কমলাপুর টার্ফের 'বড়' শিকার তপু
গত মৌসুমে কমলাপুর স্টেডিয়ামের টার্ফে অনুশীলন করতে গিয়ে পায়ে আঘাত পেয়েছিলেন মোহামেডানের জাপানি ফুটবলার উরু নাগাতা। সেই আঘাতে তাকে মোহামেডানের সঙ্গে সম্পর্কই ছেদ করতে হয়েছে। চলমান স্বাধীনতা কাপে এই কমলাপুর টার্ফে খেলে বড় আঘাত পেয়েছেন জাতীয় দলের সিনিয়র ফুটবলার ও বসুন্ধরা কিংসের অধিনায়ক তপু বর্মণ। পায়ে আঘাত পেয়ে তিনি এক মাস ফুটবলের বাইরে চলে গিয়েছেন।
তপু তার সর্বশেষ শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে বলেন, 'প্রথম ম্যাচেও হালকা আঘাত পেয়েছিলাম। দ্বিতীয় ম্যাচে বেশি পেয়েছি। ম্যাচের পর পরীক্ষা হয়েছে। রিপোর্ট দেখে চিকিৎসক এক মাস বিশ্রামের কথা বলেছেন। ভাগ্য ভালো অস্ত্রোপচার প্রয়োজন নেই।'
বিজ্ঞাপন
ফুটবলে ইনজুরি হবে। তবে তপুর এই ইনজুরিতে টার্ফের দায় দেখছেন, 'ঘাসের মাঠ হলে এত গুরুতর আহত হতাম না। এই টার্ফে পা বেঁধে যায়। পুলিশের ম্যাচে বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে পা বেধে গিয়েছিল ফলে অ্যাঙ্কেলের উপর চাপ রাখতে না পেরে হাঁটুতে চাপ পড়ে ও ব্যথা পাই।'
বিশ্বের অনেক দেশেই অধিক ব্যবহার ও বৃষ্টির মধ্যে খেলার জন্য টার্ফের মাঠ ব্যবহার করে। অন্য দেশের তুলনায় কমলাপুর টার্ফ সম্পুর্ন ভিন্ন মনে করেন তপু, 'তাজিকিস্তান, ভুটানের টার্ফগুলোর প্লাস্টিক কিছুটা বড় এবং কালো উপাদান আছে। আমাদের এখানে প্লাস্টিক খুবই ছোট ও টার্ফের কালো উপাদানগুলো ছিটকে যাচ্ছে।'
কমলাপুর টার্ফ প্রিমিয়ার লিগের ক্লাবগুলোর জন্য উপযোগী নয়। এ নিয়ে অনেক আলোচনা সমালোচনা হলেও মাঠ সংকটে ক্লাবগুলো খেলতে বাধ্য হচ্ছে। নিজে অল্পতে পার পেলেও সতীর্থদের জন্য শঙ্কায় আছেন তপু, 'সবাই সবার দলকে জেতাতে মরিয়া ৷ এমন টার্ফে অনেকে ব্যথা পাচ্ছে। বড় ইনজুরি না হোক সেটাই কামনা করি।'
তপু এক মাসের মধ্যে মাঠে নামতে পারবেন না। এই সময়ের মধ্যে স্বাধীনতা কাপ শেষ হয়ে ফেডারেশন কাপ মাঝ পর্যায়ে থাকবে। বিশ্রামে থাকাবস্থায় নিজ বাসার পরিবর্তে ক্লাবেই ফিজিওর পরামর্শ নেবেন।
এজেড/এটি