সিনিয়র), আনাই মগিনি, নাসরিন আক্তার, নিলুফা ইয়াসমিন নীলা, আফেইদা খন্দকার, উন্নতি খাতুন, কোথাই কিসকু, মনিকা চাকমা, সোহাগী কিসকু, শাহেদা আক্তার রিপা, ঋতুপর্ণা চাকমা, মারজিয়া আক্তার, স্বপ্না রানী, তহুরা খাতুন, আনুচিং মগিনি, হালিমা খাতুন, শামসুন্নাহার (জুনিয়র) ও রেহেনা আক্তার।
এজেড/এমএইচ